করোনাভাইরাসের প্রকৃত রহস্য (পর্ব-৪৬) : এই নিবন্ধ পড়ার পর যে ধারণাগুলোর সাথে পরিচিত হওয়া যাবে

3 minute read
0

 করোনাভাইরাসের প্রকৃত রহস্য

[করোনাভাইরাস : কোত্থেকে ছড়ালো? সত্যিই কি ছোঁয়াচে? সত্যিই কি কোনো ‘ভাইরাস’? মহামারী প্রতিরোধে করণীয়]


বর্তমান নিবন্ধ পড়ার পর যে ধারণাগুলোর সাথে পরিচিত হওয়া যাবে:
(এক) ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং নিউমোনিয়া কোনো ছোঁয়াচে বা বায়ুবাহিত রোগ নয়।
(দুই) কনজাংটিভাইটিস এবং পক্সও কোনো ছোঁয়াচে বা বায়ুবাহিত রোগ নয়।
(তিন) যক্ষ্মা এবং কলেরাও ছোঁয়াচে বা বায়ুবাহিত রোগ নয়।
(চার) পৃথিবীতে বায়ুবাহিত এবং ছোঁয়াচে কোনো রোগই নেই। কোনো রোগ একজনের শরীর থেকে আরেকজনের শরীরে বায়ুর মাধ্যমে লাফিয়ে লাফিয়ে যাওয়ার ধারণা সম্পূর্ণ কাল্পনিক। শারীরিক ছোঁঁয়ার মাধ্যমেও কোনো রোগ এক শরীর থেকে আরেক শরীরে প্রবাহিত হতে পারে না। রোগ একটা শারীরিক সমস্যা। শরীরের সাথে মিশে থেকে মানুষকে যন্ত্রণা দেয়। মানুষ কোনো না কোনো কারণে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়। কোনো কারণের সাথে সম্পর্কিত নয়, এমন কেউ কোনো রোগীকে স্পর্শ করলে রোগটি ঐ লোকের শরীরে চলে যেতে পারে না। এজন্য ছোঁয়াচে হওয়াটাও সম্পূর্ণ কাল্পনিক ধারণা।
(পাঁচ) ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া এবং জীবাণুর ধারণা বিজ্ঞানেরই সৃষ্টি ।বিজ্ঞান বলে, এগুলো খালি চোখে দেখা যায় না; এগুলো দেখতে মাইক্রোস্কোপ লাগে; সাধারণ মানুষ সচরাচর এগুলো দেখার সুযোগ পায় না)। এগুলো সত্যিই অস্তিত্বশীল হয়ে থাকলেও এগুলো মানুষের কোনো ক্ষতি করার শক্তি বা ক্ষমতা রাখে না; মানুষের শরীরে রোগ সৃষ্টি এবং একজনের শরীর থেকে আরেকজনের শরীরে কোনো রোগ ছড়িয়ে দেয়া দূরের কথা।

ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া এবং জীবাণু নিয়ে যারা চর্চা করেন, তাদেরকে একটু পেছনে আসতে হবে। ভাবতে হবে পূর্ববর্তীরা উপকার করতে গিয়ে বুঝার ভুলে কি মানুষের ক্ষতির পথই খুলে গেছে? এই নিবন্ধে সেই ভাবনার পথের দিকে শুধু ইঙ্গিত দেয়া হয়নি, বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে, ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া এবং জীবাণু বিজ্ঞানের সৃষ্টি করা ভুত। বাস্তবের ভুত অস্তিত্বশীল থাকলেও বিজ্ঞানের সৃষ্ট এই ভুত অস্তিত্বহীন।
(ছয়) করোনাভাইরাস কোনো ভাইরাস নয়, উহানে স্থাপিত ভাইরোলজি ল্যাব থেকে ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃতভাবে উহানের বাতাসে ছড়িয়ে দেয়া বা ছড়িয়ে পড়া অদৃশ্য বিষের প্রতিক্রিয়া মাত্র। নামে ভাইরাস হলেও করোনাভাইরাস কোনো 'ভাইরাস' তো নয়ই, ছোঁয়াচে বা সংক্রামকও নয়।
(সাত) চীন ছাড়া অন্য কয়েকটি দেশেও উহানের মতোই অদৃশ্য বিষ ইচ্ছাকৃতভাবে ছড়িয়ে দেয়ার ফলে সেসব দেশেও করোনাভাইরাসের উপদ্রব দেখা দিয়েছে। উহান থেকে এই রোগ অন্য কোনো দেশে ছড়ায়নি।
(আট) বিজ্ঞানের তৈরি অদৃশ্য যে বিষ উহান এবং অন্য কিছু দেশের বাতাসে মিশে যাবার কারণে মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে, সেই বিষ অন্য এলাকার যাদের নাকে প্রবেশ করেনি, তারা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়নি।
(নয়) (ক) করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কোনো রোগীর সংস্পর্শে কোনোভাবে যাওয়া ছাড়া বিভিন্ন দেশে যারা পরীক্ষায় করোনাভাইরাস পজিটিভ হয়েছে, বিশেষত স্থানীয়ভাবে সংক্রমিত রোগীরা এবং (খ) যেসব দেশে অদৃশ্য বিষ ছড়ানো হয়নি, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কেউ সেসব দেশে যাবার পর তাদের সংস্পর্শে আসার পর যারা পরীক্ষায় করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়েছে, এই দুই শ্রেণির মানুষ পরীক্ষার ভুলেই করোনায় 'আক্রান্ত' হয়েছে, বাস্তবে নয়। কারণ করোনা রোগীর সংস্পর্শে না এসে কারোনায় আক্রান্ত হওয়া দূরের কথা, করোনা রোগীর সংস্পর্শে আসার পরও কেউ করোনায় আক্রান্ত হতে পারে না, অসংখ্য ঘটনা এবং তথ্য/প্রতিবেদন দ্বারা এটা প্রমাণিত।

যে কোনো কারণে কোনো এলাকার বাতাস বা পানি দূষিত বা বিষাক্ত হলে সেই এলাকার মানুষ বিষের ধরণ অনুযায়ী ভিন্ন ভিন্ন রোগে ব্যাপক হারে আক্রান্ত হতে শুরু করে। এটাকেই মহামারী বলে।মহামারী বা যে কোনো কথিত ছোঁয়াচে রোগে প্রথমে যে বা যারা আক্রান্ত হয়, পরে যারা আক্রান্ত হয়, তারাও সে কারণেই আক্রান্ত হয়। প্রথমে আক্রান্তদেরকে মাটিতে জীবন্ত প্রোথিত করে ফেললেও পরে আক্রান্তরা ওই রোগে আক্রান্ত হতো প্রথমে আক্রান্তরা যে কারণে আক্রান্ত হয়েছে, সে কারণেই। যেহেতু কোনো রোগ একজন থেকে বায়ু বা ছোঁয়ার মাধ্যমে আরেকজনের শরীরে ছড়াতে পারে না এবং কোনো এলাকায় বাতাস বা পানি দূষিত বা বিষাক্ত না হলে সে এলাকায় ঐ নির্দিষ্ট রোগ ছড়াতে পারে না, তাই কোনো এলাকায় মহামারী দেখা দিলে মহামারী থেকে বাঁচতে কী করা উচিত?

এই নিবন্ধ পুরোটা মনোযোগ সহ পড়ার পর এই প্রশ্ন নিয়ে ভাবলে সাধারণ জ্ঞানের অধিকারী অনেক মানুষ এই প্রশ্নের সম্ভাব্য সঠিক উত্তর খুঁজে পেতে সক্ষম হবে।

Post a Comment

0Comments
Post a Comment (0)
To Top