করোনাভাইরাসের প্রকৃত রহস্য (পর্ব-২৭) : চীনে প্রথমে কতজন ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে?

8 minute read
0

 করোনাভাইরাসের প্রকৃত রহস্য

[করোনাভাইরাস : কোত্থেকে ছড়ালো? সত্যিই কি ছোঁয়াচে? সত্যিই কি কোনো ‘ভাইরাস’? মহামারী প্রতিরোধে করণীয়]


চীনে অবশ্য প্রথমে কতজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে, এ সম্পর্কে আগেও আলোচনা করা হয়েছে। প্রাসঙ্গিক হওয়ায় আবারো এই সম্পর্কে আলোচনা করতে হচ্ছে। এক বর্ণনামতে প্রথমে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৪ জন। ''চীনে 'ছড়িয়ে পড়েছে রহস্যজনক' ভাইরাস, আক্রান্ত ৪৪'' শিরোনামে বিবিসি বাংলায় ৪ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, ''চীনের মধ্যাঞ্চল ইউহান শহরে 'রহস্যজনক' নিউমোনিয়ার আক্রমণ দেখা দিয়েছে যাতে এখনো পর্যন্ত অনেক মানুষ আক্রান্ত হয়েছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। এ বিষয়ে তদন্ত করতে কর্তৃপক্ষ এরই মধ্যে তৎপরতা শুরু করেছে।
শুক্রবার কর্তৃপক্ষ জানায়, এ পর্যন্ত রহস্যজনক এই ভাইরাসে ৪৪ জন আক্রান্ত হওয়ার কথা নিশ্চিত হওয়া গেছে। এর মধ্যে ১১ জনের অবস্থা গুরুতর।'' [https://www.bbc.com/bengali/news-50991318]

এক বর্ণনায় বলা হয়েছে প্রথমে আক্রান্ত পাওয়া গেছে ৪১ জনকে। 'China reports 1st death from new type of coronavirus' শিরোনামে এবিসি নিউজের ওয়েবসাইটে ১১ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, 'The Wuhan Municipal Health Commission said seven other people were in critical condition among a total of 41 who were suffering from pneumonia caused by a "preliminarily determined new type of coronavirus” as of Friday.' [https://abcnews.go.com/Health/wireStory/china-reports-1st-death-type-coronavirus-68209413]

এক বর্ণনামতে প্রথমে আক্রান্ত ২৬৬ জন। 'First Covid-19 case happened in November, China government records show – report' শিরোনামে দ্য গার্ডিয়ানের ওয়েবসাইটে ১৩ মার্চ ২০২০ তারিখে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে (by Helen Davidson in Hong Kong) বলা হয়, 'The first case of someone suffering from Covid-19 can be traced back to 17 November, according to media reports on unpublished Chinese government data.

The report, in the South China Morning Post, said Chinese authorities had identified at least 266 people who contracted the virus last year and who came under medical surveillance, and the earliest case was 17 November – weeks before authorities announced the emergence of the new virus.
The Chinese government was widely criticised over attempts to cover up the outbreak in the early weeks, including crackdowns on doctors who tried to warn colleagues about a new Sars-like virus which was emerging in the city of Wuhan in Hubei province.' [https://www.theguardian.com/world/2020/mar/13/first-covid-19-case-happened-in-november-china-government-records-show-report]

আরেক বর্ণনামতে প্রথমে আক্রান্ত হয় প্রায় ২০০ জনের মতো মানুষ। জার্মানের ডয়চে ভেলের (বাংলা) ওয়েবসাইটে 'চীনে নতুন ভাইরাস, বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা' শিরোনামে ২০ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, 'মারণ ভাইরাসের প্রকোপ ক্রমশ বাড়ছে চীনে। মধ্য চীনের ইউহান প্রদেশে নতুন করে ১৩৬ জনের আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলেছে। বেজিং জানিয়েছে, এই নিয়ে মোট ২০০ জন আক্রান্ত হলেন করোনা ভাইরাসে।' [https://www.dw.com/bn/a-52064423]

প্রথম আক্রান্ত ব্যক্তি কে, একজন, নাকি অনেক, তা নিয়ে সঠিক সিদ্ধান্তে কেউ আসতে পারছে না। দৈনিক জনকন্ঠে 'করোনায় আক্রান্ত প্রথম ব্যক্তিটি কে?' শিরোনামে ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২০ তারিখে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, 'চীনের হুবেই প্রদেশের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে এখন পর্যন্ত দুই হাজার ৪৭৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে শুধুমাত্র চীনের মূল ভূখন্ডেই মারা গেছে দুই হাজার ৪৪৪ জন। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ৭৬ হাজার ৯৪৭ জন। এই অবস্থায় চীন কর্তৃপক্ষ ও বিশেষজ্ঞরা করোনায় আক্রান্ত প্রথম ব্যক্তির (জিরো পেশেন্ট) খোঁজ পেতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
যে কোনো একটা বিশেষ ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণজনিত রোগে আক্রান্ত প্রথম ব্যক্তিটিকে বলা হয় 'পেশেন্ট জিরো'। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তাকে চিহ্নিত করা খুবই জরুরি। কেন, কীভাবে এবং কোথায় এই সংক্রমণের সূচনা হয়েছিল, তা কেবল তার মাধ্যমেই জানা সহজ হবে। কেননা নিঃসন্দেহে তিনিই চলমান এই করোনাভাইরাস সংক্রমণের উৎস।

সংক্রমণের হাত থেকে মানুষকে রক্ষা করা এবং ভবিষ্যতে এর প্রাদুর্ভাব ঠেকানো-দু কারণেই পেশেন্ট জিরোকে চিহ্নিত করা জরুরি। তবে সেই ব্যক্তি আসলে কে-চীনের কর্তৃপক্ষ আর বিশেষজ্ঞরা এ নিয়ে একমত নন। তাকে চিহ্নিত করতে অনুসন্ধান এখনও চলছে।' [https://www.dailyjanakantha.com/details/article/482607]

'Who is 'patient zero' in the coronavirus outbreak?' শিরোনামে বিবিসি ফিউচারে ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে (By Fernando Duarte) বলা হয়, 'Do we know who patient zero is in the Covid-19 coronavirus outbreak that started in China?
The short answer is – no.' [https://www.bbc.com/future/article/20200221-coronavirus-the-harmful-hunt-for-covid-19s-patient-zero]

করোনাভাইরাসে প্রথমে কতজন লোক আক্রান্ত হয়েছে, সে সম্পর্কে এই প্রতিবেদনগুলো থেকে পরিষ্কার ধারণা লাভ করা সম্ভব নয়। তবে অধিকাংশ প্রতিবেদন প্রথমে একাধিক লোক একসাথে আক্রান্ত হবার পক্ষে কথা বলে। এমনকি সবশেষে উল্লেখিত প্রতিবেদন সরাসরি বলে দেয়, চীনে শুরু হওয়া করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবে পেশেন্ট জিরো নামে কেউ নেই! তার মানে একাধিক লোক একসাথে প্রথমে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। যদি তা-ই হয়, তাহলে বলতে হবে এই একাধিক লোকের কে কার কাছ থেকে আক্রান্ত হয়েছে? এই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে তাদের মাথা ঘুরে যাবে, যারা এই ধরনের মহামারীকে ছোঁয়াচে বলে ভাবতে পছন্দ করে।

যদি প্রথমে একাধিক লোক একসাথে আক্রান্ত হতে পারে, তাহলে যে কারণে প্রথমে আক্রান্তরা আক্রান্ত হয়েছে, সে কারণেই একই এলাকার পরে আক্রান্তরা আক্রান্ত হতে পারবে না কেন? কেন?

বিস্ময়কর ব্যাপার হচ্ছে আমরা প্রথমে আক্রান্তদের আক্রান্ত হবার পেছনের কারণ নিয়ে না ভেবে বা খুঁজে পেতে ব্যর্থ হয়ে ছোঁয়াচে রোগের ধারণায় অতি বিশ্বাসী হবার কারণে পরে আক্রান্তদের আক্রান্ত হবার মনগড়া কারণকেই (ছোঁয়াচে হওয়া) করোনাভাইরাস ব্যাপকাকারে ছড়িয়ে পড়ার কারণ ধরে নিয়ে সে অনুযায়ী মহামারীটিকে প্রতিরোধের প্রস্তুতি নিয়েছি বলেই মহামারীটি তার নিজ গতিতেই এগিয়ে যেতে থাকে, আমাদের প্রতিরোধের চেষ্টা চেষ্টাতেই সীমাবদ্ধ থেকে যায়, কোনো কাজে আসে নি।

যেমন উহানকে ২৩ জানুয়ারি লকডাউন করা হয়েছে, উহানের সব মানুষ নিজেদের বাসায় স্বেচ্ছাবন্দী জীবন কাটাতে শুরু করেছে, উহানের যে মাছের বাজার থেকে ভাইরাসটি ছড়িয়েছে বলে ধারণা বা প্রচার করা হয়, ওই বাজারটিও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে, উহানের মানুষ মাস্ক ব্যবহার সহ ছোঁয়াচে রোগ বা ভাইরাস থেকে আত্মরক্ষার জন্য আরো যা যা করা দরকার, করেছে, তবু কি রোগটির আক্রমণ থেকে বাঁচতে পেরেছে? বাঁচতে পারেনি, কারণ ছোঁয়াচে রোগ বলে ধরে নিয়ে সব প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেয়ার ফলে রোগটির প্রকৃত কারণটি স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ পেয়েছে; যতক্ষণ ধরে আক্রমণ করার কথা, ততক্ষণ আক্রমণ করেছে কোনো বাধা না পেয়ে আর চুপি চুপি হেসেছে একটি চরম ভুলধারণায় মানুষের অতিবিশ্বাস এবং সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নেয়া দেখে।

'করোনাভাইরাস একটি ভাইরাসজনিত বা ছোঁয়াচে রোগ' পুরো পৃথিবীর সবাই এই ধারণায় বিশ্বাস করার কারণে করোনাভাইরাসে যারা আক্রান্ত হয়নি, তাদের জীবনেও ছড়িয়ে পড়েছে আতঙ্ক, নেমে এসেছে রাজ্যের অন্ধকার। শুধু তাই নয়, এই ধারণা মাথায় রেখে করেনাভাইরাস প্রতিরোধের জন্য যেসব পদক্ষেপ (লকডাউন, হোম কোয়ারেন্টাইন, আইসোলেশন ইত্যাদি) নেয়া হয়েছে সেসব পদক্ষেপ কয়েক মাসের জন্য করোনায় আক্রান্ত হয়নি, এমন কোটি কোটি মানুষের জীবনকেও নরক বানিয়ে ছেড়েছে। করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ভেবে দেশে দেশে অসংখ্য মানুষ নানাভাবে প্রাণ হারিয়েছে করোনায় আক্রান্ত না হয়েই। অনেকে চিকিৎসায় সীমাবদ্ধতার কারণেও মারা গেছে। কোটি কোটি মানুষ সাময়িক বেকার হয়ে গেছে; ২৪ ঘন্টা একসাথে থাকার কারণে অনেক দম্পতির মধ্যে দাম্পত্য কলহের মাত্রা তীব্র হয়ে ছাড়াছাড়িও হয়ে গেছে; অনেক মানুষ অভাব ও ক্ষুধার জ্বালায় আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে; সর্বোপরি কোটি কোটি মানুষ করোনাভুত এবং মৃত্যুভয়ে দিনের পর দিন কাটিয়েছে সীমাহীন উদ্বেগ-উৎকন্ঠার মধ্যে।
করোনাকে ছোঁয়াচে রোগ হিসেবে প্রচার করা না হলে প্রতিরোধব্যবস্থা এবং পৃথিবীর অবস্থা কী হতো, তা নিয়ে একটু পরেই আলোচনা করা হবে।

উহানে প্রথমে অনেকগুলো মানুষ করোনায় আক্রান্ত হবার সম্ভাবনাই বেশি। এ সম্পর্কিত অধিকাংশ প্রতিবেদন এই মতামতের পক্ষেই কথা বলে। প্রথমে যদি একসাথে অনেকগুলো মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়, তাহলে তারা যে কারণে আক্রান্ত হয়েছে, পরবর্তীতে আক্রান্তরা সেই একই কারণে আক্রান্ত হওয়াটা কি অসম্ভব? পরবর্তীতে আক্রান্তদেরকে প্রথমে আক্রান্তদের কাছ থেকে আক্রান্ত হয়েছে বলে গণ্য করাটা পৃথিবীর জন্য ভয়াবহ বিপজ্জনক হয়ে দাঁড়ায়। অথচ সুযোগ ছিল করোনাকে ছোঁয়াচে বলে ঘোষণা না দেয়ার। কিন্তু খুব সম্ভবত তিনটা কারণে করোনাকে ছোঁয়াচে বলে ঘোষণা দেয়া হলো: (১) নিউমোনিয়াসহ অনেকগুলো রোগকে বিজ্ঞান আগ থেকেই ছোঁয়াচে বলে প্রচার করে, (২) জীবাণু, ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস এরকম কিছু অদৃশ্য বস্তুকে বিজ্ঞান মানুষ থেকে মানুষে রোগ ছড়ানোর জন্য আগ থেকেই দায়ী করে আসছে, (৩) প্রথম দু'টো বিষয় অনুকূলে থাকার কারণে যখন দেখা গেলো উহানে বিষাক্ত কিছু অসাবধানতাবশতঃ বা ইচ্ছাকৃত ছড়িয়ে পড়েছে/ছড়ানো হয়েছে, তখন তা ঢাকার জন্য বিজ্ঞানের প্রথম দু'টো ধারণার ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রাখার প্রয়াস চালানো হলো মাত্র।

মূলত করোনাভাইরাস উহানের সি ফুড মার্কেট থেকেও ছড়ায়নি। উহানের বায়ুতে মিশ্রিত কোনো কৃত্রিম বিষ থেকেই মানুষ ব্যাপক হারে নিউমোনিয়ায় ভুগতে শুরু করে।
'করোনাভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম ব্যক্তিটির সন্ধান চলছে' শিরোনামে দৈনিক যুগান্তরে ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, 'চীনে যে ৭৫ হাজারেরও বেশি লোকের দেহে এ সংক্রমণ ঘটেছে- তার ৮২ শতাংশই নিবন্ধিত হয়েছে এই হুবেই অঞ্চল থেকে। এ তথ্য জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির।

কিন্তু চীনা গবেষকদের এক জরিপ যা ল্যান্সেট সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়, তাতে বলা হয় কোভিড-১৯ ভাইরাসে সংক্রমণ চিহ্নিত হয় একজন লোকের দেহে ২০১৯ সালের ১ ডিসেম্বর।
সেই ব্যক্তিটির সঙ্গে উহান শহরের ওই বাজারের কোনো সম্পর্ক ছিল না। তবে এটি ঠিক যে, প্রথম দিকে যে ৪১ জন সংক্রমণের কারণে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন- তার মধ্যে ২৭ জনই উহানের সেই বাজারের সংস্পর্শে এসেছিলেন।' [https://www.jugantor.com/international/281953]

এখানে যে ব্যক্তিটিকে প্রথমে আক্রান্ত বলে মনে করা হয়েছে, সে প্রথম আক্রান্ত না হলেও করোনায় আক্রান্ত, এটা নিশ্চিত এবং এটাও নিশ্চিত, সে উহানের সি ফুড মার্কেট থেকে আক্রান্ত হয়নি। করোনাভাইরাস যদি উহানের সি ফুড মার্কেট থেকে ছড়াতো, তাহলে সে ঐ সি ফুড মার্কেটের সাথে সম্পর্কিত হওয়া ছাড়া কিভাবে আক্রান্ত হলো?
করোনাভাইরাস কোনো ছোঁয়াচে রোগও নয়। যদি ছোঁয়াচে হতো, তাহলে ৪১ জনের মধ্যে যে ১৪ জন উহানের সি ফুড মার্কেটে যায়নি, এমনকি সি ফুড মার্কেটে যাওয়া ২৭ জনের সাথে সম্পর্কিত নয়, তারা কিভাবে করোনায় আক্রান্ত হলো?

(চার) আমরা আগেই আলোচনার মাধ্যমে স্পষ্টভাবে জেনেছি, ব্যাকটেরিয়া, জীবাণু  বা ভাইরাস একজন মানুষের শরীর থেকে কোনো রোগ আরেকজনের শরীরে ছড়িয়ে দেয়ার ক্ষমতা রাখে না। যদি না রাখে, তাহলে করোনাভাইরাস ছোঁয়াচে বা বায়ুবাহিত রোগ হবে কিভাবে? যদি ছোঁয়াচে বা বায়ুবাহিত না হয়, তাহলে উহানে প্রথম অল্প কিছু লোক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হবার পর নতুন করে আর কেউ আক্রান্ত হতো না। প্রথমে অল্প কিছু লোক আক্রান্ত হবার পরও উহানের হাজার হাজার মানুষ করোনায় আক্রান্ত হওয়াটা প্রমাণ করে, উহানের বাতাসে কিছু একটা মিশে গিয়েছিল, যা যার নিঃশ্বাসের সাথেই ফুসফুসে প্রবেশ করেছে, সে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে।

(পাঁচ) সাধারণ নিউমোনিয়া হলে অ্যান্টিবায়োটিকে উপকার হতো। কিন্তু উহানে ছড়িয়ে পড়া 'অজ্ঞাত কারণে নিউমোনিয়া' সাধারণ নিউমোনিয়ার চেয়ে একটা জায়গায় বেশ ভিন্ন : এই নিউমোনিয়া সাধারণ নিউমোনিয়ার মতো অ্যান্টেবায়োটিকে সারে না। তাই শুধু একে ‘'অজ্ঞাত কারণে নিউমোনিয়া' বললে হবে না; বলতে হবে 'অজ্ঞাত কারণে এবং অ্যান্টেবায়োটিক অকার্যকরী নিউমোনিয়া'। এই নিউমোনিয়া কেন ভিন্ন একটা বৈশিষ্ট্যের অধিকারী হলো, তা খুঁজতে গেলেই এই অনুমাণ সত্যের কাছাকাছি চলে আসবে, করোনাভাইরাস বাতাসে ছড়িয়ে পড়া কোনো তেজস্ক্রিয়ারই ক্ষতিকর ফল।

Post a Comment

0Comments
Post a Comment (0)
To Top