করোনাভাইরাসের প্রকৃত রহস্য
[করোনাভাইরাস : কোত্থেকে ছড়ালো? সত্যিই কি ছোঁয়াচে? সত্যিই কি কোনো ‘ভাইরাস’? মহামারী প্রতিরোধে করণীয়]
ভাইরাস, জীবাণু, ব্যাকটেরিয়া ইত্যাদির অস্তিত্ব, ক্রিয়াকর্ম এবং ক্ষমতা
বড় প্রশ্ন থেকে যায় ভাইরাস, জীবাণু, ব্যাকটেরিয়া ইত্যাদির অস্তিত্ব, ক্রিয়াকর্ম এবং ক্ষমতা সম্পর্কে। অবাক লাগে, কিভাবে এতো সুক্ষ্ম সুক্ষ্ম বস্তু, যেগুলোকে খালি চোখে দেখা যায় না, দেখতে হয় মাইক্রোস্কোপ দিয়ে, সেগুলো মানুষের শরীরে মারাত্মক সব রোগ সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখে! আরো অবাক করা বিষয়, কিভাবে এগুলো এক শরীর থেকে আরেক শরীরে উড়ে গিয়ে একজনের শরীরের রোগ আরেকজনের শরীরে ঢুকিয়ে দেয়ার পদ্ধতিকে সাধারণ মানুষ নয়, বিজ্ঞান পর্যন্ত বিশ্বাস করে! চূড়ান্ত অবাক করা বিষয় হলো, এসবে বিশ্বাস সমাজের মধ্যে সাধারণ মানুষ ছড়ায়নি, এসব বিশ্বাসের জন্মদাতা বিজ্ঞান নিজেই!
এটা কখনো সম্ভব নয়, কখনো নয়। শুধু ক্ষুদ্র নয়, ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র এসব অণুজীবের তৎপরতা এবং ক্ষমতা সম্পর্কে আমরা যা বিশ্বাস করি, এসব বস্তুর যদি চিন্তাশক্তি এবং মানুষ এদেরকে নিয়ে যা ধারণা করছে, তা বুঝার চেতনা থাকতো, এরা হতবাক হতো নিজেদের ক্ষমতা সম্পর্কে মানুষের এতো উঁচু ধারণার কথা বুঝতে পেরে এবং একই সাথে দুঃখভারাক্রান্ত হতো এদের নামে জঘণ্য অপপ্রচার চালানো হচ্ছে দেখে!
ভাইরাস, জীবাণু, ব্যাকটেরিয়া ইত্যাদির অস্তিত্ব, ক্রিয়াকর্ম এবং ক্ষমতা সম্পর্কে এই সামান্য কথাটা সহজেই তারা গ্রহণ করবেন, যারা নিরেট একজন ভদ্রলোক হিসেবে মনোযোগসহ এই লেখাটা শুরু থেকে এই পর্যন্ত পড়েছেন। আর তেমন কিছুু বলার দরকার নেই। তবু তাদের বুঝাটা আরো শক্ত হওয়ার জন্য বাড়তি কিছু কথা বলতে হচ্ছে।
ভাইরাস, জীবাণু, ব্যাকটেরিয়া এগুলো এক মানুষ থেকে আরেক মানুষের শরীরে কোনো রোগ ছড়িয়ে দিতে কেউ কি কখনো দেখেছে? দেখেনি। বলা হবে, খালি চোখে এগুলোকে দেখা যায় না, এজন্য কেউ দেখে না। যদি খালি চোখে দেখা না যায়, এগুলো দেখতে হলে মাইক্রোস্কোপ লাগে, তাহলে বলতে হবে মাইক্রোস্কোপ দিয়ে এগুলো একজনের শরীর থেকে আরেকজনের শরীরে গিয়ে রোগ ছড়ানোর প্রক্রিয়াটা কেউ কি কখনো দেখতে পেয়েছে? তা-ও দেখতে পায়নি। কারণ ভাইরাস, জীবাণু, ব্যাকটেরিয়া এগুলো এক মানুষ থেকে আরেক মানুষের শরীরে কোনো রোগ ছড়িয়ে দেয়াটা সম্ভব নয়। একটা অসম্ভব ও অবাস্তব কিছু কিভাবে দেখা সম্ভব!
মাইক্রোস্কোপিক ক্যামেরায় ধারণ করা এমন কোনো ভিডিও কি কেউ দেখেছে, যেখানে দেখানো হচ্ছে একজন রোগী থেকে কোনো রোগের ভাইরাস বা জীবাণু হাঁচি, কাশি, থুথু ইত্যাদির মাধ্যমে বা ঐ রোগীর সাথে শারীরিক সংস্পর্শের মাধ্যমে একজন সুস্থ মানুষের শরীরে সংক্রমিত হচ্ছে?
দেখেনি। কারণ এমন কোনো ভিডিও বাস্তবেই নেই। এমন কোনো ভিডিও ধারণ করাও সম্ভব নয়। সত্যিকারের কারণ, এই প্রক্রিয়ায় রোগ ছড়ানো অবাস্তব। কিন্তু বলা হতে পারে, একজন রোগীর সংস্পর্শে সুস্থ কেউ গেলে সাথে সাথেই রোগটি সুস্থ লোকের শরীরে সংক্রমিত হয় না, বরং সুস্থ লোকটি রোগটিতে আক্রান্ত হতে বেশ কয়েকদিন সময় লেগে যায়, যাকে ইনকিউবেশন পিরিয়ড বলা হয়, এজন্য ভিডিও ধারণ করা সম্ভব নয়।
এই ইনকিউবেশন পিরিয়ডের অযুহাতে ভিডিও করা সম্ভব না হবার কথা বলে মানুষের চোখে ধুলো দেয়ার চেষ্টা করা হলেও আমরা আপাতত নিশ্চিত হতে পারি, ভাইরাস, জীবাণু, ব্যাকটেরিয়া এগুলো এক মানুষ থেকে আরেক মানুষের শরীরে কোনো রোগ ছড়িয়ে দেয়ার ঘটনা কেউ কখনো খালি চোখেও দেখেনি, মাইক্রোস্কোপের সাহায্যেও নয়। না দেখেই সবাই বিষয়টা বলছে এবং প্রচার করছে!
ইনকিউবেশন পিরিয়ডের দোহাই দিয়ে ভিডিও করতে না পারার গোমর ফাঁসের জন্য আমরা একটা নিরীক্ষা করতে পারি।