করোনাভাইরাসের প্রকৃত রহস্য
[করোনাভাইরাস : কোত্থেকে ছড়ালো? সত্যিই কি ছোঁয়াচে? সত্যিই কি কোনো ‘ভাইরাস’? মহামারী প্রতিরোধে করণীয়]
দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ
দৈনিক যুগান্তরে ২১ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে 'এশিয়ায় ছড়াচ্ছে নয়া ভাইরাস' শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, 'ডা, সেবরিনা ফ্লোরা (ঢাকার রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট বা আইসিডিডিআরের পরিচালক) বলছিলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আমাদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে এবং তারা আশঙ্কা করছে মানুষ থেকে মানুষে ছড়াতে পারে তবে এখনও এত বৃহৎ পরিসরে ভাবছে না সংস্থাটি এবং ভাইরাস ছোঁয়াচে কিনা সে ব্যাপারে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নিশ্চিত করে কিছু বলেনি।'
এখানে বলা হয়েছে, 'ভাইরাস ছোঁয়াচে কিনা সে ব্যাপারে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নিশ্চিত করে কিছু বলেনি।'
'করোনাভাইরাস আতঙ্ক: অবরুদ্ধ হয়ে পড়ছে একের পর এক চীনা শহর' শিরোনামে বিবিসি বাংলায় ২৩ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, 'ভাইরাসটির প্রকোপ দেখা দেওয়ার পর ধারণা করা হয়েছিল এটি শুধু প্রাণীর কাছ থেকে ছড়াতে পারে। কিন্তু পরে এই ভাইরাস একজন মানুষের কাছ থেকে আরেকজন মানুষের শরীরেও সংক্রমণের প্রমাণ পাওয়া গেছে।
তবে এটি কিভাবে মানবদেহ থেকে আরেক মানবদেহে ছড়ায় সেটি এখনও রহস্য হিসেবেই রয়ে গেছে।' [https://www.bbc.com/bengali/news-51222815]
এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, 'ভাইরাস ছোঁয়াচে কিনা সে ব্যাপারে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নিশ্চিত করে কিছু বলেনি।' আরেক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, 'এটি কিভাবে মানবদেহ থেকে আরেক মানবদেহে ছড়ায় সেটি এখনও রহস্য হিসেবেই রয়ে গেছে।'
তবু কেন নিউমোনিয়া, ইনফ্লুয়েঞ্জা এই রোগগুলোর মতো করোনাভাইরাসকেও ছোঁয়াচে রোগ মনে করা হয় এবং নিউমোনিয়া, ইনফ্লুয়েঞ্জা ইত্যাদি রোগে আক্রান্তদের সাথে যে আচরণ করা হয়, এই ভাইরাসে আক্রান্তদের সাথেও সে রকম আচরণ করা হয়? পুরো উহান শহরকে এখন ‘কোয়ারেন্টাইন’ বানিয়ে ফেলা হয়েছে, তালাবদ্ধ করা হয়েছে। আরো অনেক দেশে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে ঐসব লোকদেরকে, উহানে এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর যারা উহান থেকে ফিরেছে এবং যাদেরকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বলে শনাক্ত করা হয়েছে।
উহান থেকে কাউকে বের হতে দেয়া হচ্ছে না। উহানে কাউকে ঢুকতেও দেয়া হচ্ছে না। কেন? শুধু করোনাভাইরাসকে নিউমোনিয়া এবং ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো ছোঁয়াচে রোগ মনে করার কারণেই। অথচ নিউমোনিয়া, ইনফ্লুয়েঞ্জা এগুলোও কোনো ছোঁয়াচে রোগ নয় বলে আমরা প্রথমেই পরিষ্কারভাবে জানলাম।
'নিউমোনিয়া, ইনফ্লুয়েঞ্জা এগুলো কোনো ছোঁয়াচে রোগ নয়', এই ধারণাটা যদি আগে থেকে প্রচলিত থাকতো, তাহলে উহানে প্রথম যারা করোনাভাইরাসে বা নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে, তাদের সাথে কেমন ব্যবহার করা হতো? প্রথমে যারা করোনাভাইরাসে বা নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়নি, তাদের সাথেই বা কেমন আচরণ করা হতো? একটু ভেবে দেখুন। একটু ভাবলেই অবাক হয়ে যেতে পারেন। আপনার ভাবনার সাথে এই লেখার ভাবনা মিলে কিনা, যাচাই করার জন্য লেখাটি শেষ পর্যন্ত পড়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।