করোনাভাইরাসের প্রকৃত রহস্য (পর্ব-২৫) : উহানের বাতাসে তেজস্ক্রিয় জাতীয় কিছু একটা মিশেছিল

3 minute read
0

 করোনাভাইরাসের প্রকৃত রহস্য

[করোনাভাইরাস : কোত্থেকে ছড়ালো? সত্যিই কি ছোঁয়াচে? সত্যিই কি কোনো ‘ভাইরাস’? মহামারী প্রতিরোধে করণীয়]


উহানের বাতাসে তেজস্ক্রিয় জাতীয় কিছু একটা মিশেছিল, এই অনুমাণের কিছু কারণ:
(এক) অতিক্ষুদ্র ভাইরাস নামক কিছু মানুষের কোনো ক্ষতি করতে পারে না, এটা এই লেখায় পরিষ্কারভাবে বুঝিয়ে বলা হয়েছে। এ পর্যন্ত যেগুলোকে করোনাভাইরাসের কারণ হিসেবে প্রচার করা হয়েছে, সেগুলো যে সত্যিই করোনাভাইরাসের কারণ নয়, সে সম্পর্কে তৃতীয় অধ্যায়ে আলোচনা করা হয়েছে। আলোচনা শেষে সেখানে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাস কোত্থেকে জন্ম নিল বা করোনাভাইরাসের প্রকৃত কারণ কী, এই প্রশ্নের কোনো উত্তরই এখনো চূড়ান্ত হয়নি।
যেসব বিষয়গুলোকে (সমুদ্রের খাবারের পাইকারি বাজারে গমন, বাদুড়, হর্সশু নামের একপ্রকার বাদুড়, ভোঁদড়, বনরুই, সাপ, বেলুগা, তিমি, বাজারটিতে বিক্রিত অনেক জীবন্ত প্রাণী যেমন মুরগি, বাদুড়, খরগোশ, সাপ খাওয়া) এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসের কারণ বলে প্রচার করা হয়েছে, সত্যিই সেসব কোনো কারণে করোনাভাইরাসের উপদ্রব হলে করোনাভাইরাসকে 'ভাইরাস' বলার সুযোগ থাকতো। কারণ সেসব কারণের সাথে 'ছোঁয়াচে' বা ভাইরাস হবার সম্পর্ক জুড়ে দেয়ার সুযোগ আছে। কিন্তু প্রচারিত কোনো কারণ করোনাভাইরাসের উপদ্রবের জন্য দায়ী নয় বলে যখন সাব্যস্ত হলো, তখন করোনাভাইরাসকে 'ভাইরাস' বলার কি কোনো সুযোগ থাকে?

ঐ অধ্যায়ের শেষে দৈনিক সংবাদে ২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে প্রকাশিত 'যেভাবে ছড়াল করোনাভাইরাস' শিরোনামে একটি প্রতিবেদন থেকে একটি উদ্ধৃতি উল্লেখ করা হয়, যেখানে বলা হয়, 'নতুন এ প্রাণঘাতী ভাইরাসের সংক্রমণ কোথা থেকে শুরু হয়েছে সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিত হতে পারেননি বিশেষজ্ঞরা।'

'China reports 1st death from new type of coronavirus' শিরোনামে এবিসি নিউজের ওয়েবসাইটে ১১ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে (By The Associated Press) বলা হয়, 'China says the cause of the Wuhan outbreak remains unknown, but has sought to quash speculation that it could be a reappearance of the SARS epidemic, which killed hundreds in 2002 and 2003.' [https://abcnews.go.com/Health/wireStory/china-reports-1st-death-type-coronavirus-68209413]

তাছাড়া করোনাভাইরাস সম্পর্কে উইকিপিডিয়ায় প্রকাশিত '2019–20 Wuhan coronavirus outbreak (নিবন্ধটির শিরোনাম বেশ কয়েকবার পরিবর্তিত হয়েছে, তাছাড়া উইকিপিডিয়ার নিবন্ধগুলো হালনাগাযোগ্য)' শিরোনামের একটি নিবন্ধসহ অনেক ওয়েবসাইটে প্রকাশিত অনেক নিবন্ধ ও প্রতিবেদনে চীনের উহানের মানুষকে ব্যাপকহারে আক্রমণকারী এই রোগকে ‘অজ্ঞাত কারণে নিউমোনিয়া’ বলেই আখ্যায়িত করা হয়েছে।

যেহেতু করোনাভাইরাসের কোনো কারণ এখনো সঠিক বলে প্রমাণ করা যায়নি, তাই যে কারণগুলো এ পর্যন্ত প্রচারিত হয়েছে, সেগুলো সত্যিকারার্থে করোনাভাইরাসের কোনো কারণ নয়, বরং এগুলো নিছক অনুমাণ অথবা করোনাভাইরাসের কারণ বলে উদ্দেশ্যমূলক প্রচার। যদি কারণ বলে প্রমাণিত হতো, তাহলে হয়তো করোনাভাইরাস একটা ভাইরাস হবার সম্ভাবনা থাকতো। কিন্তু সত্যিকারার্থে করোনাভাইরাসের কোনো কারণ নেই। কিন্তু কারণ ছাড়া তো আর উহানের মানুষ আকস্মিকভাবে ব্যাপক হারে মারাত্মক ধরনের নিউমোনিয়ায় ভুগতে শুরু করেনি। যেহেতু সমস্যাটা ফুসফুস সংক্রমণ, তাই বুঝাই যায় এটা বাতাসের সাথে মিশে ফুসফুসে কিছু প্রবেশ করা থেকেই সৃষ্ট।

(দুই) নিউমোনিয়া এবং ইনফ্লুয়েঞ্জা জাতীয় রোগগুলো বায়ুর মাধ্যমে একজন থেকে আরেকজনে ছড়াতে পারে না বলে এ নিবন্ধে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে। যদি ছড়াতে না পারে তাহলে করোনাভাইরাস কিভাবে একজন থেকে আরেকজনে ছড়াবে, যেহেতু এর ফলে মানুষ নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়, এমনকি নিউমোনিয়ার লক্ষণে আর এ ভাইরাসের লক্ষণে তেমন একটা ব্যবধান নেই।
যেহেতু নিউমোনিয়া একজন থেকে আরেকজনে ছড়ানোর সম্ভাবনা নেই, তাই এটা হবার সম্ভাবনাই বেশি, উহানের বাতাসের সাথে কোনো বিষাক্ত বস্তু মিশে যাবার ফলেই মানুষ 'অজ্ঞাত কারণে নিউমোনিয়া' তথা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হতে শুরু করেছে। সেই বিষাক্ত বস্তু নিঃশ্বাসের মাধ্যমে যেসব মানুষের ফুসফুসে প্রবেশ করেছে, তারাই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে।

(তিন) ছোঁয়াচে বা বায়ুবাহিত কোনো রোগ নেই। শুধু নিউমোনিয়া এবং ইনফ্লুয়েঞ্জা নয়, কনজাংটিভাইটিস এবং পক্সও যে ছোঁয়াচে নয়, সে সম্পর্কেও ইতোপূর্বে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। যদি ছোঁয়াচে বা বায়ুবাহিত কোনো রোগ না থাকে, তাহলে এই ভাইরাস কিভাবে 'ভাইরাস' হয়ে বায়ুর মাধ্যমে একজন থেকে আরেকজনের শরীরে ছড়াবে! সম্ভব নয়। এটা উহানের মানুষকে সরাসরি আক্রমণকারী বায়ুতে মিশ্রিত কোনো বিষক্রিয়া থেকে সৃষ্টি হবার সম্ভাবনাই বেশি।

Post a Comment

0Comments
Post a Comment (0)
To Top