করোনাভাইরাসের প্রকৃত রহস্য (পর্ব-৪৮) : এই নিবন্ধ (বই) নিয়ে দুটি কথা ও কিছু ভবিষ্যদ্বানী

4 minute read
0

 করোনাভাইরাসের প্রকৃত রহস্য

[করোনাভাইরাস : কোত্থেকে ছড়ালো? সত্যিই কি ছোঁয়াচে? সত্যিই কি কোনো ‘ভাইরাস’? মহামারী প্রতিরোধে করণীয়]


এই নিবন্ধ নিয়ে দু'টি কথা
এই নিবন্ধে শত শত ত্রুটি থেকে যেতে পারে, অসংখ্য অসঙ্গতি থেকে যেতে পারে। কারণ (১) এটা একটা খসড়া মাত্র। (২) এই নিবন্ধ তৈরির সময় সব সময় মনে হয়েছে, এমন একজন লোককে একা একা এই নিবন্ধ তৈরি করতে হচ্ছে, যে জন্ম থেকে বেশ দুর্বল মেধার অধিকারী এবং বাংলা ব্যতীত ইংরেজি ভাষাটাও যার পূর্ণ দখলে নেই। যদি শক্তিশালী মেধার অধিকারী এবং কয়েকটা ভাষায় পারদর্শী অন্য কেউ বা যে এই নিবন্ধ তৈরি করছে, তার মতো ১০০ জন লোক মিলে তৈরি করতো, তাহলে এটি এর চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী হতো। কিন্তু দুর্ভাগ্য, নিবন্ধটি তৈরির কাজে একজন দুর্বল মেধার অধিকারী, সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অনভিজ্ঞ এবং মাত্র একটি ভাষায় পারদর্শী লোককে হাত দিতে হয়েছে।
এটা একটা খসড়া মাত্র। প্রথম বিমান আবিষ্কারটা যেভাবে ছিল একটা খসড়া। কিন্তু সেই বিমানই মানুষকে আকাশে ওড়ার অসম্ভব কাজটা সম্ভব প্রমাণ করেছে। পরবর্তীতে বিমানে আরো অনেক সংযোজন এসেছে, আরো আধুনিকায়ন এসেছে। কিন্তু খসড়া হলেও প্রথম বিমান যা প্রমাণ করা দরকার, তা প্রমাণে যথেষ্ট ছিল।

'বিশ্বাস থেকে স্বপ্ন, তারপর অর্জন' শিরেনামে দৈনিক যুগান্তরে ২৬ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখে প্রকাশিত একটি ক্ষুদে নিবন্ধে বলা হয়, '১৯০৩ সালের ১৭ ডিসেম্বর বেলা ১০টা। পৃথিবীর ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বাতাসের চেয়ে ভারী শক্তিচালিত এক যান নিয়ে মানুষ সফলভাবে আকাশে উড়ল, হাজার বছর ধরে যা ছিল শুধু এক অসম্ভব কল্পনা। আর তা করলেন দুভাই- উইলবার রাইট এবং অরভিল রাইট। মজার ব্যাপার হল, তারা কেউ কিন্তু কোনো বিজ্ঞানী ছিলেন না। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অংক, পদার্থবিজ্ঞান বা অ্যারোনটিকেল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে তাদের কোনো উচ্চতর ডিগ্রি ছিল না, এমনকি হাইস্কুলের গন্ডিও তারা পেরোন নি। ডেটনের দুজন বাইসাইকেল মিস্ত্রি কি করে এই অসম্ভবকে সম্ভব করলেন? ছোটবেলায় বাবার এনে দেয়া একটি উড়ন্ত খেলনা থেকেই দুভাইয়ের মাথায় প্রথম উড়ে যাওয়ার চিন্তা জাগে। তারপর বছরের পর বছর ধরে গবেষণা, চেষ্টা, ব্যর্থতার পর তারা লাভ করেন এ সাফল্য।' [https://www.jugantor.com/todays-paper/tutorials/259785]

এই নিবন্ধে আরো সংযোজন তো হতেই পারে, কিছু বিয়োজনও হতে পারে পরবর্তীতে। যে কোনো নিবন্ধে এই সংযোজন ও বিয়োজনের বিষয়টা বেশ স্বাভাবিক। কিছুটা অস্বাভাবিক হতে পারে উপন্যাসের ক্ষেত্রে। তবু উপন্যাসেও এরকম হয়ে থাকে মাঝে মধ্যে। একটা উদাহরণ দেখা যাক:

'দ্য আইস অব ডার্কনেস : রহস্যজনক এক বই' শিরোনামে  প্রথম আলোয় ২০ মার্চ ২০২০ তারিখে একটি প্রতিবেদন (তৈরি করেন: মারুফ ইসলাম) প্রকাশিত হয়। সেখানে বলা হয়, 'হঠাৎ করেই একদিন নিখোঁজ হয়ে যায় ড্যানি। খুঁজে খুঁজে হয়রান তার মা ক্রিশ্চিয়া ইভানস। জানেন না ছেলে বেঁচে আছে, নাকি মারা গেছে। অনেক পরে জানা যায়, ছেলে দুর্ঘটনাবশত মানুষের তৈরি বিষাক্ত এক ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আটকা পড়ে আছে চীনের এক সামরিক গবেষণাগারে। এমন একটি প্লট নিয়ে গত শতকের ১৯৮১ সালে একটি থ্রিলার উপন্যাস লিখেছিলেন মার্কিন ঔপন্যাসিক ডন কুন্টজ। সেই উপন্যাস সম্প্রতি নতুন করে উঠে এসেছে আলোচনায়। ফলে হু হু করে বেড়ে গেছে এর বিক্রি। বই বিক্রির অনলাইন প্ল্যাটফর্ম আমাজন ডটকমের সর্বাধিক বিক্রিত বইয়ের তালিকায় বইটি এখন রয়েছে ৩ নম্বরে।
এ বইয়ের নাম দ্য আইস অব ডার্কনেস।

আর ভাইরাসটির নাম? উহান-৪০০! ...

মজার ব্যাপার হচ্ছে, ১৯৮১ সালে প্রকাশিত দ্য আইস অব ডার্কনেস এ প্রথমে ভাইরাসটির নাম উহান-৪০০ ছিল না। তখন তার নাম ছিল 'গোর্কি-৪০০'। এটি রাশিয়ার একটি শহরের নাম। পরবর্তীকালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর ১৯৯১ সালে বইটির নতুন সংস্করণে কুন্টজ চীনকে একটি খলরাষ্ট্র হিসেবে উপস্থাপন করেন এবং ভাইরাসের নাম চীনের উহান শহরের নাম অনুসারে 'উহান-৪০০' রাখেন।
কেন নবতর সংস্করণে কুন্টজ এমন পরিবর্তন আনলেন? সে ব্যাপারেও মুখ খুলছেন না এই মার্কিন ঔপন্যাসিক।'  [https://www.prothomalo.com/onnoalo/article/1645839]

একটি উপন্যাস (কাল্পনিক গল্প) রচনার ১০ বছর পর যদি উপন্যাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশে আমূল পরিবর্তন আসতে পারে, এই নিবন্ধে আসতে পারবে না কেন! তবে এই নিবন্ধে দ্য আইস অব ডার্কনেসের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কোনো পরিবর্তন আসবে কিনা, বলা না গেলেও ছোটোখাটো বিষয়ে পরিবর্তন আসতে পারে পরবর্তী সংস্করণে।

এই নিবন্ধের সৌজন্যে কিছু ভবিষ্যদ্বানী
(এক) টীকা বা কোনো প্রতিষেধক দিয়ে ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং নিউমোনিয়া থেকে মানুষ কখনোই পুরোপুরি মুক্তি লাভ করবে না।
(দুই) ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ এবং হৃদরোগ প্রতিরোধের কোনো টীকা বা প্রতিষেধক কখনো আবিষ্কার করা যাবে না। এই তিনটি রোগ প্রতিরোধের মাধ্যমে দীর্ঘজীবন লাভের উপায় সম্পর্কে একটি দীর্ঘ নিবন্ধ তৈরি করা আছে, যা এখনো বই আকারে প্রকাশিত হয়নি। নিবন্ধটির প্রথম পর্ব এই লিঙ্কে গিয়ে পড়া যাবে: https://bit.ly/2V2ckDO
প্রতি পর্ব শেষে পরবর্তী পর্বের লিঙ্ক সংযুক্ত করা হয়েছে।
(তিন) কোনো রোগ মানুষের মধ্যে ছোঁয়াচের মতো করে ছড়িয়ে দেয়া যাবে না। অন্য কথায়, বায়ুতে বা পানিতে কোনো রোগ ছড়িয়ে দেয়া যাবে না।
(চার) বিজ্ঞান এমন কোনো ভাইরাস আবিষ্কার করতে পারবে না, যা বায়ুতে বা পানিতে ছড়িয়ে দিলে তা একজন থেকে আরেকজনে ছড়িয়ে পড়বে। বরং বিজ্ঞান শুধু আবিষ্কার করতে পারবে এমন কোনো পদার্থ বা ক্যামিক্যাল, যা বায়ুতে বা পানিতে ছড়িয়ে দিলে মানুষ সেই ক্যামিকেলের বিষক্রিয়ায় ক্ষতিগ্রস্থ হবে। যেমন মশার কয়েল বা স্প্রে বাতাসে বিষক্রিয়া সৃষ্টি করার ফলে মশা ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
(পাঁচ) জীবাণু অস্ত্র নামে কিছু আবিষ্কার করা সম্ভব নয়; সম্ভব রাসায়নিক অস্ত্র। রাসায়নিক অস্ত্রের প্রয়োগের ফলে বায়ুর স্বাভাবিকত্ব যে কোনোভাবে ক্ষুন্ন হতে পারে অথবা রাসায়নিক অস্ত্রের তেজস্ক্রিয়তা বায়ুর সাথে মিশে যাবার ফলে মানুষ নিঃশ্বাস নিতে গেলে ঐ তেজস্ত্রিয়ায় মানুষের ফুসফুস আক্রান্ত হয়ে মানুষ নিউমোনিয়া বা অন্য কোনো ক্ষতির মুখোমুখি হতে পারে।
কিন্তু যারা মৃত্যুকে স্বীকার করে; মৃত্যু এড়ানোর কোনো কৌশল এখনো খুঁজে পায়নি; মৃত্যুর পর দিন যতো যাবে, পৃথিবীতে তত নিজের নাম ধূসর হতে থাকবে, এই বিষয়টা 'ভালোভাবে' বুঝে; কমপক্ষে এটা বুঝে, আমি যতো কিছুই হই না কেন, বেশি দিন বাকি নেই, সকল চেয়ার ছেড়ে দিতে হবে, তারা পৃথিবীতে মুনষত্বের চেতনা বিরোধী কোনো কাজ করবে না, করতে পারে না।

শুধু 'নিজ দেশের মানুষ'কে নয়, আমরা 'মানুষ'কে ভালোবাসবো।

Post a Comment

0Comments
Post a Comment (0)
To Top