করোনাভাইরাসের প্রকৃত রহস্য (পর্ব-২২) : করোনাভাইরাসের ভয়াবহ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

6 minute read
0
করোনাভাইরাসের প্রকৃত রহস্য
[করোনাভাইরাস : কোত্থেকে ছড়ালো? সত্যিই কি ছোঁয়াচে? সত্যিই কি কোনো ‘ভাইরাস’? মহামারী প্রতিরোধে করণীয়]

 


করোনাভাইরাসের ভয়াবহ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া


করোনাভাইরাসের মারাত্মক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো লকডাউন (দেশ, শহর, গ্রাম), কোয়ারেন্টাইন, আইসোলেশন, মানুষে মানুষে দূরত্ব। এই বিষয়গুলোর সাথে মানবজাতির পরিচয় ছিল খুব কম। কিন্তু করোনাভাইরাসের উপদ্রব এই বিষয়গুলোর সাথে মানবজাতিকে শুধু পরিচয় করিয়েই ছাড়েনি, হাড়ে হাড়ে টের করিয়ে দিয়েছে এগুলোর ভয়াবহতা! মারাত্মক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলোর মধ্যে আরেকটি হলো 'ভাইরাস' নামকরণের কারণে এই রোগে আক্রান্ত কারো কাছে তার একেবারে কাছের কোনো আত্মীয়কেও যেতে না দেয়া, এমনকি এই রোগে আক্রান্ত কারো লাশ তার একেবারে কাছের মানুষও শেষবারের মতোও দেখার সুযোগ না পাওয়া। আরো কিছু পার্শ¦প্রতিক্রিয়া হলো সাধারণ সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত মানুষকেও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ভেবে তার প্রতি অবর্ণনীয় দুর্ব্যবহার, অবজ্ঞা; চিকিৎসার অভাবে সাধারণ সর্দি-কাশি এবং নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত অসংখ্য মানুষের মৃত্যুবরণ; শুধু তাই নয়, অনেক দেশে চিকিৎসাসেবা অনেকাংশে করোনামুখী হয়ে যাবার কারণে অন্য রোগে আক্রান্ত অনেক মানুষের চিকিৎসার অভাবে প্রাণ হারানোর ঘটনা; অনেক ক্ষেত্রে অতিবৃদ্ধদেরকে রেখে অপেক্ষাকৃত কম বয়সীদের চিকিৎসা দিতে যাবার ফলে অতিবৃদ্ধদের চিকিৎসাহীন মৃত্যু।

এই সব প্রাণ ফিরিয়ে আনা কারো পক্ষে কি সম্ভব? করোনাভাইরাসের মারাত্মক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলোর মধ্যে আরেকটি হলো বিমান চলাচল মারাত্মক পর্যায়ে সীমিতকরণের ফলে বিশ্বব্যাপী কোটি কোটি মানুষের সীমাহীন দুর্ভোগ। আরো কিছু মারাত্মক পার্শ¦প্রতিক্রিয়া হলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ, ব্যবসাবাণিজ্যে নজিরবিহীন ধস, লকডাউনের ফলে মাসের পর মাস ধরে কোটি কোটি মানুষের কর্মহীন জীবন যাপন, চরম অর্থাভাবে কঠিন জীবন যাপন করতে হওয়া, বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ঘাটতি এবং মূল্যবৃদ্ধি ইত্যাদি। করোনাভাইরাসের কারণে এমনকি বিবাহ-বিচ্ছেদের ঘটনাও বেড়েছে। 'করোনাভাইরাস: চীনে বাড়ছে বিবাহ বিচ্ছেদ' শিরোনামে ১৮ মার্চ ২০২০ তারিখে ডেইলী স্টারে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, 'করোনাভাইরাসের প্রভাবে চীনে বিবাহ বিচ্ছেদের হার উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেড়েছে বলে দেশটির রেজিস্টার অফিসগুলো জানিয়েছে।
আজ বুধবার ডেইলি মেইলের প্রতিবেদনে এ তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।
চীনের দক্ষিণ-পশ্চিম সিচুয়ান প্রদেশের বিবাহ রেজিস্ট্রি ব্যবস্থাপক লু শিজন বলেছেন, গত ২৪ শে ফেব্রুয়ারির পর থেকে ৩০০ জনেরও বেশি দম্পতি বিবাহ বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
চীনের কর্মকর্তারা মনে করেন, করোনাভাইারাসের প্রভাবে দীর্ঘদিন কোয়ারিন্টিনে থাকার কারণে এই বিচ্ছেদের প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে।
লু বলেন, বর্তমানে বেশিরভাগ মানুষ ঘরে বসে সময় কাটাচ্ছেন। ফলে তারা তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিতর্কে জড়িয়ে পড়ছে এবং বিবাহ বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিচ্ছে।' [https://www.thedailystar.net/bangla/-139603]

'লকডাউনে দ্বিতীয় বিয়ে ফাঁস হওয়ায় সৌদিতে বেড়েছে বিবাহ বিচ্ছেদ' শিরোনামে দৈনিক নয়াদিগন্তে ৪ জুন ২০২০ তারিখে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, 'চলমান করোনাভাইরাস সংকটকালীন সময়ে যখন সারাবিশ্বে জমা হচ্ছে হাজারো বিয়ের আবেদন। তখন সৌদি আরবের হাওয়া বইছে বিপরীত দিকে। দেশটিতে বিবাহ বিচ্ছেদের হার বেড়েছে আগের তুলনায় ৩০ শতাংশ। সৌদি আরবের সংবাদমাধ্যম দ্য নিউ আরব’র প্রতিবেদনে এমন তথ্যই জানা যায়।
দীর্ঘ সময় ধরে সৌদি আরবের পুরুষদের মধ্যে বহুবিবাহের প্রবণতা চলে আসছে। সৌদি আরবে একাধিক স্ত্রী রাখার প্রথা প্রচলিত রয়েছে। সৌদি সংবাদ মাধ্যম দৈনিক ওকাজের খবরে বলা হয়েছে, অন্যান্য সময়ের তুলনায় করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়ার পর দেশটিতে বিবাহ বিচ্ছেদ বা তালাকের সংখ্যা প্রায় এক-তৃতীয়াংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। আর এর কারণ হিসেবে সংবাদ মাধ্যমটিতে বলা হয়েছে যে- সাম্প্রতিক সময়ে বেশিরভাগ বিবাহ বিচ্ছেদের কারণ অধিকাংশ নারীরা লকডাউনের সময় তাদের স্বামীর গোপনে দ্বিতীয় স্ত্রী থাকার কথা আবিষ্কার করেছে।

প্রথম কারফিউ ও ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ার পর শুধু ফেব্রুয়ারিতে সৌদি আরবে সাত হাজার ৪৮২টি তালাক হয়েছে। বেশিরভাগ তালাকের ঘটনা মক্কা ও রিয়াদে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। তবে সংযুক্ত আরব আমিরাত এপ্রিলে ঘোষণা করে, কোভিড -১৯'র কারণে পরবর্তী বিজ্ঞপ্তি না হওয়া পর্যন্ত বিবাহ বিচ্ছেদের কার্যক্রম স্থগিত থাকবে। তবে দুবাইয়ে অনলাইন বিবাহের অনুমতি দেয়া হয়েছে।'
সূত্র : দ্য নিউ আরব [https://www.dailynayadiganta.com/middle-east/505986]

করোনাভাইরাসের কারণে বেড়েছে আত্মহত্যার ঘটনাও। 'চিকিৎসা অবহেলায় করোনাভাইরাস রোগীর আত্মহত্যা' শিরোনামে দৈনিক যুগান্তরে ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, 'দেশের শীর্ষ কর্মকর্তারা স্থানীয়দের পরিস্থিতি আড়াল করার পর করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে উহানে নিজ বাড়িতে এক নাগরিক আত্মহত্যা করেছেন।

সরকারি নোটিসে বলা হয়েছে, এই ব্যক্তি ফলপ্রসূ চিকিৎসা না পাওয়ায় এমন মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় শহরটির জেনক্যাং এলাকার চার কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।-খবর ডেইলি মেইলের

উহানের সুপারভাইজরি কমিশন এই ঘটনা উদঘাটন করেছে। এক বিবৃতিতে কর্তৃপক্ষ বলছে, কিয়াওকোউ জেলার চ্যাংফ্যাং অ্যাভিনিউতে বসবাস করতেন চেং নামের ওই ব্যক্তি। সেখানকার কর্মকর্তারা ওই আক্রান্ত ব্যক্তির স্বাস্থ্য নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্ট করেনি। যদিও তারা জানতেন যে তিনি করোনাভাইরাসে সম্ভাব্য আক্রান্ত হয়েছেন।
অবহেলার কারণে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ তার সঠিক চিকিৎসা করেনি। পরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেন।
কিন্তু চেং কখন এই আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন, তা উল্লেখ করা হয়নি সরকারি প্রতিবেদনে। এতে যে সমাজে বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে তা স্বীকার করা হয়েছে।' [https://www.jugantor.com/international/279801]

'করোনার পাশাপাশি আত্মহত্যার আতঙ্ক' শিরোনামে ডয়চে ভেলের (বাংলা) ওয়েবসাইটে ৮ জুন ২০২০ তারিখে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, 'এক নারীর আত্মহত্যা করোনা সংকট নিয়ে নতুন ভাবনায় ফেলেছে থাইল্যান্ডকে। কাজ হারানোর হতাশা আর দুর্ভাবনায় কেউ আত্মঘাতী হতে চাইলে তাকে বাঁচিয়ে রাখাও এখন বড় চ্যালেঞ্জ। ২০১৯ সালে থাইল্যান্ডে প্রতিমাসে গড়ে ৩৬৮ জন আত্মহত্যা করেছিলেন। এ বছরের প্রথম চার মাসে তা ৩৫০-এ নেমে আসে। তবে করোনার কারণে লকডাউন শুরুর পর থেকে পরিস্থিতি আবার খারাপ হচ্ছে৷ কাজ হারানো অনেকেই খুঁজছেন আত্মহননের পথ।
লকডাউন শুরুর পর থেকে থাইল্যান্ডে আত্মহত্যা আবার বাড়ছে। এ বছরের প্রথম চারমাসে আত্মহত্যা আগের বছরের তুলনায় কমলেও মে মাসে আবার সংখ্যাটা আবার বাড়তে শুরু করে। জাতীয় আত্মহত্যা প্রতিরোধ কেন্দ্রের পরিচালক নাত্তাকর্ন চাম্পাথং মনে করেন, ''ছয় মাস পর (করোনা) সংকট শেষ হলে থাই সরকারকে খুব বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে।'' [https://p.dw.com/p/3dQkF]

'লকডাউনের কারণে ৫০ শতাংশ আত্মহত্যা বেড়ে যাবে অস্ট্রেলিয়ায়' শিরোনামে বাংলাদেশ প্রতিদিনে ৭ মে ২০২০ তারিখে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, 'প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের হানায় বিপর্যস্ত বিশ্ব। দেশে দেশে চলছে লকডাউন। এমন পরিস্থিতিতে মানুষের মধ্যে মানসিক অস্থিরতা বেড়ে যাচ্ছে, বিশেষ করে লকডাউনে ঘরবন্দী থেকে। এতে মানুষ আরও বেশি আত্মহত্যাপ্রবণ হয়ে উঠছে, এমনটিই জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার গবেষকেরা। 
বিবিসি জানায়, করোনা পরিস্থিতিতে আত্মহত্যার ঝুঁকি নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে সিডনি বিশ্ববিদ্যালয় এবং অস্ট্রেলিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন। প্রতিবেদনে বলা হয়, লকডাউনে পড়ে মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি এবং চাকরি ছাঁটাইয়ের ফলে আত্মহত্যার প্রবণতা বেড়ে যেতে পারে মানুষের মধ্যে।
গবেষকদের আশঙ্কা, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার ৫০ শতাংশ বেশি মানুষ আত্মহত্যা করতে পারে। প্রতি বছর অস্ট্রেলিয়ায় ৩ হাজারের মতো আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে। দেশটির সরকার মানসিক স্বাস্থ্যসেবার জন্য এ বছর অতিরিক্ত ৩৫০ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।' [https://www.bd-pratidin.com/coronavirus/2020/05/07/527937]

'লকডাউনের ফলে অর্থসঙ্কট, ভারতীয় অভিনেতার আত্মহত্যা' শিরোনামে বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমে ১৭ মে ২০২০ তারিখে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, 'করোনা ভাইরাসের দুর্যোগের সময় লকডাউনে থেকে আত্মহননের পথ বেছে নিলেন ভারতীয় টেলিভিশন অভিনেতা মানমিত গ্রেওয়াল (৩২)। তার পারিবারিক বন্ধু ও প্রযোজক মানজিত সিং রাজপুত ভারতীয় সংবাদমাধ্যকে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।' [https://www.banglanews24.com/entertainment/news/bd/789055.details]

'লকডাউনে পেছাল বিয়ে, শোকে যুবকের আত্মহত্যা' শিরোনামে জাগোনিউজটোয়েন্টিফোর.কমে ২৮ মে ২০২০ তারিখে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, 'করোনাভাইরাসের কারণে ঘোষিত লকডাউনের জেরে অনির্দিষ্টকালের জন্য বিয়ে পিছিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল পাত্র-পাত্রীর পরিবার। কিন্তু বিয়ে পেছানোর বেদনা বেশিদিন সইতে পারলেন না পাত্র। শোকে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন তিনি।

ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের ঝাড়খন্ড রাজ্যে। গত রোববার (২৪ মে) রাজ্যের জামশেদপুরের বিশ্বকর্মা নগরের বাড়ি থেকে পাত্র সঞ্জিত গুপ্তের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।' [https://www.jagonews24.com/international/news/585684]

পৃথিবীর ইতিহাসে এরকম ভয়াবহ বহুমাত্রিক মহাসঙ্কট আর কখনো সৃষ্টি হয়নি। এই মহাসঙ্কটের পেছনে ছোঁয়াচে বা বায়ুবাহিত রোগের ধারণাও কম দায়ী নয়। বিজ্ঞান প্রাকৃতিক ভুত বিশ্বাস না করে বরং নিজেই কৃত্রিম ভুত সৃষ্টি করে সমাজে নতুন ভুতের আতঙ্ক ছড়িয়ে দেয়ার ফলেই চীনে করোনাভাইরাসের উপদ্রবের পর করোনাভাইরাসের সাথে ওই ভুতের ভয় যুক্ত হয়ে জঘণ্য অনেক পার্শ¦প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। যদি বিজ্ঞানসৃষ্ট এই ভুত না থাকতো, তাহলে এতোসব পার্শ¦প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হতো না।

প্রশ্ন ছিল, কী এমন হলো উহানে, উহান ছাড়া চীন বা বিশ্বের আর কোনো জায়গা করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবস্থল হবার সৌভাগ্য অর্জন করতে পারলো না? উহানের মাটি কি করোনাভাইরাস উৎপাদনের জন্য বেশ উর্বর ছিল?
এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজার আগে আমরা পরিষ্কারভাবে জেনে নিলাম, ব্যাকটেরিয়া, জীবাণু এবং ভাইরাস অস্তিত্বশীল হোক বা না হোক, এগুলো যেমন মানুষের শরীরে কোনো রোগ সৃষ্টি করতে পারে না, কোনো রোগকে একজনের শরীর থেকে আরেকজনের শরীরেও ছড়িয়ে দেয়ার ক্ষমতা রাখে না। আর তার-ও আগে আমরা জেনে নিলাম, ছোঁয়াচে বা বায়ুবাহিত কোনো রোগ নেই!
তাহলে ফলাফল কী দাঁড়ায়?

Post a Comment

0Comments
Post a Comment (0)
To Top