করোনাভাইরাসের প্রকৃত রহস্য (পর্ব-৯) : ছেলেধরা গুজবের ভয়াবহ ক্ষতি

7 minute read
0
করোনাভাইরাসের প্রকৃত রহস্য
[করোনাভাইরাস : কোত্থেকে ছড়ালো? সত্যিই কি ছোঁয়াচে? সত্যিই কি কোনো ‘ভাইরাস’? মহামারী প্রতিরোধে করণীয়]


গুজবের ক্ষতির একটি উদাহরণ
কোনো গুজবের সাথে পরিচিত হয়নি বা কোনো গুজবে বিশ^াস করেনি, এমন মানুষ পৃথিবীতে থাকলেও তাদের সংখ্যাটা খুব কম হতে পারে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রকম গুজব ছড়ায়। কোনো কোনো গুজব সারাবিশ্বে একযোগে ছড়ায়। কোনো গুজব একবার কি দু'বার ছড়ায়, কোনো গুজব অনেকবার। এ পর্যন্ত বেশ কয়েকবার আমরা পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাবার গুজবেও আতঙ্কিত হয়েছি। সর্বশেষ ২১ ডিসেম্বর ২০১২ তারিখে। নিউইয়র্ক পোস্টের ওয়েবসাইটে ২৭ জুলাই ২০১৭ তারিখে একটি প্রতিবেদন (By Dan Elson) প্রকাশিত হয় '5 times the world was supposed to end but didn't শিরোনামে, যেখানে বলা হয়, রেকর্ড করা ইতিহাসের শুরু থেকে এ পর্যন্ত পাঁচবার পৃথিবী শেষ হয়ে যাবার কথা ছিল, কিন্তু শেষ হয়নি।' [https://nypost.com/2017/07/27/5-times-the-world-was-supposed-to-end-but-didnt] এগুলো ছিল বিশ্বব্যাপী সংক্রমিত হওয়া গুজব। এভাবে বাংলাদেশে এ পর্যন্ত একটা গুজব বেশ কয়েকবার ছড়িয়েছে। দেশের মানুষ বার বার গুজবটিতে আতঙ্কিত হয়েছে। গুজবটির নাম 'ছেলেধরা আতঙ্ক'।

শিশু-অপহরণ হয় না, তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর মধ্যে এমন দেশ খুব কম আছে। আর নারী-অপহরণ তো উন্নত-অনুন্নত প্রায় সব দেশেই হয় কমবেশি। বাংলাদেশে কয়েক বছর পরপরই 'ছেলেধরা আতঙ্ক' গুজবটি ছড়িয়ে পড়ে। রীতিমতো একটা 'ভাইরাস' হয়ে ছড়িয়ে পড়ে। গত বছরের (২০১৯) মাঝামাঝি সময়েও একবার এই গুজব সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। সময়টা এখন অনলাইনের। তাই গুজবকে বিশ্বাস করানোর জন্য অনেক ভিডিও এবং ছবি অনলাইনে ছড়িয়ে দিলো কিছু লোক। ইচ্ছাকৃত। আগুনে ঘি ঢাললো। কিন্তু অধিকাংশ মানুষ বুঝতে পারলো না- (১) 'ছেলেধরা' কথাটি 'শিশু-অপহরণ' এরই অন্য নাম। নির্দিষ্ট কোনো সময়ে নয়, বছরের প্রায় সব সময় দেশের কোথাও না কোথাও শিশু অপহরণের ঘটনা ঘটে। গুগলে 'অপহৃত শিশু উদ্ধার' এরকম কথা লিখে খুঁজলে অনেক সংবাদের লিঙ্ক চলে আসে। দেখতে পাবেন গুজব ছড়ানোর আগেও শিশু অপহরণের ঘটনা ঘটেছে, পরে এখনও ঘটছে। যেমন: '২০ দিন পর অপহৃত শিশু উদ্ধার, ছয় অপহরণকারী গ্রেপ্তার' শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয় প্রথম আলোয় ২৭ জানুয়ারি ২০১৭ তারিখে, লিঙ্ক: (https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1068245)



'আশুলিয়া থেকে অপহৃত শিশু ডিমলায় উদ্ধার' শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয় দৈনিক মানবজমিনে ১৪ ফেব্রুয়াারি ২০২০ তারিখে, লিঙ্ক: (https://mzamin.com/article.php?mzamin=212983) আরেকটি সংবাদ প্রকাশিত হয় দৈনিক কালের কন্ঠে ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে, লিঙ্ক: (https://www.kalerkantho.com/online/country-news/2020/02/15/874784)|

সুতরাং 'ছেলেধরা' নামক নতুন বা আলাদা শিশু-অপহরণ বলতে কিছু নেই।

(২) এই গুজব কোনো না কোনোভাবে ছড়িয়ে পড়ার পর কিছু অনলাইন পোর্টাল বা সামাজিক মাধ্যমে অনেকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে অনেক ভিডিও পোস্ট করলো শুধু অর্থ উপার্জনের জন্য। কারণ ভিডিওটি যত বেশি দেখা হবে, তাদের অনলাইন আয় তত বেশি হবে। বিশেষ করে এরকম একটা গুজব ছড়িয়ে পড়ার পর কোথাও থেকে একজন তথাকথিত শিশু-অপহরণকারীকে ধরে তার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে ধান্দাবাজ কিছু লোক অর্থ উপার্জনের ধান্দায় লিপ্ত হলো। মানুষ তখন ভাবতে ভুলে গেলো, এভাবে শিশু-অপহরণ সারা বছরই হয়।
অনেকের অনেক শিশু মাঝেমধ্যে বাসায় ফিরতে দেরি করে। বন্ধুদের সাথে খেলতে যাওয়া বা অন্য কোনো কারণে। গুজব ছড়ানোর ঐ সময়টাতে কারো শিশু এরকম বাসায় ফিরতে একটু দেরি হলেই নিজ শিশুকে 'ছেলেধরা' নিয়ে গেছে বলে ওদের অভিভাবক হা-হুতাশ করা শুরু করে। এই খবরটাও বাতাসের আগে ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে। পরে শিশুটি বাসায় ফিরে আসার পর বা শিশুটিকে খুঁজে বের করার পর যাদের কাছে ইতোমধ্যে শিশুটিকে ছেলেধরা নিয়ে যাবার সংবাদ চলে গেছে, তাদের অনেকের নিকট শিশুটির ফিরে আসার সংবাদ পৌঁছে না।

পরিস্থিতি তখন এমন মারাত্মক পর্যায়ে পৌঁছে গেছে, কোনো এলাকায় অপরিচিত কোনো লোক পথঘাটে ঐ এলাকার কোনো শিশুর সাথে কথা বললেই শিশুটি যদি লোকটিকে চিনতে না পেরে 'ছেলেধরা' বলে চিৎকার করে ওঠতো, তখন মানুষ চারদিক থেকে এসে ঐ লোককে ঘিরে ফেলতো। শুরু হতো লোকটির উপর উত্তম-মধ্যম। ঐ লোক পড়ে যেতো মহা বিপদে। কারো কাছে নিজেকে 'আমি ছেলেধরা নই' বলেও লাভ হতো না। মানুষ তখন ভাবতো, সারাদেশে ছেলেধরা বের হয়েছে। এখন আমরা হাতেনাতেই ধরে ফেলেছি এক ছেলেধরাকে। মানুষ 'ছেলেধরা পেয়েছি পেয়েছি' বলে তার উপর চড়াও হতো। লোকটির কোনো কথা কেউ শুনার প্রয়োজন মনে করতো না, বিশ্বাস করতো না। ঐ বিভীষিকাময় সময়টাতে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে অসংখ্য মানুষ 'ছেলেধরা' অপবাদের শিকার হয়ে গণপিটুনির কবলে পড়েছে। বিভিন্ন জায়গায় অনেক মানসিক ভারসাম্যহীন লোককে মানুষ গণপিটুনি দিয়ে পুলিশেও সোপর্দ করেছে। একটা পর্যায়ে এমন হয়েছে, যখন মানুষ দেখেছে, পুলিশ এসব লোককে ছেড়ে দিচ্ছে এদের প্রকৃত পরিচয় জানার পর, তখন মানুষ ভাবতে শুরু করলো, পুলিশকে সোপর্দ করে লাভ নেই, যা করার আমাদেরকেই করতে হবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এরকম বক্তব্য দিয়ে অনেকে পোস্টও করেছে তখন। এভাবে গুজবটি আরো ভয়াবহ রূপ ধারণ করলো।

একসময় এরকম সন্দেহভাজন কাউকে মানুষ ধরতে পারলে পিটিয়ে মেরে ফেলতে শুরু করে। পুলিশ এবং প্রশাসনও এরই মধ্যে বেশ তৎপর হয়ে যায়। কিন্তু মানুষ পুলিশের জনসচেনতামূলক প্রচারণা উপেক্ষা করে কথিত 'ছেলেধরা'কে গণপিটুনি দিতে থাকে এবং হত্যা করতে থাকে। ২৪ জুলাই ২০১৯ তারিখে বিবিসি একটি প্রতিবেদন তৈরি করে 'Bangladesh lynchings: Eight killed by mobs over false child abduction rumours' শিরোনামে, যার লিঙ্ক: https://www.bbc.com/news/world-asia-49102074

এভাবে ছেলেধরা সন্দেহে দেশের বিভিন্ন জায়গায় বেশ কয়েকজন মানুষ মানুষের গনপিটুনিতে নির্মমভাবে মৃত্যুবরন করে। শেষে ঘটলো সবচেয়ে মর্মান্তিক এক ঘটনা। ঘটনাটি একটি দৈনিক পত্রিকা থেকেই উদ্ধৃত করা যাক। ২০ জুলাই ২০১৯ তারিখের দৈনিক যুগান্তরে 'ছেলে ধরা সন্দেহে গণপিটুনিতে তিনজন নিহত' শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। সেখানে বলা হয়, 'ছেলে ধরা সন্দেহে রাজধানীর উত্তর বাড্ডা, নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ ও কেরানীগঞ্জে গণপিটুনিতে নারীসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার সকালে উত্তর বাড্ডায় এক নারী ও সিদ্ধিরগঞ্জে এক যুবক এবং শুক্রবার রাতে কেরানীগঞ্জে এক যুবক মারা গেছে।

এছাড়া শনিবার গাজীপুরে এক নারী ও শুক্রবার চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় এক বৃদ্ধকে মারধর করা হয়েছে। এদিকে গণপিটুনি দিয়ে মানুষ মারাকে বড় ধরনের অপরাধ হিসেবে উল্লেখ করে তা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে পুলিশ সদর দফতর। শনিবার বিকালে এক বার্তায় এ আহ্বান জানানো হয়।
রাজধানীর উত্তর-পূর্ব বাড্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শনিবার সকাল ৯টার দিকে যান এক নারী। এ সময় স্কুলের সামনে থাকা অভিভাবকরা তাকে স্কুলে প্রবেশের কারণ জানতে চান। সন্তানকে স্কুলে ভর্তি করাবেন বলে ওই নারী জানান। এরপর তাকে প্রধান শিক্ষিকার কক্ষে নেয়া হয়।
তবে খবর ছড়িয়ে পড়ে স্কুলে ছেলে ধরা এসেছে। এরপর ছেলেধরা সন্দেহে তাকে স্কুলের বাইরে এনে গণপিটুনি দেয়া হয়। পুলিশ তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।' [https://www.jugantor.com/national/201401]

এই ঘটনার পর যখন জানাজানি হয়, ওই নারী কোনো ছেলেধরা ছিলেন না, বরং তিনি ছিলেন সম্ভ্রান্ত পরিবারের একজন উচ্চশিক্ষিত নারী, শুধু শিশু অপহরকারীদের সাথে তাঁর কিছু 'লক্ষণ' মিলে যাবার কারণেই তাঁকে 'ছেলেধরা' সন্দেহ করে প্রকাশ্যে নির্মমভাবে মেরে ফেলা হয়, তখন মানুষের টনক নড়ে। মানুষ এভাবে ছেলেধরা সন্দেহে সন্দেহভাজন মানুষকে হত্যা করা নয়, পিটুনি দেয়াও পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়। ওই নারীর ১১ বছরের একটি ছেলে ও ৪ বছরের একটি মেয়ে ছিল। তাঁকে নৃশংসভাবে হত্যা করার পর তাঁর ৪ বছরের মেয়েটির কান্নারত ছবি দেখে অনেকে নিজের চোখের পানি ধরে রাখতে পারেনি। মানুষ এভাবে ধীরে ধীরে বুঝতে শুরু করে, 'ছেলেধরা বের হয়েছে' বলে তারা এতোদিন যা শুনেছে, সবই গুজব।
কিন্তু গুজবটি বিশ্বাসের কারণে বড় ধরনের অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে মানবসমাজে, অনেক মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে গেছে, যেগুলোর ক্ষতিপূরণ কোনোভাবে সম্ভব নয়। যারা এই গুজব ছড়িয়েছে, যারা ভালো করে যাচাই না করে এই গুজবকে বিশ্বাস করেছে এবং গুজবকে বিশ্বাস করে গুজবের পক্ষে যে কোনো তৎপরতা চালিয়েছে, তাদের সবার নৈতিক দায়িত্ব এই নারীসহ সারাদেশে যাদেরকে মানুষ নির্মমভাবে হত্যা করেছে, তাদের পরিবারের কাছে করজোড়ে ক্ষমা চাওয়া।
আরেকটি কথা, 'ছেলেধরা গুজব' শুধু বাংলাদেশে ছড়ায় না, আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতেও ছড়ায় মাঝে মাঝে। বিবিসির ওয়েবসাইটে ২ সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় Pregnant India woman beaten over child kidnapping rumour শিরোনামে, যার লিঙ্ক: https://www.bbc.com/news/world-asia-india-49547919
কলকাতার (ভারত) আনন্দবাজার পত্রিকায় ২২ জুলাই ২০১৯ তারিখে 'ছেলেধরা গুজব, ভবঘুরেকে পাথর দিয়ে থেঁতলে খুন করা হল ডুয়ার্সে' শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। সেখানে বলা হয়, 'দক্ষিণবঙ্গ ছেড়ে এবার 'ছেলেধরা' গুজব ছড়াল উত্তরবঙ্গেও। সোমবার সকালে ¯্রফে সন্দেহের বশে, গুজবের জেরে ছেলেধরা বলে থেঁতলে খুন করা হল মধ্যবয়সী এক ভিক্ষাজীবীকে। ওই ব্যক্তির পরিচয় পুরোপুরি না জানা গেলেও, প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, তিনি বহুরুপী সেজে বিভিন্ন বাজার এলাকায় অর্থোপার্জন করতেন।
ঘটনাটি সোমবার ঘটেছে ডুয়ার্সের নাগরাকাটা থানা এলাকার শুলকাবাড়ি বাজারে। প্রত্যক্ষদর্শীদের একটি অংশ পুলিশকে জানিয়েছেন, সোমবার সকালে ওই ব্যক্তি মহিলা সেজে এলাকায় ঘুরছিলেন। নাগরাকাটা এলাকার বাসিন্দারা পুলিশকে জানিয়েছেন, গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই ওই এলাকায় 'ছেলেধরা'র গুজব ছড়াচ্ছে।
সোমবার সকালে ওই ব্যক্তিকে মেয়েদের পোশাকে উদ্দেশ্যবিহীন ভাবে ঘোরাফেরা করতে দেখে শুলকাবাড়ি বাজারে কয়েকজন তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। সেই সময় কেউ কেউ ওই ব্যক্তিকে ছেলেধরা বলে সন্দেহপ্রকাশ করে। অভিযোগ, তারপরেই কয়েকজন ঝাঁপিয়ে পড়ে ওই ব্যক্তির উপর। বাজারের মধ্যেই বাঁশ,লাঠি দিয়ে মারা শুরু করে। প্রত্যক্ষদর্শীদের কয়েকজন পুলিশকে জানিয়েছেন, রাস্তার পাশে ফেলে রাখা পাথর দিয়েও থেঁতলে মারা হয়।' [https://www.anandabazar.com/state/vagrant-stoned-to-death-at-dooars-over-kidnapper-rumour-dgtl-1.1021207]

'Child Kidnapping Rumours' শিরোনামে ভারতের এনডিটিভি’র ওয়েবসাইটে সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখে প্রকাশিত একটি নিবন্ধে (Written by Alok Pandey) বলা হয়, 'A labourer was beaten to death and eight others were injured in a mob attack after they were mistaken as child kidnappers at a village in Uttar Pradesh's Amethi. The killing comes days after another man who was taking his nephew to a doctor was beaten to death over child kidnapping rumours in Uttar Pradesh's Sambhal.' [https://www.ndtv.com/topic/child-kidnapping-rumours]

গুজব এভাবে মানব সমাজে আতঙ্ক ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে, পৃথিবীতে বড় বড় বিপর্যয়েরও কারণ হয়ে দাঁড়ায়। চীন ছাড়া অন্য দেশে নতুন কেউ করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হবার 'অধিকাংশ ঘটনা'কে (বিশেষ করে যেগুলোর সাথে চীন বা সংক্রমিত কারো যোগসূত্র নেই) আমরা গুজব হিসেবে চিহ্নিত করতে পারি কিছু দিক বিবেচনায়:

দশম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন

Post a Comment

0Comments
Post a Comment (0)
To Top