করোনাভাইরাসের প্রকৃত রহস্য (পর্ব-১২) : নিউমোনিয়া এবং ইনফ্লুয়েঞ্জা ছোঁয়াচে না হলে করোনাভাইরাসও ছোঁয়াচে নয়

4 minute read
0
করোনাভাইরাসের প্রকৃত রহস্য
[করোনাভাইরাস : কোত্থেকে ছড়ালো? সত্যিই কি ছোঁয়াচে? সত্যিই কি কোনো ‘ভাইরাস’? মহামারী প্রতিরোধে করণীয়]


নিউমোনিয়া এবং ইনফ্লুয়েঞ্জা ছোঁয়াচে না হলে করোনাভাইরাসও ছোঁয়াচে নয়
যারা নিউমোনিয়া, ইনফ্লুয়েঞ্জা এসব রোগকে সংক্রামক বলে প্রচার করতো, এসব ঘটনা দেখে তারা এখন বোবা হয়ে আছে। তারা ভাবছে আমরা তো বলে থাকতাম, এসব রোগ একজন থেকে আরেকজনে ছড়ায়; সর্বোচ্চ ৬ ফুটের মধ্যে থাকা কারো মধ্যে সংক্রমিত হতে পারে, হাঁচি-কাশি ইত্যাদির মাধ্যমে ছড়ায়, কিন্তু এখন দেখি শুধু ৬ ফুট নয়, আমাদের ধারণাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ৬ হাজার মাইলের চেয়েও বেশি দূরের দেশের অনেকের শরীরে লাফিয়ে লাফিয়ে চলে যাচ্ছে, যেখানে হাঁচি-কাশির শব্দ পর্যন্ত পৌঁছাও সম্ভব নয়! তাহলে কিভাবে এমন ঘটনা ঘটে?
একজন সাধারণ জ্ঞানের অধিকারী মানুষ হিসেবে আপনি বলুন, করোনাভাইরাসের জীবাণু কি বাতাসের মাধ্যমে এক দেশ থেকে আরেক দেশে চলে যেতে পারে? এমন দিনও হয়তো অপেক্ষা করছে, করোনাভাইরাস এক দেশের মানুষের শরীর থেকে আরেক দেশের মানুষের শরীরে সংক্রমিত হবার ঘটনাগুলোকেও 'করোনাভাইরাসের নতুন রূপ' হিসেবে বিশ্বাস করানোর পক্ষে আর কোনো বিকল্প যুক্তি খুঁজে না পেয়ে এরকম কথাই প্রচার করা শুরু হতে পারে! কারণ বিজ্ঞান একটা কিছু বলে দিলেই হয়, সাধারণ মানুষ তা নিয়ে ভাববার কোনো অধিকার আছে বলে মনে না করে বা তা নিয়ে ভাববার কোনো প্রয়োজনীয়তা অনুভব না করে বিজ্ঞানের তত্ত্বকে চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করে নেয়। যেমন: নিউমোনিয়া, ইনফ্লুয়েঞ্জা এসব রোগকে সংক্রামক বা ছোঁয়াচে রোগ বলে প্রচার করা হচ্ছে যুগের পর যুগ ধরে। এখনো এটা নিয়ে কোনো শক্তিশালী ভিন্নমত প্রকাশের কথা জানা নেই।


American Lung Association এর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত 'What Causes Pneumonia?' শিরোনামের নিবন্ধে বলা হয়, 'Pneumonia can be caused by a wide variety of bacteria, viruses and fungi in the air we breathe. Identifying the cause of your pneumonia can be an important step in getting the proper treatment.'
[https://www.lung.org/lung-health-and-diseases/lung-disease-lookup/pneumonia/what-causes-pneumonia.html]


এখানে নিউমোনিয়ার কারণ সম্পর্কে আলোচনার কোথাও বলা হয়নি অতিরিক্ত ঠান্ডা লাগার কারণে বা ঋতু পরিবর্তনের কারণে নিউমোনিয়া হয়। বরং এখানে নিউমোনিয়ার কারণের সাথে সম্পর্কিত করা হয়েছে ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস এবং ছত্রাককে। মানুষ এসব কথা যুগের পর যুগ ধরে শুনতে শুনতে, জানতে জানতে এসব কথার সাথে সাংঘর্ষিক কোনো কথা বিশ্বাস করতে চায় না, মেনে নিতে চায় না। একই ওয়েবসাইটে Pneumonia শিরোনামের নিবন্ধে নিউমোনিয়া সম্পর্কে বলা হয়, 'Pneumonia is an infection in one or both of your lungs caused by germs. It can be spread by coughing, sneezing or even breathing.' [https://www.lung.org/lung-health-and-diseases/lung-disease-lookup/pneumonia]

এই লেখার প্রথম পরিচ্ছেদেই একটি এক্সপেরিমেন্টের কথা বলা হয়েছে। বলা হয়েছে, নিউমোনিয়া, ইনফ্লুয়েঞ্জা এসব ফ্লু কোনো সংক্রামক রোগ নয়। কিভাবে তা দ্ব্যর্থহীনভাবে প্রমাণ করা যাবে, সেই পদ্ধতিও উল্লেখ করা হয়েছে সেখানে। পরে এক জায়গায় বলা হয়েছে, এগুলোর প্রতিষেধক আবিষ্কার করা যাবে না। অবশ্য প্রতিষেধক নাকি আবিষ্কারও হয়েছে, কিন্তু যারা টীকা নিচ্ছে, তারা উপকৃত হবার কথা নয়। কারণ অতিরিক্ত ঠান্ডা লাগা এবং ঋতু পরিবর্তনের কারণেই অধিকাংশ সময় মানুষ এইসব রোগে আক্রান্ত হয়। এগুলো যেমন ঠান্ডাজনিত রোগ, তেমনি মৌসুমী রোগও। প্রতিষেধক টীকা গ্রহণ করার পরও অতিরিক্ত ঠান্ডা লাগা এবং ঋতু পরিবর্তন মানুষকে এসব রোগ থেকে কোনোকালেই রেহাই দেবে না। এ ব্যাপারে আরেকটি কথা এখানে বলতে হচ্ছে, নিউমোনিয়া, ইনফ্লুয়েঞ্জা ইত্যাদির সাথে কোনো ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাসের সম্পর্ক নেই। হাঁচি, কাশি বা শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে এগুলো বা এগুলোর 'ভাইরাস' কোনোভাবেই একজনের শরীর থেকে আরেকজনের শরীরে সংক্রমিত হতে পারে না। কথাটি বিশ্বাস না হলে পরীক্ষা করা হোক।

কোনো হাসপাতাল বা অন্য কোথাও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত এক বা একাধিক লোকের (শিশু বা বয়স্ক) সাথে তারা নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হবার পরপরই সুস্থ-সবল ১০ থেকে ১০০ জনকে বা যে কোনো সংখ্যক মানুষকে (শিশু বা বয়স্ক) থাকতে দেয়া হোক। দেখা যাবে, নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত যার বা যাদের সাথে ঐ ১০ থেকে ১০০ জন লোক বেশ কয়েকদিন থেকেছে, চিকিৎসার পর নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত সে বা তারা নিউমোনিয়া থেকে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে গেছে, কিন্তু এই ১০০ জনের কেউ তখনও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয় নি। আক্রান্ত হলেও সর্বোচ্চ ২ জন বা ১ জন হতে পারে। হতে পারে এই কারণে, নিউমোনিয়ায় আক্রান্তদের সাথে অবস্থান না করলেও তারা নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হতো। এই এক্সপেরিমেন্ট চালানো যে কারো জন্য সহজ। অন্যভাবেও করা যেতে পারে। আপনি কি কখনো নিউমোনিয়া  বা ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্ত আপনার সন্তান বা পরিবারের কোনো সদস্যের কাছাকাছি থাকেননি কোন মাস্ক পরা ছাড়া? থেকেছেন, আপনার মতো লক্ষ লক্ষ মানুষও থেকেছে। আপনার সন্তান বা পরিবারের সদস্যের রোগটি কি তখন আপনাকেও আক্রমণ করেছে? দু'একবার করতে পারে। সেটা আপনি এই রোগগুলোতে আক্রান্ত কারো কাছে না থাকলেও করতো। কারণ রোগগুলো ঠান্ডাজনিত এবং সিজনাল।
নিউমোনিয়া, ইনফ্লুয়েঞ্জা ইত্যাদি রোগের সাথে ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাসের সম্পর্ক সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা লাভ করার জন্য এরকম একটা পরীক্ষা চালানোই যথেষ্ট। জানি না, যে ধারণা মানুষের মধ্যে 'ভাইরাস' ছড়াচ্ছে, গুজব হয়ে দেখা দিয়েছে, যে ধারণা মানুষকে আতঙ্কিত করছে, সেই ধারণাটিকে আমাদের আরো কিছু দিন বুকে আঁকড়ে ধরে রাখা উচিত, নাকি ছুঁড়ে ফেলে দেয়া উচিত? কোনটার মধ্যে আমাদের কল্যাণ?

শেষ পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন

Post a Comment

0Comments
Post a Comment (0)
To Top