করোনাভাইরাসের প্রকৃত রহস্য
[করোনাভাইরাস : কোত্থেকে ছড়ালো? সত্যিই কি ছোঁয়াচে? সত্যিই কি কোনো ‘ভাইরাস’? মহামারী প্রতিরোধে করণীয়]
(১১) স্থানীয় সংক্রমণের উপর কিছু প্রতিবেদন:
'করোনাভাইরাস: প্রাদুর্ভাব ঠেকানোর সুযোগ সীমিত হয়ে আসছে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা' শিরোনামে ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে বিবিসি বাংলার ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, 'বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান কী বলেছেন?
ডা. টেডরস বলেন, চীনের বাইরে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা "তুলনামূলকভাবে কম" কিন্তু সংক্রমণের ধরণ উদ্বেগজনক।
"যে সব সংক্রমণের ক্ষেত্রে প্রাদুর্ভাবের সাথে কোন যোগসূত্র পাওয়া যাচ্ছে না অর্থাৎ প্রাদুর্ভাবের শিকার এলাকায় ভ্রমণ করার কোন উল্লেখ নেই অথবা আগে কোন আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসারও কোন উল্লেখ পাওয়া যাচ্ছে না সেসব সংক্রমণ নিয়ে আমাদের উদ্বেগ রয়েছে," তিনি বলেন।
ইরানে নতুন করে আক্রান্ত হওয়া এবং মৃত্যুর ঘটনা "খুবই উদ্বেগজনক", তিনি বলেন।' [https://www.bbc.com/bengali/news-51596145]
'What is coronavirus and what are the symptoms?' শিরোনামে বিবিসি নিউজের ওয়েবসাইটে ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে বিবিসির স্বাস্থ্য ও বিজ্ঞানের সংবাদদাতা জেমস গালাঘর কর্তৃক তৈরিকৃত একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। সেখানে বলা হয়,
'How fast is it spreading?
Thousands of new cases are being reported each day. However, analysts believe the true scale could be 10 times larger than official figures.
Outbreaks have now occurred in South Korea , Italy and Iran , raising fears that it could become a pandemic. A pandemic is declared when an infectious disease threatens different parts of the world simultaneously.
The WHO has said it is concerned about the number of cases with no clear link to China or other confirmed cases. It has said the window of opportunity to contain the virus was "narrowing".
With colds and flu tending to spread fastest in the winter, there is hope the turning of the seasons may help stem the outbreak.
However, a different strain of coronavirus - Middle East respiratory syndrome - emerged in the summer, in Saudi Arabia , so there's no guarantee warmer weather will halt the outbreak.' [https://www.bbc.com/news/health-51048366]
দ্য কনভার্সেশনের ওয়েবসাইটে 'How does the coronavirus test work? 5 questions answered' শিরোনামে প্রকাশিত রচেস্টার ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি'র জীববিজ্ঞানের সহযোগী অধ্যাপক মৌরিন ফেরান কর্তৃক লিখিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, 'The main symptoms of COVID-19, the disease caused by the coronavirus SARS-CoV-2, are fever, dry cough and shortness of breath. These look a lot like the flu and the common cold, so it takes a physician to determine if testing for the virus is necessary.
দ্য কনভার্সেশনের ওয়েবসাইটে 'How does the coronavirus test work? 5 questions answered' শিরোনামে প্রকাশিত রচেস্টার ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি'র জীববিজ্ঞানের সহযোগী অধ্যাপক মৌরিন ফেরান কর্তৃক লিখিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, 'The main symptoms of COVID-19, the disease caused by the coronavirus SARS-CoV-2, are fever, dry cough and shortness of breath. These look a lot like the flu and the common cold, so it takes a physician to determine if testing for the virus is necessary.
Initially, the Centers for Disease Control and Prevention recommended testing only people with symptoms and who had potentially been exposed to the virus. But to the surprise of public health officials, several of the first people in the U.S. who tested positive for the virus had no obvious exposure. This development suggested that the virus was being transmitted locally, meaning it was spreading from person to person easily and/or that people may have been transmitting the virus without experiencing serious symptoms.' [https://theconversation.com/how-does-the-coronavirus-test-work-5-questions-answered-133118]
প্রথম প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যে সব সংক্রমণের ক্ষেত্রে প্রাদুর্ভাবের সাথে কোন যোগসূত্র পাওয়া যাচ্ছে না অর্থাৎ প্রাদুর্ভাবের শিকার এলাকায় ভ্রমণ করার কোনো উল্লেখ নেই অথবা আগে কোনো আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসারও কোনো উল্লেখ পাওয়া যাচ্ছে না সেসব সংক্রমণ উদ্বেগজনক। দ্বিতীয় প্রতিবেদনেও একইরকমভাবে বলা হয়েছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, চীন বা অন্য কোনো নিশ্চিত মামলার সাথে সুস্পষ্ট যোগসূত্র নেই, এমন সংখ্যা বেশ উদ্বেগজনক।
এই প্রতিবেদনগুলোর একটা নির্যাস বের করা যাক:
(এক) ২০ বছর বয়সী এক চীনা তরুণী, যার শরীরে করোনাভাইরাসের কোনো লক্ষণ ছিল না, তবু তার কাছ থেকে তার পাঁচ আত্মীয়ের শরীরেও কভিড-১৯ নিউমোনিয়ার সংক্রমণ ঘটেছে!
(দুই) চীন নিয়ন্ত্রিত তাইওয়ানে করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যুবরণকারী ব্যক্তি সাম্প্রতিক সময়ে কোনো দেশ ভ্রমণ করেননি।
(তিন) চীনের হুবেই প্রদেশের সাথে কোনো যোগসূত্র ছাড়া 'প্রায় ৮০ বছরের মতো' বয়সী এক জাপানী নারী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
(চার) "রোগী ৩১" নামে অভিহিত মহিলা, যার বিদেশে ভ্রমণের কোনো রেকর্ড নেই, তবু তাঁর নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হওয়াকে করোনাভাইরাস বলে গণ্য করা হয়েছে।
(পাঁচ) জানুয়ারিতেই থাইল্যান্ডে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি প্রথম ধরা পড়ে। অথচ গত বছরের নভেম্বরের শেষ দিকে থাইল্যান্ড ছেড়ে ভারতে ফিরে আসা এক তরুণী, যনি চীনেও যাননি, তবু করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
(ছয়) বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে প্রথম মৃত্যুবরণকারী ব্যক্তি সম্পর্কে বলা হয়, 'বিদেশে যান নাই, কিন্তু বিদেশ ফেরত ব্যক্তির মাধ্যমে সংক্রমিত হয়েছেন।' কিন্তু বিদেশ-ফেরত কার মাধ্যমে সংক্রমিত হয়েছেন, তার উল্লেখ কোনো সংবাদমাধ্যমে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
(সাত) যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক রাজ্যে সিওভিড -১৯ এ আক্রান্ত প্রথম ব্যক্তি হিসেবে ৫০ বছর বয়সী এমন এক আইনজীবিকে চিহ্নিত করা হয়েছে, যার শ্বাসকষ্টের অন্তর্নিহিত অসুস্থতা রয়েছে এবং যার কোনও ভ্রমণ ইতিহাস নেই।
(আট) নিউইয়র্কের মতো ক্যালিফোর্নিয়ায়ও এমন এক রোগীকে দ্বিতীয় কোভিড-১৯ রোগী হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে, যিনি ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় যাননি বা আক্রান্ত কারও সংস্পর্শেও ছিলেন না।
(নয়) সিডিসি নিশ্চিত করেছে যে, ভাইরাসটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কমিউনিটি ট্রান্সমিশনে রয়েছে, এটি এমন অনেক আমেরিকানদের সংক্রমিত করেছে যারা বিদেশে ভ্রমণ করেনি বা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কারো সংস্পর্শে আসেনি।
(দশ) ইতালির কডোনো শহরের যে রোগী থেকে সারাদেশে ব্যাপক আকারে করোনা ছড়িয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে ওই রোগী সম্পর্কে জানা গেছে, কডোনো শহরের ওই রোগী চীন ফেরত এক বন্ধুর সঙ্গে দেখা করেছিলেন। কিন্তু তার ওই বন্ধু করোনায় আক্রান্ত ছিলেন না। ডিএনএ পরীক্ষায় দেখা গেছে, ওই রোগীর ভাইরাসের উৎস জার্মানির মিউনিখ বা ফিনল্যান্ড হতে পারে। কিন্তু কিভাবে ওই রোগী করোনায় আক্রান্ত হলেন তা জানা যায়নি।
(এগারো) উত্তর ইতালিতে শনাক্তকৃত ছয়টি করোনাভাইরাসের ঘটনা স্থানীয়ভাবে সংক্রমণ হওয়ার প্রথম জানা ক্ষেত্র। বলা হয়, ছয়জনের কেউই চীন সফর করেছেন বলে মনে করা হয়নি।
(বারো) করোনাভাইরাসে ইরানে এমন দু'জনের প্রাণহানি হয়েছে, যারা ছিলেন ইরানি নাগরিক এবং কোম শহরের বাসিন্দা, দু'জনের কেউ ইরান ছেড়ে গেছেন বলে জানা যায়নি।
(তেরো) যুক্তরাজ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত ব্যক্তির সাথে 'করোনাভাইরাস ছোঁয়াচে' হবার কোনো যোগসূত্র নেই।
যুক্তরাজ্যে সর্বশেষ শনাক্তকৃত একজন রোগী নিজে সম্প্রতি বিদেশ ছিলেন না, এমনকি সম্প্রতি বিদেশ থেকে ফিরে আসা কারও কাছ থেকে এটি প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ছিল কিনা তাও স্পষ্ট নয়।
দীর্ঘ আলোচনার পর এই সিদ্ধান্তে পৌঁছা ছাড়া উপায় নেই, অধিকাংশ দেশে চীন থেকে এই ভাইরাস সংক্রমিত হয়নি, স্থানীয়ভাবেই সংক্রমিত হয়েছে; আবার কিছু কিছু কিছু দেশে এই ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী সংক্রমিত হয়েছে মাত্র, কিন্তু এই ভাইরাস সংক্রমিত হয়নি! মানে এই ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী অন্য দেশে গিয়েছে, কিন্তু ওইসব রোগী থেকে এই ভাইরাস সেই দেশের কাউকে আক্রমণ করেনি। কারণ এটা কোনো ভাইরাস নয়, অন্যকিছু; এটা ছোঁয়াচে নয়, চীন ছাড়া অন্য দেশে যারা এতে আক্রান্ত হয়েছে, তারা হয়তো (১) বাস্তবে নেগেটিভ হয়েও শনাক্তকরণ পদ্ধতির ত্রুটির কারণে পরীক্ষায় পজিটিভ হয়ে গেছে, বিশেষ করে স্থানীয় সংক্রমণের ঘটনাগুলোর ক্ষেত্রে, নয়তো (২) এমন কোনো উৎস থেকে সরাসরিই আক্রান্ত হয়েছে, যে উৎস থেকে চীনের মানুষ আক্রান্ত হয়েছে।
কয়েকটি দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণ সরাসরি এই 'অন্য কিছু', বাকি দেশগুলোতে সংক্রমণ হয়নি, বরং সেসব দেশে অনেকের সাধারণ নিউমোনিয়া বা ইনফ্লুয়েঞ্জা পরীক্ষার ভুলে করোনাভাইরাস হয়ে গেছে, যদিও সত্যিকারার্থে করোনায় আক্রান্ত হয়নি; অনেকের সাধারণ নিউমোনিয়া বা ইনফ্লুয়েঞ্জাকে ভুলভাবে করোনা বলে চিহ্নিত করার কারণে করোনার মতো করেই তাদেরকে চিকিৎসা দেয়ার ফলে অনেক ধুঁকে ধুঁকে মৃত্যুবরণও করেছে। স্থানীয় সংক্রমণের ক্ষেত্রেই এরকম ঘটনা ঘটেছে।
প্রথম প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যে সব সংক্রমণের ক্ষেত্রে প্রাদুর্ভাবের সাথে কোন যোগসূত্র পাওয়া যাচ্ছে না অর্থাৎ প্রাদুর্ভাবের শিকার এলাকায় ভ্রমণ করার কোনো উল্লেখ নেই অথবা আগে কোনো আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসারও কোনো উল্লেখ পাওয়া যাচ্ছে না সেসব সংক্রমণ উদ্বেগজনক। দ্বিতীয় প্রতিবেদনেও একইরকমভাবে বলা হয়েছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, চীন বা অন্য কোনো নিশ্চিত মামলার সাথে সুস্পষ্ট যোগসূত্র নেই, এমন সংখ্যা বেশ উদ্বেগজনক।
এই প্রতিবেদনগুলোর একটা নির্যাস বের করা যাক:
(এক) ২০ বছর বয়সী এক চীনা তরুণী, যার শরীরে করোনাভাইরাসের কোনো লক্ষণ ছিল না, তবু তার কাছ থেকে তার পাঁচ আত্মীয়ের শরীরেও কভিড-১৯ নিউমোনিয়ার সংক্রমণ ঘটেছে!
(দুই) চীন নিয়ন্ত্রিত তাইওয়ানে করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যুবরণকারী ব্যক্তি সাম্প্রতিক সময়ে কোনো দেশ ভ্রমণ করেননি।
(তিন) চীনের হুবেই প্রদেশের সাথে কোনো যোগসূত্র ছাড়া 'প্রায় ৮০ বছরের মতো' বয়সী এক জাপানী নারী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
(চার) "রোগী ৩১" নামে অভিহিত মহিলা, যার বিদেশে ভ্রমণের কোনো রেকর্ড নেই, তবু তাঁর নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হওয়াকে করোনাভাইরাস বলে গণ্য করা হয়েছে।
(পাঁচ) জানুয়ারিতেই থাইল্যান্ডে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি প্রথম ধরা পড়ে। অথচ গত বছরের নভেম্বরের শেষ দিকে থাইল্যান্ড ছেড়ে ভারতে ফিরে আসা এক তরুণী, যনি চীনেও যাননি, তবু করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
(ছয়) বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে প্রথম মৃত্যুবরণকারী ব্যক্তি সম্পর্কে বলা হয়, 'বিদেশে যান নাই, কিন্তু বিদেশ ফেরত ব্যক্তির মাধ্যমে সংক্রমিত হয়েছেন।' কিন্তু বিদেশ-ফেরত কার মাধ্যমে সংক্রমিত হয়েছেন, তার উল্লেখ কোনো সংবাদমাধ্যমে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
(সাত) যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক রাজ্যে সিওভিড -১৯ এ আক্রান্ত প্রথম ব্যক্তি হিসেবে ৫০ বছর বয়সী এমন এক আইনজীবিকে চিহ্নিত করা হয়েছে, যার শ্বাসকষ্টের অন্তর্নিহিত অসুস্থতা রয়েছে এবং যার কোনও ভ্রমণ ইতিহাস নেই।
(আট) নিউইয়র্কের মতো ক্যালিফোর্নিয়ায়ও এমন এক রোগীকে দ্বিতীয় কোভিড-১৯ রোগী হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে, যিনি ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় যাননি বা আক্রান্ত কারও সংস্পর্শেও ছিলেন না।
(নয়) সিডিসি নিশ্চিত করেছে যে, ভাইরাসটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কমিউনিটি ট্রান্সমিশনে রয়েছে, এটি এমন অনেক আমেরিকানদের সংক্রমিত করেছে যারা বিদেশে ভ্রমণ করেনি বা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কারো সংস্পর্শে আসেনি।
(দশ) ইতালির কডোনো শহরের যে রোগী থেকে সারাদেশে ব্যাপক আকারে করোনা ছড়িয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে ওই রোগী সম্পর্কে জানা গেছে, কডোনো শহরের ওই রোগী চীন ফেরত এক বন্ধুর সঙ্গে দেখা করেছিলেন। কিন্তু তার ওই বন্ধু করোনায় আক্রান্ত ছিলেন না। ডিএনএ পরীক্ষায় দেখা গেছে, ওই রোগীর ভাইরাসের উৎস জার্মানির মিউনিখ বা ফিনল্যান্ড হতে পারে। কিন্তু কিভাবে ওই রোগী করোনায় আক্রান্ত হলেন তা জানা যায়নি।
(এগারো) উত্তর ইতালিতে শনাক্তকৃত ছয়টি করোনাভাইরাসের ঘটনা স্থানীয়ভাবে সংক্রমণ হওয়ার প্রথম জানা ক্ষেত্র। বলা হয়, ছয়জনের কেউই চীন সফর করেছেন বলে মনে করা হয়নি।
(বারো) করোনাভাইরাসে ইরানে এমন দু'জনের প্রাণহানি হয়েছে, যারা ছিলেন ইরানি নাগরিক এবং কোম শহরের বাসিন্দা, দু'জনের কেউ ইরান ছেড়ে গেছেন বলে জানা যায়নি।
(তেরো) যুক্তরাজ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত ব্যক্তির সাথে 'করোনাভাইরাস ছোঁয়াচে' হবার কোনো যোগসূত্র নেই।
যুক্তরাজ্যে সর্বশেষ শনাক্তকৃত একজন রোগী নিজে সম্প্রতি বিদেশ ছিলেন না, এমনকি সম্প্রতি বিদেশ থেকে ফিরে আসা কারও কাছ থেকে এটি প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ছিল কিনা তাও স্পষ্ট নয়।
দীর্ঘ আলোচনার পর এই সিদ্ধান্তে পৌঁছা ছাড়া উপায় নেই, অধিকাংশ দেশে চীন থেকে এই ভাইরাস সংক্রমিত হয়নি, স্থানীয়ভাবেই সংক্রমিত হয়েছে; আবার কিছু কিছু কিছু দেশে এই ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী সংক্রমিত হয়েছে মাত্র, কিন্তু এই ভাইরাস সংক্রমিত হয়নি! মানে এই ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী অন্য দেশে গিয়েছে, কিন্তু ওইসব রোগী থেকে এই ভাইরাস সেই দেশের কাউকে আক্রমণ করেনি। কারণ এটা কোনো ভাইরাস নয়, অন্যকিছু; এটা ছোঁয়াচে নয়, চীন ছাড়া অন্য দেশে যারা এতে আক্রান্ত হয়েছে, তারা হয়তো (১) বাস্তবে নেগেটিভ হয়েও শনাক্তকরণ পদ্ধতির ত্রুটির কারণে পরীক্ষায় পজিটিভ হয়ে গেছে, বিশেষ করে স্থানীয় সংক্রমণের ঘটনাগুলোর ক্ষেত্রে, নয়তো (২) এমন কোনো উৎস থেকে সরাসরিই আক্রান্ত হয়েছে, যে উৎস থেকে চীনের মানুষ আক্রান্ত হয়েছে।
কয়েকটি দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণ সরাসরি এই 'অন্য কিছু', বাকি দেশগুলোতে সংক্রমণ হয়নি, বরং সেসব দেশে অনেকের সাধারণ নিউমোনিয়া বা ইনফ্লুয়েঞ্জা পরীক্ষার ভুলে করোনাভাইরাস হয়ে গেছে, যদিও সত্যিকারার্থে করোনায় আক্রান্ত হয়নি; অনেকের সাধারণ নিউমোনিয়া বা ইনফ্লুয়েঞ্জাকে ভুলভাবে করোনা বলে চিহ্নিত করার কারণে করোনার মতো করেই তাদেরকে চিকিৎসা দেয়ার ফলে অনেক ধুঁকে ধুঁকে মৃত্যুবরণও করেছে। স্থানীয় সংক্রমণের ক্ষেত্রেই এরকম ঘটনা ঘটেছে।