করোনাভাইরাসের প্রকৃত রহস্য (পর্ব-৮) : চীন ব্যতীত অন্যান্য দেশে ভাইরাসটি কি চীন থেকেই ছড়িয়েছে?

52 minute read
0
করোনাভাইরাসের প্রকৃত রহস্য
[করোনাভাইরাস : কোত্থেকে ছড়ালো? সত্যিই কি ছোঁয়াচে? সত্যিই কি কোনো ‘ভাইরাস’? মহামারী প্রতিরোধে করণীয়]


চতুর্থ পরিচ্ছেদ

এবার আমরা একটু দেখে নিই, চীন ব্যতীত অন্যান্য দেশে ভাইরাসটি কি চীন থেকেই বা চীনে সংক্রমিত মানুষ থেকেই সংক্রমিত হয়েছে?
ইতিপূর্বে অনেকগুলো ঘটনা উল্লেখ করা হয়েছে, যেগুলোতে দেখানো হয়েছে, করোনাভাইরাস চীনের বাইরে যেসব দেশে ছড়িয়েছে, সেসব দেশের এমন সব লোকই এই ভাইরাসে বেশি আক্রান্ত হয়েছে, যারা চীনের উহান থেকে সেসব দেশে গিয়েছিল। তবে এর বাইরেও বিভিন্ন দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের আরো কিছু ঘটনা আছে, যেগুলোকে 'মানুষ থেকে মানুষে সংক্রমণ' বলে মনে করা হচ্ছে। প্রথমে মানুষ থেকে মানুষে সংক্রমণ সম্পর্কিত কিছু প্রতিবেদন দেখা যাক:

সিএনএনের ওয়েবসাইটে ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে 'These are the countries where novel coronavirus cases have been confirmed worldwide' শিরোনামে প্রকাশিত এবং ২৪ ঘন্টা হালনাগাদকৃত একটি নিবন্ধে (By Eric Cheung, CNN) এ পর্যন্ত চীনের বাইরে কোন দেশে কতজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে, তার একটা পরিসংখ্যান উল্লেখ করা হয়েছে। নিবন্ধটিতে বলা হয়, 'China's National Health Commission has confirmed the virus can be transmitted from person to person through "droplet transmission" -- where a virus is passed on due to an infected person sneezing or coughing -- as well as by direct contact.

There are at least 1,100 confirmed cases of novel coronavirus in 29 countries and territories outside mainland China. More than 600 of those cases are linked to the stricken Diamond Princess cruise ship docked in YokohamaJapan.
Eleven people have died outside of mainland China from the virus. Three deaths have been recorded in Japan, including two Diamond Princess passengers. Hong Kong and Iran have recorded two deaths each, with one death each in South Korea, the PhilippinesTaiwan, and France.
Several countries, including the United States and Japan, have evacuated their nationals on flights from Wuhan, capital of Hubei province and the epicenter of the outbreak. The US and other countries have also evacuated passengers from the Diamond Princess.' [https://edition.cnn.com/2020/01/29/asia/coronavirus-cases-worldwide-intl-hnk/index.html]

কাতারভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরার ওয়েবসাইটে 'How does coronavirus spread and how can you protect yourself?' শিরোনামে ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে প্রকাশিত এবং ২৪ ঘন্টা হালনাগাদকৃত একটি প্রতিবেদনে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ সম্পর্কে বলা হয়,
'How is the coronavirus spreading?
The coronavirus - known as COVID-19 - spreads from person to person in close proximity, similar to other respiratory illnesses, such as the flu.
Droplets of bodily fluids - such as saliva or mucus - from an infected person are dispersed in the air or on surfaces by coughing or sneezing.
These droplets can come into direct contact with other people or can infect those who pick them up by touching infected surfaces and then their face.
According to scientists, coughs and sneezes can travel several feet and stay suspended in the air for up to 10 minutes.
It is not yet known how long the virus can survive outside a host but, in other viruses, it ranges from a few hours to months.' [https://www.aljazeera.com/news/2020/01/coronavirus-spread-protect-200130115539072.html]

এই প্রতিবেদনগুলোতেও করোনাভাইরাস মানুষ থেকে মানুষে সংক্রমিত হবার কথা জোর দিয়ে বলা হয়েছে। যেমন সিএনএনের নিবন্ধে বলা হয়েছে, 'China's National Health Commission has confirmed the virus can be transmitted from person to person through "droplet transmission" -- where a virus is passed on due to an infected person sneezing or coughing -- as well as by direct contact.'

অপরদিকে আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, 'The 2019-nCoV coronavirus spreads from person to person in close proximity, similar to other respiratory illnesses, such as the flu.
Droplets of bodily fluids - such as saliva or mucus - from an infected person are dispersed in the air or on surfaces by coughing or sneezing.'

হাঁচি, কাশি, শ্লেষ্মা, লালা ইত্যাদির মাধ্যমে একজনের রোগ আরেকজনের শরীরে ছড়ায় (বিশেষ করে নিউমোনিয়া, ফ্লু বা ইনফ্লুয়েঞ্জা ইত্যাদি), এমন ধারণা অনেক আগ থেকেই প্রচলিত থাকার কারণে করোনাভাইরাস একজন থেকে আরেকজনের শরীরে ছড়ানোর আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে চীনসহ সারাবিশ্বে। নিউমোনিয়া, ফ্লু এরকম রোগ কোনোভাবে একজন থেকে আরেকজনের শরীরে ছড়াতে পারে না, এই বিশ্বাসটা মানুষের আগে থেকে থাকলে করোনাভাইরাসের নামই হয়তো এমন হতো না (অবশ্য ১১ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা '2019-nCoV coronavirus' নামটা পরিবর্তন করে নতুন নাম রেখেছে 'COVID-19')। এমনকি চীনের উহানের মানুষ হঠাৎ করে অতিমাত্রায় এবং ব্যাপকহারে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হতে শুরু করার পর সবাই আগে খুঁজতে শুরু করতো, কোত্থেকে মানুষ ফুসফুসের এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছে? কী কারণে মানুষ এতো ব্যাপকহারে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে? খুঁজতে খুঁজতে একসময় হয়তো প্রকৃত কারণ বের হয়ে আসতো। কিন্তু 'নিউমোনিয়া একটি ছোঁয়াচে বা সংক্রামক রোগ', আগ থেকে এমন বিশ্বাস প্রচলিত থাকার কারণে যখনই দেখা যায়, বিশ্বের কোথাও একসাথে হাজার হাজার মানুষ নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে, তখন একই পরিবেশে বাস করা একাধিক ব্যক্তি নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হলে আমরা নিশ্চিতভাবে ধরে নিই, এটি একটি ছোঁয়াচে 'ভাইরাস', যা একজন থেকে আরেকজনে ছড়িয়ে পর্যায়ক্রমে সব মানুষকে আক্রমণ করবে। কিন্তু এই ভাবনাটা আমাদের মনে কোনোভাবে আসে না, যেই কারণে একজন  লোক আক্রান্ত হয়েছে, সেই একই কারণে একাধিক লোকও আক্রান্ত হতে পারে; এক জন থেকে আরেকজনে ছড়ানো আবশ্যক নয়। আমরা কারণ না খুঁজে যারা প্রথমে আক্রান্ত হয়েছে, তাদের নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হওয়াকেই অন্যদের নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হবার কারণ বলে মনে করে বসি! শুধু তা-ই নয়, কখনো কখনো মনে করি, প্রথমে আক্রান্ত হওয়া লোকদেরকে সমাজ থেকে বিতাড়িত করে ফেললেই এই অভিশাপ দূর হয়ে যাবে!

এই লেখার শুরুতেই আলোচনা করা হয়েছে, নিউমোনিয়া এবং ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো রোগগুলো ছোঁয়াচে নয়। এই ভিন্ন ধারণাটা অনেকে হয়তো হঠাৎ করে শুনে হজম করতে কষ্ট হবে। কিন্তু বাস্তবতা পর্যবেক্ষণ করলে এটা সহজেই এবং নির্ভুলভাবে প্রমাণ করা যাবে। কিভাবে বাস্তবতা যাচাই করতে হবে, তা-ও একই সাথে বলে দেয়া হয়েছে। এভাবে বাস্তবতা যাচাই করে অনতিবিলম্বে এই রোগ দুটোর উপর থেকে 'ছোঁয়াচে' অপবাদটা মুছে ফেলা বিশ্বমানবতার জন্য অতীব জরুরী।


যেসব ঘটনা থেকে মনে হয় করোনাভাইরাস মানুষ থেকে মানুষে ছড়িয়েছে, যদি ছোঁয়াচে না হয়, তাহলে কেন/কিভাবে ছড়িয়েছে? - তা নিয়ে এবার একটু আলোচনা করা যাক:
আমরা জানি, অনেক মানুষকে 'বনের বাঘে খায় না, মনের বাঘে খায়'। আমরা অনেক সময় 'কান নিয়েছে চিলে' শুনে নিজের কান জায়গামতো আছে কিনা, তা না দেখে অন্যের কথা শুনে চিলের পেছনে দৌড়াতে শুরু করি। কিন্তু নিজের কানে হাত দিয়ে দেখি না কান জায়গামতো আছে কিনা! আর গুজবে কান দেয়া এবং গুজবকে সঠিক মনে করে তা ছড়ানোটাও আমাদের জন্য নতুন কিছু নয়।
করোনাভাইরাস মানুষ থেকে মানুষে ছড়ানো সম্পর্কে, বিশেষ করে চীন থেকে অন্য দেশে ছড়ানো সম্পর্কে কিছু সংবাদ ও প্রতিবেদন দেখা যাক আগে:
(১) কাতারভিত্তিক সংবাদ সংস্থা আল জাজিরার ওয়েবসাইটে 'Coronavirus: Which countries have confirmed cases?' শিরোনামে প্রকাশিত নিয়মিত হালনাগাদকৃত একটি প্রতিবেদনে বিশ্বের কোন দেশে কত জন এ পর্যন্ত (২১ ফেব্রুয়ারির আগ পর্যন্ত) করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে, তার একটা তালিকা প্রকাশ করা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, 'Hundreds of cases have been confirmed elsewhere, with the virus being recorded in at least 26 countries.
Here are the countries that have so far confirmed cases of the new coronavirus:
Australia - 17
Australia has confirmed 17 cases of the virus as of February 21, including two passengers evacuated from the Diamond Princess cruise ship in Japan, according to the Australian government.
Most of the patients arrived in the country from Wuhan or Hubei    province.
Belgium - 1
Belgium said on February 4 that one of nine Belgian citizens repatriated from Wuhan had tested positive for the coronavirus.
Cambodia - 1
Cambodia confirmed its first case of coronavirus on January 27.
Minister of Health Mam Bunheng said the patient was a 60-year-old Chinese national in the coastal city of Sihanoukville.'
[https://www.aljazeera.com/news/2020/01/countries-confirmed-cases-coronavirus-200125070959786.html]

(২) 'করোনাভাইরাসে চীনের বাইরে প্রথম মৃত্যু ফিলিপাইনে' শিরোনামে দৈনিক মানবজমিনে ২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, 'মহামারি রূপ নেয়া করোনাভাইরাসে এবার প্রথমবারের মতো চীনের বাইরে মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এখন পর্যন্ত এই ভাইরাসের সংক্রমণে মৃতের সংখ্যা ৩০০ ছাড়িয়ে গেছে। চীনের বাইরে ফিলিপাইনে মারা গেছেন ৪৪ বছর বয়সী এক চীনা নাগরিক। তিনি চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহর থেকে ফিলিপাইনে গিয়েছিলেন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, ফিলিপাইনে যাওয়ার আগেই ওই ব্যক্তি সংক্রমিত  হয়েছিলেন।'
[https://www.mzamin.com/article.php?mzamin=211208&cat=8]

(৩) 'করোনাভাইরাসে তাইওয়ানে প্রথম মৃত্যু' শিরোনামে দৈনিক যুগান্তরে ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, 'চীনের মূল ভূখন্ড থেকে করোনাভাইরাস বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়লেও এ ভাইরাসে প্রতিবেশী দেশ তাইওয়ানে প্রথম একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
দ্বীপদেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী চেন শিহ-চুং রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে এতথ্য জানান।
এতে তিনি বলেন, ষাটের কোঠায় থাকা বৃদ্ধ ওই ব্যক্তির আগে থেকেই ডায়াবেটিস ও হেপাটাইটিস বিতে আক্রান্ত ছিলেন।
কোভিড-১৯ নামে নভেল করোনাভাইরাসবাহী নতুন এই রোগে তাইওয়ানে এর আগে কেউ মারা যায়নি। তবে সব মিলে আক্রান্ত হয়েছে ২০ জন।
এর আগে চীনের মূল ভূখন্ডের বাইরে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হংকং, ফিলিপিন্স, জাপান ও ফ্রান্সে একজন করে মৃত্যু হয়।
মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে, চীনে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা এক হাজার ৬৬৫ জন ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ১৪২ জনের। এ ছাড়া শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬৮ হাজার।
এর মধ্যে একদিনেই আক্রান্ত হয়েছেন এক হাজার ৮৪৩ জন মানুষ।' [https://www.jugantor.com/international/279109]

(৪) 'Taiwan reports first death from coronavirus' শিরোনামে দ্য গার্ডিয়ানের ওয়েবসাইটে ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, 'A taxi driver has died from the coronavirus in Taiwan, marking the first such death on the island and the fifth fatality outside mainland China from an epidemic that has curbed travel and disrupted global supply chains.
The health minister, Chen Shih-chung, said during a news conference on Sunday that the deceased was a 61-year-old man who had diabetes and hepatitis B. Taiwan has to date reported 20 confirmed cases.
The man who died had not travelled abroad recently and was a taxi driver whose clients were mainly from Hong Kong, Macau and mainland China, the minister said. One of his family members was also confirmed to have the virus.
The pair constituted Taiwan’s first local transmission cases, the minister said, adding that the authorities were trying to find out the source. “So far, we are not able to gather his contact history, so we are actively making investigations, hoping to find out the source of the contraction,” Chen said.'
[https://www.theguardian.com/world/2020/feb/16/taiwan-reports-first-death-from-coronavirus]

(৫) 'Taiwan Scours Dead Taxi Driver’s Data to Trace Coronavirus Path' শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় ব্লুমবার্গে ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে, যা তৈরি করেন By Samson Ellis. সেখানে বলা হয়, 'Health authorities in Taiwan are scouring travel histories, phone records and security camera footage in an effort to map out everyone who came into contact with a taxi driver who became Taiwan’s first confirmed death from the coronavirus.
The victim, a man in his 60s from central Taiwan who died Saturday, had not recently traveled overseas and had no recorded contact with any of the 19 other people diagnosed with the coronavirus in Taiwan, according to a statement from Taiwan’s Centers for Disease Control.'  [https://www.bloomberg.com/news/articles/2020-02-17/taiwan-scours-dead-taxi-driver-s-data-to-trace-coronavirus-path]

(৬) 'করোনাভাইরাসে ইউরোপের মধ্যে প্রথম মৃত্যু ফ্রান্সে' শিরোনামে দৈনিক যুগান্তরে একটি  প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে। সেখানে বলা হয়, 'করোনাভাইরাসে ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে ফ্রান্সে প্রথম চীনের এক পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। উহান রাজ্যে ছড়িয়ে পড়ার পর এশিয়ার বাইরে প্রাণঘাতী ভাইরাসটিতে প্রথমবারের মতো আক্রান্ত হয়ে কারো মৃত্যু হয়েছে।
ফ্রান্সের স্বাস্থ্যমন্ত্রী অ্যাগনেস বুজিন বলেন, হুবেই প্রদেশের বাসিন্দা ৮০ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি ১৬ জানুয়ারি ফ্রান্সে আসেন। ২৫ জানুয়ারি তাকে প্যারিসের হাসপাতালে কোয়ারেন্টিন করে রাখা হয়।
এর আগে চীনের মূল ভূখন্ডের বাইরে কেবল তিনটি দেশে - হংকং, ফিলিপিন্স ও জাপানে নতুন করোনাভাইরাসে মৃত্যু হয়।' [https://www.jugantor.com/international/278677]

(৭) 'করোনা ভাইরাস : চীনে মৃত ৪১, ফ্রান্সে মিলল ৩ আক্রান্ত' শিরোনামে সময় টিভির ওয়েবসাইটে ২৫ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, 'এদিকে ইউরোপের প্রথম দেশ হিসেবে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের তথ্য নিশ্চিত করেছে ফ্রান্স। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, কয়েকজন ব্যক্তির শরীরে প্রাণঘাতী ওই ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। আক্রান্তরা সম্প্রতি চীন ভ্রমণ করেছিলেন।' [https://www.somoynews.tv/pages/details/194571]

(৮) 'These are the countries where novel coronavirus cases have been confirmed worldwide' শিরোনামে সিএনএন-এর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত নিয়মিত হালনাগাদকৃত প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, 'A Chinese tourist who tested positive for coronavirus has died in France, according to a statement from French Health Minister Agnes Buzyn, confirmed to CNN by the French Health Ministry.
This is the first person to die from coronavirus in Europe.'
[https://edition.cnn.com/2020/01/29/asia/coronavirus-cases-worldwide-intl-hnk/index.html]

(৯) 'চীনে গিয়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হংকংয়ের নাগরিকের মৃত্যু' শিরোনামে দৈনিক যুগান্তরে ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, 'হংকংয়ে করোনাইভাইরাসে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। আর চীনের বাইরে এ নিয়ে করোনাভাইরাসে দুজন মারা গেলেন। রোববার একজন মারা গেছেন ফিলিপাইনে।
মঙ্গলবার ভাইরাসটির তীব্র সংক্রমণের কারণে হংকংয়ে ৩৯ বছর বয়সী ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়। মারা যাওয়া ব্যাক্তির নাম পরিচয় জানানো হয়নি।
রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, মৃত এই ব্যক্তি জানুয়ারিতে চীনের উহান শহরে ঘুরতে গিয়েছিলেন। চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহানকেই নতুন ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়ার উৎসস্থল হিসেবে বিবেচনা করা হয়।' [https://www.jugantor.com/international/274816]

(১০) 'হংকংয়ে করোনাভাইরাসে দ্বিতীয়জনের মৃত্যু' শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় দৈনিক সমকালে ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে। সেখানে বলা হয়, 'হংকংয়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরেকজনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার হংকংয়ের প্রিন্সেস মার্গারেট হাসপাতালে তার মৃত্যু হয় বলে জানা গেছে। এ নিয়ে হংকংয়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দুইজনের মৃত্যু হলো।
হাসপাতালের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, ৭০ বছর বয়সী ওই রোগীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় স্থানীয় সময় বুধবার সকাল ৭টায় তার মৃত্যু হয়। খবর সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের।
ওই ব্যক্তি হংকংয়ের কাওয়াই চুং এলাকার একটি বাড়িতে একাই বাস করতেন। ২ ফেব্রুয়ারি অসুস্থ হওয়ার ১০ দিন পর তাকে প্রিন্সেস মার্গারেট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ১৪ ফেব্রুয়ারি তিনি নতুন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বলে নিশ্চিত করা হয়, তখনই তার অবস্থা সঙ্কটজনক ছিল।
২২ জানুয়ারি তিনি একদিনের সফরে চীনের মূল ভূখন্ডে গিয়েছিলেন। হংকংয়ে করোনাভাইরাসে মৃত্যুর প্রথম ঘটনা ঘটে ৪ ফেব্রুয়ারি। ওইদিন ৩৯ বছর বয়সী এক ব্যক্তি মারা যান।' [https://www.samakal.com/international/article/200213042]

(১১) নিউইয়র্ক টাইমসে ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে 'Second Hong Kong Coronavirus Death as It Awaits Stranded Cruise Passengers' শিরোনামে রয়টার্সের সূত্রে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। সেখানে বলা হয়, 'Hong Kong reported its second death from the new coronavirus on Wednesday as authorities drew up plans to fly home hundreds of city residents stranded on a virus-stricken cruise ship in Japan.
The 70-year-old man who died had underlying illnesses and was one of 62 confirmed cases in the Chinese-ruled city, a Princess Margaret Hospital spokeswoman said.' [https://www.nytimes.com/reuters/2020/02/18/world/asia/18reuters-china-health-hongkong.html]

(১২) বাংলাদেশ প্রতিদিনে ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ তারিখে 'করোনাভাইরাসে ২ ইরানি নাগরিকের মৃত্যু' শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, 'প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ইরানের দুই নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে।
দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ইরনা (আইআরএনএ) এ তথ্য জানিয়েছেন। তবে সংস্থাটি নিহত ব্যক্তিদের নাম ও পরিচয় প্রকাশ করেনি।
স্থানীয় সময় বুধবার ইরানের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর উপদেষ্টা আলিরেজা বাহাবজাদেহের বরাত দিয়ে আইআরএনএ জানায়, নিহত দুইজনই করোনা ভাইরাসের জীবাণু বহন করছিলেন। তারা ইরানের রাজধানী তেহরান থেকে প্রায় ১৪০ কিলোমিটার দক্ষিণে কোম নামক এলাকার বাসিন্দা। এর বাইরে নিহতদের বিষয়ে আর কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি।
এর আগে বুধবারই ইরানের স্বাস্থ্যবিভাগের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে দেশটির আরেক বার্তা সংস্থা আইএসএনএ জানায়, করোনাভাইরাসে ইরানের দুই জন নাগরিক আক্রান্ত হয়েছেন। পরে কর্মকর্তারা আক্রান্ত দুইজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন। তারা বয়স্ক ব্যক্তি।' [https://www.bd-pratidin.com/coronavirus/2020/02/20/503739]

(১৩) 'Two die of coronavirus in Iran, first fatalities in Middle East' শিরোনামে আল জাজিরার ওয়েবসাইটে ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয় "Two elderly people have died due to coronavirus in the city of Qom, south of Tehran," Alireza Vahabzadeh, an adviser to Iran's health minister, told Al Jazeera on Wednesday.
"The two victims had suffered acute lung infections due to their infection with the coronavirus," he added.
Earlier in the day, Kianoush Jahanpour, spokesman for Iran's ministry of health, said the two people had tested positive for the virus in preliminary results and died due to immune deficiencies and old age.
There was no immediate information about the gender and the exact age of the victims.'
[https://www.aljazeera.com/news/2020/02/die-coronavirus-iran-fatalities-middle-east-200219171007605.html]

(১৪) 'Coronavirus: First deaths reported in Middle East' শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় জার্মানের সংবাদ মাধ্যম ডয়চে ভেলের ওয়েবসাইটে। সেখানে বলা হয়, 'The deadly COVID-19 virus claimed the lives of two people in Iran, in the first deaths to be reported in the Middle East. Tehran previously denied reports that people in the country were infected with the virus.
Two people in Iran have died after testing positive for the new coronavirus, COVID-19, Iranian officials said on Wednesday.
Iran's Health Ministry said that the two patients were Iranian citizens and residents of the city of Qom, state news agency IRNA reported.
Both of the patients were reportedly elderly who had health issues that impacted their immunity.
"Following the recent cases of chronic respiratory diseases in Qom, two of the patients tested positive in preliminary tests," ministry spokesman Kianoush Jahanpour said, according to IRNA.
"Unfortunately both passed away in the intensive care unit due to old age and issues with their immune system."
Qom is a center for Islamic studies that draws scholars from across Iran and other countries. The two patients who died, however, were not known to have left Iran.
Prior to Wednesday's deaths, the Iranian government denied reports about people being infected with the virus in the country.'    [https://www.dw.com/en/coronavirus-first-deaths-reported-in-middle-east/a-52436966]

(১৫) ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে আল জাজিরার ওয়েবসাইটে 'China coronavirus outbreak: All the latest updates' শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, 'Two Iranians have died in hospital after testing positive for the new coronavirus in the central city of Qom, the head of the city's University of Medical Sciences told Iran's Mehr news agency, saying the two had died of "respiratory illness".
Separately, health ministry official Kianush Jahanpur said in a post on Twitter that "both patients died in ICU due to age and immune system deficiency".
Iran had confirmed the two cases - the first in the country - earlier on Wednesday.'
[https://www.aljazeera.com/news/2020/02/cloneofcloneofcloneofcloneofcloneof2002152244372-200220231446112.html]

(১৬) 'করোনাভাইরাসে ইরানের কোম শহরে ৫০ জনের মৃত্যু!' শিরোনামে দৈনিক কালের কণ্ঠে ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ তারিখে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, 'করোনা ভাইরাসে ইরানের এক কোম শহরেই ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম। দেশটির আধা সরকারি সংবাদ সংস্থা ইলনার বরাত দিয়ে দ্য গার্ডিয়ান, দ্য ইনডিপেনডেন্ট, এবিসি নিউজ ও আল-আরাবিয়া সহ বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত শুধুমাত্র কোম শহরে ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
তবে ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় করোনা ভাইরাসে ১২ জনের মৃত্যুর এবং ৬৪ জনের আক্রান্ত হওয়ার কথা বলেছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, চীন সফরকারী কোমের অধিবাসী একজন ইরানি ব্যবসায়ীর মাধ্যমে এ ভাইরাসটি ইরানে ছড়িয়েছে বলে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ধারণা করছে। কোমে এরই মধ্যে সবার বাড়িতে মাস্ক ও জীবাণুমুক্ত-করণ উপাদান পৌঁছে দেওয়া হয়েছে বলে একটি সূত্র জানিয়েছে।' [https://www.kalerkantho.com/online/world/2020/02/24/878371]

(১৭) 'করোনাভাইরাস: চীনে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লো কেন?' শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় বিবিসি বাংলায় ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে। সেখানে বলা হয়, 'চীনের বাইরে ২৪ টি দেশে এ পর্যন্ত ৪৪৭ জন আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন দুই জন।
বৃহস্পতিবার জাপানে করোনাভাইরাসে একজনের মৃত্যুর ঘোষণা এসেছে - টোকিওর দক্ষিণ-পশ্চিমে কানাগাওয়া শহরের বাসিন্দা ওই নারীর বয়স ছিল প্রায় ৮০ বছরের মতো।' [https://www.bbc.com/bengali/news-51499092]

(১৮) 'Elderly woman dies of coronavirus in Japan' শিরোনামে ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে যুক্তরাজ্যের ডেইলী মেইলের অনলাইনে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, 'And, today, an 80-year-old woman in Japan has died with the coronavirus to become the country's first recorded victim, taking the toll to 1,370.
The death makes Japan just the third place outside of China to declare someone has died from the virus, along with Hong Kong and the Philippines.
At least 236 people have been officially diagnosed with the virus, now known as SARS-CoV-2, in Japan since its first infection on January 16.
Almost all of these, however – 219 at latest count – have been among passengers on a cruise ship which is quarantined in the water off a port near Yokohoma.
Health minister Katsunobu Kato confirmed the woman's death today, February 13. She had been living in the Kanagawa region close to Tokyo.
Mr Kato said that authorities are not certain that the woman was killed by the virus, but that she is the first person to die after testing positive for the infection.
'The relationship between the new coronavirus and the death of the person is still unclear,' he said at a government briefing.' [https://www.dailymail.co.uk/health/article-7999851/Elderly-woman-dies-coronavirus-Japan.html]

(১৯) জাপানের শীর্ষস্থানীয় সংবাদ সংস্থা কিয়োডো নিউজের ওয়েবসাইটে ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে '2 elderly passengers of virus-hit ship die in Japan' শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, 'Two elderly Japanese passengers from the Diamond Princess, a coronavirus-hit cruise ship quarantined in Yokohama, have died, the health ministry said Thursday.
The deaths of the 87-year-old man from Kanagawa Prefecture and the 84-year-old woman from Tokyo raised the number of fatalities in Japan of people infected with the COVID-19 virus to three, the Ministry of Health, Labor and Welfare said.
The man, who had bronchial asthma and other pre-existing illnesses, was hospitalized on Feb. 11 after displaying symptoms such as fever and breathing difficulties, according to the ministry. He tested positive for the new coronavirus on Feb. 12.
The woman broke out in a fever on Feb. 5 but was not initially tested for the virus. She was finally hospitalized on Feb. 12 due to the persistent fever and other symptoms, and was confirmed to be infected with the virus the following day, the ministry said.
She had no pre-existing conditions and died on Thursday of pneumonia believed to be caused by the virus, it said.'
[https://english.kyodonews.net/news/2020/02/24c3b1bf4030-breaking-news-2-elderly-passengers-of-virus-hit-ship-died-japan-govt-source.html]

(২০) 'Japan Reports 2 Deaths Among Cruise Ship Passengers' শিরোনামে নিউইয়র্ক টাইমসে ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়, 'Japan records two deaths of passengers who had been aboard a quarantined cruise ship.
Two passengers from the cruise ship quarantined in Japan have died after contracting the new coronavirus, the first deaths among the more than 600 people on board who have been infected,  a Japanese health ministry official said on Thursday.
The two people, both Japanese, were an 87-year-old man and an 84-year-old woman, the Japanese broadcaster NHK reported. They were taken to hospitals on Feb. 11 and 12, and both had underlying health issues, the broadcaster said. No other information about them was immediately available.
Hundreds of passengers have begun disembarking from the ship, the Diamond Princess, after Japan declared the two-week quarantine over, even as officials have continued to report dozens of new cases on the vessel.' [https://www.nytimes.com/2020/02/19/world/asia/china-coronavirus.html]

(২১) 'Coronavirus updates: South Korea reports big jump in cases, virus spreading in Chinese prisons' শিরোনামে এনবিসি নিউজের ওয়েবসাইটে ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, 'The first person confirmed to have contracted the virus was believed to have fallen ill after meeting a friend who had recently returned from China. Residents of the northern towns of Codogno and Castiglione d’Adda were being urged to stay at home as medical tests continued. — Reuters'
[https://www.nbcnews.com/news/world/coronavirus-update-south-korea-reports-big-jump-cases-virus-spreading-n1140201]

(২২) দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদ সংস্থা Yonhap News Agency -এর ওয়েবসাইটে ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে 'S. Korea reports 1st death from virus; cases soar to 104' শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, 'South Korea reported its first death from the new coronavirus on Thursday, with 53 new cases of the coronavirus confirmed in a single day to bring the total here to 104.
The 63-year-old deceased, who had been bedridden for more than 20 years at a hospital in southeastern city of Cheongdo, died from pneumonia on Wednesday. Confirmation of his infection was discovered as the health authorities investigated all patients at the hospital where some were also confirmed to be infected.
The health authorities are working to determine the exact cause of   the       patient's           death.'
[https://en.yna.co.kr/view/AEN20200220002056320]

(২৩) 'দক্ষিণ কোরিয়ায় করোনাভাইরাসে প্রথম মৃত্যু' শিরোনামে দৈনিক কালের কণ্ঠে ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, 'করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার এক নাগরিক মারা গেছেন। বৃটিশ সংবাদমাধ্যম ইন্ডিপেন্ডেন্ট এমন খবর দিয়েছে। এই প্রাণঘাতী ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর এটাই প্রথম কোনো দক্ষিণ কোরিয়ার নাগরিকের মৃত্যুর ঘটনা।
তবে করোনাভাইরাসের আক্রান্ত হয়ে মৃত ব্যক্তির পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। আবার বলা হচ্ছে, অন্য কোনো কারণেও মারা গিয়ে থাকতে পারেন ওই ব্যক্তি। দেশটির রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, মৃত্যুর সঠিক কারণ অনুসন্ধান করা হচ্ছে।
এর আগে করোনা আক্রান্ত এক ব্যক্তি দেশটির দায়েগু শহরের এক চার্চে যান। এরপর হাসপাতালেও যান। ধারণা করা হচ্ছে, ওই ব্যক্তির মাধ্যমেই ছড়িয়েছে করোনাভাইরাস। দেশটিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১০৪ জন। এমন পরিস্থিতিতে আড়াই লাখ মানুষকে ঘরে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার দায়েগু শহরের মেয়র।
দায়েগুর মেয়র কোয়ান ইয়ং-জিন বলেন, শহরটি নজিরহীন সঙ্কটের মুখোমুখি। কারণ দায়েগুতে ৪৯ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তারা স্থানীয় একটি চার্চে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে, এই শহরটিতে করোনাভাইরাস মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়তে পারে। তাই এই সঙ্কট মোকাবিলায় শহরটির বাসিন্দাদের নিজ বাড়ি থেকে বাইরে বের না হওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।' [https://www.kalerkantho.com/online/world/2020/02/20/876788]

(২৪) 'দক্ষিণ কোরিয়ায় করোনায় এক দিনে আক্রান্ত দ্বিগুণ' শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় প্রথম আলোয় ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে। সেখানে বলা হয়, 'চীন থেকে দক্ষিণ কোরিয়ায় ছড়িয়েছে ভয়াবহ করোনাভাইরাস। দেশটিতে করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট রোগ কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা এক দিনে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। দেশটির একটি হাসপাতালে অন্য অসুস্থতা নিয়ে ভর্তি হওয়া রোগীরা সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছেন।
তবে আক্রান্ত ব্যক্তিদের চীনের কোনো নাগরিকের সঙ্গে বা করোনাভাইরাসে সংক্রমিত ব্যক্তির সঙ্গে কোনো সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি। তাই ভাইরাসটি নিয়ে নতুন উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে।' [https://www.prothomalo.com/international/article/1641278]

(২৫) 'দক্ষিণ কোরিয়ায় করোনার ভয়ংকর ছোবল' শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় প্রথম আলোয় ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে। সেখানে বলা হয়, 'করোনাভাইরাসের নতুন প্রাদুর্ভাবের স্থান দক্ষিণ কোরিয়ায় আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। চীনের পর দক্ষিণ কোরিয়ায় সবচেয়ে বেশিসংখ্যক মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। আজ সোমবার দেশটি জানিয়েছে, আরও ১৬১ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত মানুষের সংখ্যা বেড়ে এখন সাতে পৌঁছেছে। এর আগে গত শনিবার আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা এক দিনে দ্বিগুণ হয়ে যায়।
কর্তৃপক্ষ জানায়, থাইনাম নামের একটি হাসপাতাল এবং দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের শহর থেগুরের ধর্মীয় এক গোষ্ঠীর মধ্যে ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে।
থেগু ও ছংগদুর কাছাকাছি হাসপাতালটিকে 'স্পেশাল কেয়ার জোন' ঘোষণা করা হয়েছে। ওই হাসপাতালে বয়স্ক ও মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়ে থাকে।
করোনাভাইরাসের নতুন প্রাদুর্ভাবের স্থান দক্ষিণ কোরিয়ায় আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। চীনের পর দক্ষিণ কোরিয়ায় সবচেয়ে বেশিসংখ্যক মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। আজ সোমবার দেশটি জানিয়েছে, আরও ১৬১ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত মানুষের সংখ্যা বেড়ে এখন সাতে পৌঁছেছে। এর আগে গত শনিবার আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা এক দিনে দ্বিগুণ হয়ে যায়।
কর্তৃপক্ষ জানায়, থাইনাম নামের একটি হাসপাতাল এবং দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের শহর থেগুরের ধর্মীয় এক গোষ্ঠীর মধ্যে ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে।
থেগু ও ছংগদুর কাছাকাছি হাসপাতালটিকে 'স্পেশাল কেয়ার জোন' ঘোষণা করা হয়েছে। ওই হাসপাতালে বয়স্ক ও মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়ে থাকে।
আক্রান্ত ব্যক্তিদের চীনের কোনো নাগরিকের সঙ্গে বা করোনাভাইরাসে সংক্রমিত ব্যক্তির সঙ্গে কোনো সম্পৃক্ততা পাওয়া না যাওয়ায় ভাইরাসটি নিয়ে নতুন উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে।' [https://www.prothomalo.com/international/article/1641416]

(২৬) লাইভ সায়েন্স ডটকম এর ওয়েবসাইটে ''Superspreader' in South Korea infects nearly 40 people with coronavirus'  শিরোনামে ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে (By Nicoletta Lanese - Staff Writer) বলা হয়, 'Update (Sunday, Feb. 23): The number of coronavirus cases in South Korea has soared to about 602, according to The New York Times. More than half of those cases involve members of, or those somehow linked to, the religious sect, the Shincheonji Church of Jesus, where a so-called superspreader infected at least 37 people last week.
A so-called superspreader infected at least 37 people at her church with the new coronavirus, and dozens of additional worshippers are also showing symptoms of the disease, called COVID-19, according to news reports.
The 61-year-old woman attends the Shincheonji Church of Jesus the Temple of the Tabernacle of the Testimony in Daegu, South Korea, according to the international news outlet AFP. The city, located in the southern part of the country, is home to about 2.5 million people. The woman, called "Patient 31" by Korea's Centers for Disease Control and Prevention, developed a fever on Feb. 10 and attended four church services before being diagnosed with COVID-19.
Despite running a fever, the woman twice refused to be tested for the coronavirus, as she had not recently traveled abroad, according to The Guardian. So far, she and 37 other members of the church have tested positive for the novel coronavirus, called SARS-CoV-2, and 52 additional churchgoers have shown symptoms of infection but have not yet been tested. (SARS-CoV-2 is the name of the coronavirus that causes COVID-19.)
Authorities described the outbreak as a "super-spreading event," as the lone woman transmitted the infection to an unusually high number of people, according to Reuters. Current estimates suggest that a single person with the novel coronavirus spreads the infection to about 2.2 additional people, on average. The surge of infection at the church brings the total number of confirmed cases in South Korea to 104; one death associated with the virus has occurred in the country so far.' [https://www.livescience.com/coronavirus-superspreader-south-korea-church.html]

(২৭) 'ইতালিতে করোনাভাইরাসে ১ ব্যক্তির মৃত্যু, ১০ শহর বন্ধ' শিরোনামে প্রথম আলোয় ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, 'ইতালিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যুর ঘটনার পর ১০টি শহর বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। নিষিদ্ধ করা হয়েছে জনসমাগমস্থলে যাওয়া। দেশটিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা বেড়ে ১৭তে পৌঁছেছে।
দেশটির স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গতকাল শুক্রবার ইতালির উত্তরাঞ্চলের লম্বার্ডি এলাকায় ১৫ জন নতুন রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। এ ঘটনার পরপরই ৫০ হাজার মানুষের ১০টি শহর বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এসব শহরের জনগণকে বাড়িতে অবস্থান করতে বলা হয়েছে। স্কুল, বার, চার্চ, সামাজিক অনুষ্ঠানসহ জনসমাগমস্থলে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
ইতালিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে পাঁচজন চিকিৎসকও রয়েছেন। ইতালিতে স্থানীয়ভাবে সংক্রমণ ঘটা করোনাভাইরাসের প্রথম ঘটনা এটি। যে পাঁচজন চিকিৎসক আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁরা কেউ চীন সফর করেননি।' [https://www.prothomalo.com/international/article/1641064]

(২৮) 'উহানের মতো 'ভুতুড়ে নগরী'তে পরিণত ইতালির যে শহর' শিরোনামে দৈনিক যুগান্তরে ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, 'রাস্তাঘাটে কোনো যানবাহন নেই। ফুটপাতে নেই কোনো পথচারীর হাঁটার শব্দ। দোকানপাটও সব বন্ধ। একেবারে পিনপতন নীরবতার শহরে পরিণত ইতালির কডোঙ্গো।
এ যেন আরেক উহান। বলতে গেলে উহানের মতো 'ভুতুড়ে শহরে' পরিণত হয়েছে ইতালির কডোঙ্গো।
উত্তর ইতালির লোদিপ্রদেশের ছোট্ট শহর কডোঙ্গো। সম্প্রতি শহরটিতে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত দুই রোগীর মৃত্যু হয় সেখানে। এ ছাড়া ৫০ জনের বেশি মানুষ ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে করোনাভাইরাস আতঙ্কে নিশ্চুপ হয়ে গেছে শহরটি। অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কাউকে রাস্তায় বের হতে দেখা যাচ্ছে না। বের হয়েও লাভ নেই কোনো। কারণ করোনাভাইরাস বিস্তার ঠেকাতে শহরের স্কুল-কলেজ, দোকানপাট, শপিংমলের অধিকাংশই বন্ধ রয়েছে।
স্থানীয় সময় শনিবার রাতে বার্তা সংস্থা এএফপিকে পাওলা নামের এক বাসিন্দা বলেন, 'কডোঙ্গো এখন একটা ভুতুড়ে শহর। করোনাভাইরাস আমাদের জন্য ভয়ঙ্কর এক অবস্থা তৈরি করেছে। মানুষজন তাদের ঘরে ঘরে বন্দি, কোনো মানুষ রাস্তায় নেই। এমনটি বেশি দিন চললে করোনায় নয়, না খেয়েই মরতে হবে আমাদের।'...
ইতালিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে পাঁচজন চিকিৎসকও রয়েছেন। ইতালিতে স্থানীয়ভাবে সংক্রমণ ঘটা করোনাভাইরাসের প্রথম ঘটনা এটি।
যে পাঁচজন চিকিৎসক আক্রান্ত হয়েছেন, তারা কেউ চীন সফর করেননি।
ইতালির প্রধানমন্ত্রী গুইসেপ কন্তে বলেন, অত্যন্ত উচ্চ মাত্রার সাবধানতা নিয়ে কাজ করছেন তারা। এখন পর্যন্ত সবকিছু নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলেও গণমাধ্যমকে জানান তিনি।' [https://www.jugantor.com/international/281931]

(২৯) 'China coronavirus outbreak: All the latest updates' শিরোনামে আল জাজিরার ওয়েবসাইটে ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে প্রকাশিত নিয়মিত হালনাগাদকৃত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, 'Six coronavirus cases discovered in north Italy, hundreds to be tested.
Six people have tested positive in Italy for coronavirus, the northern Lombardy region said, in the first known cases of local transmission of the potentially deadly illness in the country.
Officials told residents from three small towns some 60km (40 miles) southeast of Italy's financial capital Milan, to stay at home as doctors tested hundreds of people who might have come into contact with the six coronavirus sufferers.
None of the six was believed to have visited China.' [https://www.aljazeera.com/news/2020/02/cloneofcloneofcloneofcloneofcloneof2002152244372-200220231446112.html]

(৩০) 'Coronavirus maps and charts: A visual guide to the outbreak' শিরোনামে By The Visual and Data Journalism Team কর্তৃক তৈরিকৃত একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় বিবিসি নিউজের ওয়েবসাইটে ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে। সেখানে বলা হয়, 'Meanwhile in Italy, the country's authorities have announced a series of measures to try to halt the virus's spread. It is not yet clear how it entered the country.
Eleven towns in northern Italy at the centre of the outbreak - home to a total of 55,000 people - have been quarantined. Schools, universities and cinemas have been closed and several public events cancelled.
The UK has advised against travelling to the region.' [https://www.bbc.com/news/world-51235105]

(৩১) 'করোনাভাইরাস: ইতালিতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৪০০' শিরোনামে বিবিসি বাংলায় ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, 'ইইউর স্বাস্থ্য কমিশনার স্টেলা কিরিয়াকাইডস, রোমে ইতালির স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সাথে দেখা করার পরে সাংবাদিকদের বলেন: "এটি উদ্বেগজনক একটি পরিস্থিতি, তবে আমাদের অবশ্যই আতঙ্কিত হয়ে হালা ছেড়ে দেয়া ঠিক হবে না।"
"এই ভাইরাসটি সম্পর্কে এখনও অনেক বিষয় অজানা রয়ে গেছে। বিশেষত এর উৎস এবং এটি কীভাবে ছড়িয়েছে সে বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি।" [https://www.bbc.com/bengali/news-51655052]

(৩২) 'New coronavirus cases of unknown origin found on West Coast' শিরোনামে এবিসি নিউজের ওয়েবসাইটে ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে (By ROBERT JABLON, LISA BAUMANN and ANDREW SELSKY) বলা হয়, 'Health officials in California, Oregon and Washington state worried about the novel coronavirus spreading through West Coast communities after confirming three patients were infected by unknown means.
The patients — an older Northern California woman with chronic health conditions, a high school student in Everett, Washington and an employee at a Portland, Oregon-area school — hadn’t recently traveled overseas or had any known close contact with a traveler or an infected person, authorities said.' [https://abcnews.go.com/US/wireStory/coronavirus-cases-unknown-origin-found-west-coast-69301250]

(৩৩) 'করোনাভাইরাস: গত ২৪ ঘন্টায় বিশ্ব-মহামারী ঠেকানোর সুযোগ কি আরও কমে গেছে?' শিরোনামে ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে বিবিসি বাংলার ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, 'বিবিসির মেডিক্যাল করেসপন্ডেন্ট ফারগাস ওয়ালশ বলেন, দক্ষিণ কোরিয়া, ইরান এবং ইটালিতে করোনাভাইরাসের যে সার্বিক অবস্থা, তাকে একটি বিশ্ব-মহামারীর প্রাথমিক ধাপ বলে মনে করা হচ্ছে।
"এই প্রত্যেকটি দেশেই আমরা দেখছি করোনাভাইরাস এমনভাবে ছড়াচ্ছে যার সঙ্গে চীনের কোন সম্পর্ক নেই। ইরানের পরিস্থিতি বিশেষভাবে উদ্বেগজনক, কারণ সেখানে স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ বলছেন একই সঙ্গে কয়েকটি শহরে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে গেছে। লেবাননে যে প্রথম করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে, সেটিও ইরান থেকে ফেরা এক মানুষের মাধ্যমে ঘটেছে বলে মনে হচ্ছে।'' [https://www.bbc.com/bengali/news-51615567]

(৩৪) 'করোনাভাইরাস: প্রাদুর্ভাব ঠেকানোর সুযোগ সীমিত হয়ে আসছে বলে হুঁশিয়াারি দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা' শিরোনামে ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে বিবিসি বাংলার ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, 'বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান কী বলেছেন?
ডা.  টেডরস বলেন, চীনের বাইরে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা "তুলনামূলকভাবে কম" কিন্তু সংক্রমণের ধরণ উদ্বেগজনক।
"যে সব সংক্রমণের ক্ষেত্রে প্রাদুর্ভাবের সাথে কোন যোগসূত্র পাওয়া যাচ্ছে না অর্থাৎ প্রাদুর্ভাবের শিকার এলাকায় ভ্রমণ করার কোন উল্লেখ নেই অথবা আগে কোন আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসারও কোন উল্লেখ পাওয়া যাচ্ছে না সেসব সংক্রমণ নিয়ে আমাদের উদ্বেগ রয়েছে," তিনি বলেন।
ইরানে নতুন করে আক্রান্ত হওয়া এবং মৃত্যুর ঘটনা "খুবই উদ্বেগজনক", তিনি বলেন।' [https://www.bbc.com/bengali/news-51596145]

(৩৫) 'China coronavirus outbreak: All the latest updates' শিরোনামে আল জাজিরার ওয়েবসাইটে ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, 'WHO chief Ghebreyesus in Geneva said he was concerned about cases outside China with 'no epidemiological link'.
"Although the total number of COVID-19 cases outside of China remains relatively small, we are concerned about the number of cases with no clear epidemiological link, such as travel history to China or contact with a confirmed case," he told reporters during a media briefing.
The WHO chief said he was concerned about the potential for COVID-19 to spread in countries with "weaker health systems".'
[https://www.aljazeera.com/news/2020/02/cloneofcloneofcloneofcloneofcloneof2002152244372-200220231446112.html]

(৩৬) 'What is coronavirus and what are the symptoms?' শিরোনামে বিবিসি নিউজের ওয়েবসাইটে ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে বিবিসির স্বাস্থ্য ও বিজ্ঞানের সংবাদদাতা জেমস গালাঘর কর্তৃক তৈরিকৃত একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। সেখানে বলা হয়, 'How fast is it spreading?
Thousands of new cases are being reported each day. However, analysts believe the true scale could be 10 times larger than official figures.
Outbreaks have now occurred in South Korea, Italy and Iran, raising fears that it could become a pandemic. A pandemic is declared when an infectious disease threatens different parts of the world simultaneously.
The WHO has said it is concerned about the number of cases with no clear link to China or other confirmed cases. It has said the window of opportunity to contain the virus was "narrowing".
With colds and flu tending to spread fastest in the winter, there is hope the turning of the seasons may help stem the outbreak.
However, a different strain of coronavirus - Middle East respiratory syndrome - emerged in the summer, in Saudi Arabia, so there's no guarantee warmer weather will halt the outbreak.' [https://www.bbc.com/news/health-51048366]

(৩৭) 'করোনাভাইরাস ছড়ানোর ধরন উদ্বেগজনক: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা' শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় প্রথম আলোয় ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে। সেখানে বলা হয়, 'আগেই করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবকে বৈশ্বিক জরুরি অবস্থা হিসেবে ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। সংস্থাটির প্রধান টেড্রস আধানম গ্যাব্রিয়েসুস করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সঙ্গে পরিষ্কার যোগসূত্র না থাকা রোগী বাড়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ইরানে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও দুজন মারা যাওয়ার ঘটনার পরপর ডব্লিউএইচওর প্রধান টেড্রস আধানম গ্যাব্রিয়েসুসের কাছ থেকে এ মন্তব্য এল। এ নিয়ে দেশটিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চারজনের মারা যাওয়ার ঘটনা ঘটল।
কোনো আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে না আসা বা চীন সফর না করেও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে ইরানে নতুন করে সংক্রমণ ঘটা ও মৃত্যু ঘটনা খুবই উদ্বেগজনক।
তবে টেড্রস আধানম গ্যাব্রিয়েসুস বলেন, চীনসহ অন্যান্য দেশ যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে, তাতে এ রোগের প্রাদুর্ভাব ঠেকানোর এখনো সুযোগ রয়েছে। সম্ভাব্য মহামারি ঠেকাতে সব দেশকে আরও বেশি প্রস্তুত থাকতে হবে। তিনি মনে করেন, যেসব দেশ স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় দুর্বল, সেখানে এ রোগের বিস্তার নিয়ে তাঁরা উদ্বেগে রয়েছেন।' [https://www.prothomalo.com/international/article/1641065]

(৩৮) 'What is coronavirus and what should I do if I have symptoms?' শিরোনামে দ্য গার্ডিয়ানের ওয়েবসাইটে ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে (By Sarah Boseley, Hannah Devlin and Martin Belam) বলা হয়, 'Is the outbreak a pandemic and should we panic?
No. A pandemic, in WHO terms, is “the worldwide spread of a disease”. The spread of the virus outside China is worrying but not an unexpected development. The WHO has declared the outbreak to be a public health emergency of international concern. The key issues are how transmissible this new coronavirus is between people, and what proportion become severely ill and end up in hospital. Often viruses that spread easily tend to have a milder impact. Generally, the coronavirus appears to be hitting older people hardest, with few cases in children.' [https://www.theguardian.com/world/2020/feb/29/what-is-coronavirus-what-should-i-do-symptoms]

প্রথম প্রতিবেদনে চীনের বাইরে কোন দেশে কতজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে এবং মারা গেছে, তাদের পরিসংখ্যান উল্লেখ করা হয়েছে (প্রতিবেদনটি প্রায় প্রতিদিন হালনাগাদ করা হচ্ছে)। এর পরের প্রতিবেদনগুলো বিশেষ করে ঐ সব দেশে করোনাভাইরাস ছড়ানো সম্পর্কে, যেসব দেশে করোনাভাইরাসে মানুষ শুধু আক্রান্তই হয়নি, বরং এক বা একাধিক মানুষ মারাও গেছে। চীনের উহানে করোনাভাইরাসের উপদ্রবের ঘটনা জানাজানি হবার পর থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০ পর্যন্ত যে ঘটনাগুলো ঘটেছে, সেগুলোর উপর ভিত্তি করে এই নিবন্ধে আলোচনা করা হতে পারে। তবে কখন এই নিবন্ধ লেখা শেষ হয়, বলা যাচ্ছে না। কারণ- ১. এই লেখা শুরু করার পর এ পর্যন্ত অনেকগুলো ব্যক্তিগত কাজের 'উপদ্রব' দেখা দিয়েছে, যেমনটা অন্যসময় খুব কম হয়। সামনে আরো দেখা দিতে পারে, ইতিহাস এটাই পূর্বাভাস দেয়! ২. লেখালেখি আমার কোনো পেশা নয়, সময়-সুযোগ পেলে বা বাড়তি সময় পেলে লেখালেখি করি, লেখালেখিকে কিছু সময় দেয়ার চেষ্টা করি। ১৯৯৬-৯৭ সাল থেকে লেখালেখির প্রতি আমার ঝোঁক। বাংলাদেশের দৈনিক পত্রিকাগুলো আমার লেখাকে তেমন পাত্তা দেয় না, চার-পাঁচটা লেখার মধ্যে ১টা প্রকাশ করে। দু'একটা পত্রিকা আছে, আমার একটা লেখাও এখনো পুরোপুরি প্রকাশ করেনি। এখনো মানুষেরও কোনো কাজে আসেনি আমার কোনো লেখা। কোনো লেখা এখনো স্বীকৃতিও পায়নি। লেখালেখি করে এখনও কোনো অর্থও উপার্জিত হয়নি। অবশ্য উপার্জনের চিন্তাটাও ধীরে ধীরে লোপ পাচ্ছে, জীবনের প্রতি আগ্রহ দিন দিন কমে যাওয়ার কারণে। জীবনের প্রতিটা 'ভবিষ্যৎ-মুহূর্ত' অনিশ্চয়তায় ভরা না হলে জীবনের প্রতি আগ্রহ হয়তো কমতো না। ৩. চাকরিসহ প্রাত্যহিক জীবনের অত্যাবশ্যকীয় কাজগুলোর পেছনে চলে যায় দিনের বড় একটা অংশ। কর্মস্থলে যাওয়া-আসার পথেও প্রতিদিন ১ ঘন্টা ২০ মিনিটের মতো সময় খরচ হয়ে যায়। এগুলো এড়াবার কোনো সুযোগ নেই। শুধু ঘুমের সময় থেকে কিছুটা সময় ‘ধার’ নিয়ে লেখাটা চালিয়ে যেতে পারছি। নয়তো এখনো হয়তো এই লেখার একটা পরিচ্ছেদ লেখাও শেষ হতো না। বিগত কয়েকদিন যেভাবে ঘুমকে ঠকাচ্ছি, বিগত দশ বছরে এরকম আর ঠকানো হয়নি। দিনে কষ্ট হচ্ছে, তবু ঘুমকে ঠকিয়েই যাচ্ছি। ইচ্ছা আছে, লেখাটা যদি ভালোয় ভালোয় শেষ হয়, ঘুমকে ক্ষতিপূরণ দেয়ার চেষ্টা করবো। আরো কিছু প্রতিবন্ধকতা আছে, সব কিছু বলা যায় না, কিছু রহস্য রেখে দিতে হয়। (৪) বর্তমান ঘটনা কোনে দিকে মোড় নেয়, কেউ জানে না।

বলে রাখছি, পৃথিবীতে এসেছি ৪০ বছর হয়ে গেলো। এখনো আমার দ্বারা মানবজাতির কোনো সেবা হয়নি। সেই ঘাটতি পূরণ বা দায় শোধের জন্যেই এই লেখার প্রচেষ্টা। তবে লেখাটা সেবা হিসেবে তখনই গণ্য হবে, যখন একে গ্রহণ করা হবে। আমি দেখেছি, আমার অনেক লেখা আমাদের দেশের দৈনিক পত্রিকাগুলোও প্রকাশ করতে চায় না ওদের অনেক লিখিত ও অলিখিত নীতিমালা থাকার কারণে। একটা অলিখিত নীতি হয়তো এমন আছে, অপরিচিত এবং বড় পদবীহীনদের লেখা কোনোভাবে অগ্রাধিকার পাবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক বা এরকম পদবীধারীদের কোনো লেখা হাতে আসামাত্র প্রকাশ করতে হবে, দু'বার ভাববারও দরকার নেই!
এটা দেশীয় প্রেক্ষাপট। আর আন্তর্জাতিক কিছু প্রেক্ষাপটও রয়েছে। কিছু কিছু দেশে যেভাবে সবাই সবাইকে মূল্যায়ন করে, প্রত্যেকে অন্যের কথা শোনার চেষ্টা করে, সব দেশে এমন নয়। অনেকে কারো কথা শোনার আগে দেখে নেয়, সে কোন প্রজাতির লোক, তার বর্ণ কী, এই বিষয়ে তার সর্বোচ্চ পর্যায়ের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা আছে কিনা বা পিএইচডি আছে কিনা, সে কোন ধর্মের লোক, সে কোন ভাষায় লিখেছে, এসব। এমনটা করে করে মানবজাতি শুধু ক্ষতিগ্রস্থই হচ্ছে, পশ্চাৎপদই থেকে যাচ্ছে। পৃথিবীতে মানুষে মানুষে অনেক বৈষম্য দূর করা যাচ্ছে না আমাদেরই গোঁড়ামী ও হীনমন্যতার কারণে।
এরকম একটি নিবন্ধ তৈরি করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছি ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে, ফেসবুকে।

কেন এই লেখার ইচ্ছা জাগলো মনে? কারণ দৈনিক পত্রিকা নিয়মিত পড়তে গিয়ে করোনাভাইরাস সম্পর্কে ভিন্ন কিছু তথ্য মনের দরজায় নাড়া দেয়। মনে হয়, এটা তো প্রকৃতপক্ষে ভাইরাস নয়, তবু ভাইরাস ভেবে সবাই অস্থির হচ্ছে, পাগলের মতো চারদিকে ছোটাছুটি করছে, বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় অনেককে গোরস্থানের মতো কোয়ারেন্টাইনে জীবন্ত প্রোথিত করে রাখা হচ্ছে, এদের কথা কেউ শুনতে চাচ্ছে না, এরা নিজেদের জীবনকে অভিশপ্ত মনে করছে, সর্বোপরি কোটি কোটি মানুষের জীবনে ভয়াল অন্ধকার নেমে এসেছে। লেখা শুরু করার পর এই সব ভাবনা যখন মাথায় আসে, তখন মনে হয় দুই-তিন দিনের মধ্যে লেখাটা শেষ করে ফেলি। কিন্তু যতোই তাড়াহুড়ো করতে যাই, ততোই পিছিয়ে পড়ি, বিভিন্ন ঝামেলা এসে সামনে পড়ে। আবার ভাবি, তাড়াহুড়ো করে লিখে শেষ করলেও যদি লেখাটা অন্য অনেকগুলো লেখার মতো সবার কাছে গুরুত্বহীন মনে হয়, সম্পাদক-প্রকাশকরা যদি চারআনা দামও না দেয়, এতো কষ্ট করে লিখে কী লাভ হবে! এটা ভাবনায় চলে এলে লেখাটার প্রতি আগ্রহ কমে যেতো। তবে শুরু থেকে একটি চিন্তা আমাকে কখনোই পুরোপুরি থেমে যেতে দেয়নি। আগে শুধু আমার নিজের জানা হোক, শুধু আমার কাছে পরিষ্কার হোক, করোনাভাইরাস কি আমাকেও আক্রমণ করতে ধেয়ে আসছে, আমারও কি উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত? 'ভাইরাস', 'ভাইরাস' বলে যেভাবে সারা বিশ্বে চিৎকার-চেঁচামেচি হচ্ছে, আমারও কি ভয় পাওয়া দরকার? এই 'আমার' কখনো কখনো আক্ষরিক অর্থে শুধু 'আমি' থাকে না, 'আমার' এর মধ্যে ঢুকে যায় আমার পরিবার-পরিজন, বন্ধু-বান্ধব এবং আত্মীয়-স্বজনও। কখনো আবার 'আমার' এর মধ্যে ঢুকে যায় আমিসহ পৃথিবীর সব মানুষ। এটা কি একজন মানুষের ভুল?
এই ভাবনা থেকে লেখাটা চালিয়ে যাবার চেষ্টা করতে থাকি অনেক প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে, ঘুম কমিয়ে শরীরকে কষ্ট দিয়েও। দেখা যাক, কোথায় গিয়ে শেষ হয়!
শেষ হতে হতে নতুন করে কিছু ঘটলে বা ভাইরাসটি নতুন দিকে মোড় নিলে লেখাটাও মোড় নিতে পারে এবং সম্ভাব্য নতুন দিকবদলের ভিত্তিতে কোনো তথ্য পেলে সম্ভব হলে তা-ও অন্তর্ভুক্ত করা হতে পারে এখানে, সে বিষয়েও আলোচনা করা হতে পারে।
উপরের প্রতিবেদনগুলোতে উল্লেখিত সবগুলো ঘটনার বিবরণ খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পড়লে এটা পরিষ্কার হবে, চীনের বাইরে যারা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে, তাদের অধিকাংশই চীনের উহান থেকেই ফিরেছিল। উহানে থাকতেই তারা রোগটিতে আক্রান্ত হয়েছে। উহান থেকে আক্রান্ত হয়ে অন্য দেশে গিয়ে মারা গেছে মাত্র। ইঁদুরের মতো। যেখানে ইঁদুরের উৎপাত বেশি, সেখানেই ইঁদুর মারার ঔষধ দেয়া হয়। কিন্তু ঔষধ খেয়ে সব ইঁদুর কি ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারায়? কিছু ইঁদুর ঘটনাস্থলে প্রাণ না হারিয়ে অন্য জায়গায় গিয়েও প্রাণ হারায় কখনো কখনো।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর দুই মাস শেষ না হতেই (ফেব্রুয়ারির ২০ তারিখের পর) চীনের বাইরে ইতালী, ইরান এবং দক্ষিণ কোরিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা এবং মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার পর নতুন আরো কিছু দেশের মানুষের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়াকে দায়ী করতে শুরু করা হয় এই তিনটি দেশের সাথে যে কোনো রকম সম্পৃক্ততাকে।
বিষয়টা যথাসম্ভব পরিষ্কারভাবে বুঝার জন্য আগে উপরের প্রতিবেদনগুলোর 'নিচে দাগ দেয়া' অংশগুলোতে আবার চোখ বুলিয়ে নেয়া যাক:

১. ফিলিপাইন
১.১ 'করোনাভাইরাসে চীনের বাইরে প্রথম মৃত্যু ফিলিপাইনে' শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনের বাইরে ফিলিপাইনে মারা গেছেন ৪৪ বছর বয়সী এক চীনা নাগরিক। তিনি চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহর থেকে ফিলিপাইনে গিয়েছিলেন। (২নং)

২. তাইওয়ান
২.১ 'করোনাভাইরাসে তাইওয়ানে প্রথম মৃত্যু' শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,  ষাটের কোঠায় থাকা বৃদ্ধ ওই ব্যক্তির আগে থেকেই ডায়াবেটিস ও হেপাটাইটিস বিতে আক্রান্ত ছিলেন। (৩নং)
২.২ 'Taiwan reports first death from coronavirus' শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, the deceased was a 61-year-old man who had diabetes and hepatitis B. ...
The man who died had not travelled abroad recently and was a taxi driver whose clients were mainly from Hong Kong, Macau and mainland China, the minister said. One of his family members was also confirmed to have the virus.
The pair constituted Taiwan’s first local transmission cases, the minister said, adding that the authorities were trying to find out the source. “So far, we are not able to gather his contact history, so we are actively making investigations, hoping to find out the source of the contraction,” Chen said.  (৪নং)
2.3 'Taiwan Scours Dead Taxi Driver’s Data to Trace Coronavirus Path' wk‡ivbv‡gi cÖwZ‡e`‡b ejv nq, The victim, a man in his 60s from central Taiwan who died Saturday, had not recently traveled overseas and had no recorded contact with any of the 19 other people diagnosed with the coronavirus in Taiwan, according to a statement from Taiwan’s Centers for Disease Control. (৫নং)

৩. ফ্রান্স
৩.১ 'করোনাভাইরাসে ইউরোপের মধ্যে প্রথম মৃত্যু ফ্রান্সে' শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনাভাইরাসে ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে ফ্রান্সে প্রথম চীনের এক পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। ...
হুবেই প্রদেশের বাসিন্দা ৮০ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি ১৬ জানুয়ারি ফ্রান্সে আসেন। (৬নং)
৩.২ 'করোনা ভাইরাস : চীনে মৃত ৪১, ফ্রান্সে মিলল ৩ আক্রান্ত' শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটির (ফ্রান্স) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, কয়েকজন ব্যক্তির শরীরে প্রাণঘাতী ওই ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। আক্রান্তরা সম্প্রতি চীন ভ্রমণ করেছিলেন। (৭নং)
৩.৩ 'These are the countries where novel coronavirus cases have been confirmed worldwide' শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়, A Chinese tourist who tested positive for coronavirus has died in France, according to a statement from French Health Minister Agnes Buzyn, confirmed to CNN by the French Health Ministry. (৮নং)

৪. হংকং
৪.১ 'চীনে গিয়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হংকংয়ের নাগরিকের মৃত্যু' শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়, রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, মৃত এই ব্যক্তি জানুয়ারিতে চীনের উহান শহরে ঘুরতে গিয়েছিলেন। (৯নং)
৪.২ 'হংকংয়ে করোনাভাইরাসে দ্বিতীয়জনের মৃত্যু' শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই ব্যক্তি হংকংয়ের কাওয়াই চুং এলাকার একটি বাড়িতে একাই বাস করতেন। .... ২২ জানুয়ারি তিনি একদিনের সফরে চীনের মূল ভূখন্ড গিয়েছিলেন। (১০নং)
৪.৩ 'Second Hong Kong Coronavirus Death as It Awaits Stranded Cruise Passengers' শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়, The 70-year-old man who died had underlying illnesses and was one of 62 confirmed cases in the Chinese-ruled city, a Princess Margaret Hospital spokeswoman said.  (১১নং)

৫. ইরান
৫.১ 'করোনাভাইরাসে ২ ইরানি নাগরিকের মৃত্যু' শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়,  দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ইরনা (আইআরএনএ) এ তথ্য জানিয়েছেন। তবে সংস্থাটি নিহত ব্যক্তিদের নাম ও পরিচয় প্রকাশ করেনি। ...
নিহত দুইজনই করোনা ভাইরাসের জীবাণু বহন করছিলেন। তারা ইরানের রাজধানী তেহরান থেকে প্রায় ১৪০ কিলোমিটার দক্ষিণে কোম নামক এলাকার বাসিন্দা। এর বাইরে নিহতদের বিষয়ে আর কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। ... তারা বয়স্ক ব্যক্তি। (১২নং)
৫.২ 'Two die of coronavirus in Iran, first fatalities in Middle East'' শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয় Two elderly people have died due to coronavirus in the city of Qom, south of Tehran. ...
The two victims had suffered acute lung infections due to their infection with the coronavirus. ...
the two people had tested positive for the virus in preliminary results and died due to immune deficiencies and old age.
There was no immediate information about the gender and the exact age of the victims. (১৩নং)
৫.৩ 'Coronavirus: First deaths reported in Middle East'  শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়, Tehran previously denied reports that people in the country were infected with the virus. ...
Both of the patients were reportedly elderly who had health issues that impacted their immunity. ...
Unfortunately both passed away in the intensive care unit due to old age and issues with their immune system. ...
The two patients, who died, however, were not known to have left Iran.
Prior to Wednesday's deaths, the Iranian government denied reports about people being infected with the virus in the country. (১৪নং)
৫.৪ 'China coronavirus outbreak: All the latest updates' শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়, the two had died of "respiratory illness".
Separately, health ministry official Kianush Jahanpur said in a post on Twitter that "both patients died in ICU due to age and immune system deficiency". ... (১৫নং)
৫.৫ 'করোনাভাইরাসে ইরানের কোম শহরে ৫০ জনের মৃত্যু!' শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশটির আধা সরকারি সংবাদ সংস্থা ইলনার বরাত দিয়ে দ্য গার্ডিয়ান, দ্য ইনডিপেনডেন্ট, এবিসি নিউজ ও আল-আরাবিয়া সহ বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত শুধুমাত্র কোম শহরে ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
তবে ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় করোনা ভাইরাসে ১২ জনের মৃত্যুর এবং ৬৪ জনের আক্রান্ত হওয়ার কথা বলেছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, চীন সফরকারী কোমের অধিবাসী একজন ইরানি ব্যবসায়ীর মাধ্যমে এ ভাইরাসটি ইরানে ছড়িয়েছে বলে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ধারণা করছে।  (১৬নং)

৬. জাপান
৬.১ 'করোনাভাইরাস: চীনে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লো কেন?' শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়, বৃহস্পতিবার জাপানে করোনাভাইরাসে একজনের মৃত্যুর ঘোষণা এসেছে - টোকিওর দক্ষিণ-পশ্চিমে কানাগাওয়া শহরের বাসিন্দা ওই নারীর বয়স ছিল প্রায় ৮০ বছরের মতো। টোকিওর দক্ষিণ-পশ্চিমে কানাগাওয়া শহরের বাসিন্দা ওই নারীর বয়স ছিল প্রায় ৮০ বছরের মতো। (১৭নং)
৬.২ 'Elderly woman dies of coronavirus in Japan' শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়, Mr Kato said that authorities are not certain that the woman was killed by the virus, but that she is the first person to die after testing positive for the infection.
'The relationship between the new coronavirus and the death of the person is still unclear,' he said at a government briefing. (১৮নং)
৬.২ '2 elderly passengers of virus-hit ship die in Japan' শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়, The man, who had bronchial asthma and other pre-existing illnesses, was hospitalized on Feb. 11 after displaying symptoms such as fever and breathing difficulties, according to the ministry. He tested positive for the new coronavirus on Feb. 12.
The woman broke out in a fever on Feb. 5 but was not initially tested for the virus. She was finally hospitalized on Feb. 12 due to the persistent fever and other symptoms, and was confirmed to be infected with the virus the following day, the ministry said.
She had no pre-existing conditions and died on Thursday of pneumonia believed to be caused by the virus, it said. (১৯নং)
(২০) 'Japan Reports 2 Deaths Among Cruise Ship Passengers' শিরোনামের সংবাদে বলা হয়, The two people, both Japanese, were an 87-year-old man and an 84-year-old woman, the Japanese broadcaster NHK reported. They were taken to hospitals on Feb. 11 and 12, and both had underlying health issues, the broadcaster said. No other information about them was immediately available. (২০নং)

৭. দক্ষিণ কোরিয়া
৭.১ 'Coronavirus updates: South Korea reports big jump in cases, virus spreading in Chinese prisons' শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়, The first person confirmed to have contracted the virus was believed to have fallen ill after meeting a friend who had recently returned from China. (২১নং)
৭.২ 'S. Korea reports 1st death from virus; cases soar to 104' শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়, The 63-year-old deceased, who had been bedridden for more than 20 years at a hospital in southeastern city of Cheongdo, died from pneumonia on Wednesday. ...
The health authorities are working to determine the exact cause of   the       patient's           death. (২২নং)
৭.৩ 'দক্ষিণ কোরিয়ায় করোনাভাইরাসে প্রথম মৃত্যু' শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়, তবে করোনাভাইরাসের আক্রান্ত হয়ে মৃত ব্যক্তির পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। আবার বলা হচ্ছে, অন্য কোনো কারণেও মারা গিয়ে থাকতে পারেন ওই ব্যক্তি। দেশটির রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, মৃত্যুর সঠিক কারণ অনুসন্ধান করা হচ্ছে। (২৩নং)
৭.৪ 'দক্ষিণ কোরিয়ায় করোনায় এক দিনে আক্রান্ত দ্বিগুণ' শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়, তবে আক্রান্ত ব্যক্তিদের চীনের কোনো নাগরিকের সঙ্গে বা করোনাভাইরাসে সংক্রমিত ব্যক্তির সঙ্গে কোনো সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি। তাই ভাইরাসটি নিয়ে নতুন উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। (২৪নং)
৭.৫ 'দক্ষিণ কোরিয়ায় করোনার ভয়ংকর ছোবল' শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়, আক্রান্ত ব্যক্তিদের চীনের কোনো নাগরিকের সঙ্গে বা করোনাভাইরাসে সংক্রমিত ব্যক্তির সঙ্গে কোনো সম্পৃক্ততা পাওয়া না যাওয়ায় ভাইরাসটি নিয়ে নতুন উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। (২৫নং)
৭.৬ ''Superspreader' in South Korea infects nearly 40 people with coronavirus' শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়, More than half of those cases involve members of, or those somehow linked to, the religious sect, the Shincheonji Church of Jesus, where a so-called superspreader infected at least 37 people last week.
A so-called superspreader infected at least 37 people at her church with the new coronavirus, and dozens of additional worshippers are also showing symptoms of the disease, called COVID-19, according to news reports. ...
Despite running a fever, the woman twice refused to be tested for the coronavirus, as she had not recently traveled abroad, according to The Guardian. So far, she and 37 other members of the church have tested positive for the novel coronavirus, called SARS-CoV-2, and 52 additional churchgoers have shown symptoms of infection but have not yet been tested. (SARS-CoV-2 is the name of the coronavirus that causes COVID-19.) (২৬নং)

৮. ইতালি
৮.১ 'ইতালিতে করোনাভাইরাসে ১ ব্যক্তির মৃত্যু, ১০ শহর বন্ধ' শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়, গতকাল শুক্রবার ইতালির উত্তরাঞ্চলের লম্বার্ডি এলাকায় ১৫ জন নতুন রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। এ ঘটনার পরপরই ৫০ হাজার মানুষের ১০টি শহর বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ....
ইতালিতে স্থানীয়ভাবে সংক্রমণ ঘটা করোনাভাইরাসের প্রথম ঘটনা এটি। যে পাঁচজন চিকিৎসক আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁরা কেউ চীন সফর করেননি। (২৭নং)
৮.২ 'উহানের মতো 'ভুতুড়ে নগরী'তে পরিণত ইতালির যে শহর' শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইতালিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে পাঁচজন চিকিৎসকও রয়েছেন। ইতালিতে স্থানীয়ভাবে সংক্রমণ ঘটা করোনাভাইরাসের প্রথম ঘটনা এটি।
যে পাঁচজন চিকিৎসক আক্রান্ত হয়েছেন, তারা কেউ চীন সফর করেননি। (২৮নং)
৮.৩ 'China coronavirus outbreak: All the latest updates' শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়, Six people have tested positive in Italy for coronavirus, the northern Lombardy region said, in the first known cases of local transmission of the potentially deadly illness in the country.
Officials told residents from three small towns some 60km (40 miles) southeast of Italy's financial capital Milan, to stay at home as doctors tested hundreds of people who might have come into contact with the six coronavirus sufferers.
None of the six was believed to have visited China. (২৯নং)
৮.৪ 'Coronavirus maps and charts: A visual guide to the outbreak' শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়, Meanwhile in Italy, the country's authorities have announced a series of measures to try to halt the virus's spread. It is not yet clear how it entered the country. (৩০নং)
৮.৫ 'করোনাভাইরাস: ইতালিতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৪০০' শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়, এই ভাইরাসটি সম্পর্কে এখনও অনেক বিষয় অজানা রয়ে গেছে। বিশেষত এর উৎস এবং এটি কীভাবে ছড়িয়েছে সে বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি। (৩১নং)

৯. যুক্তরাষ্ট্র, ইরান এবং অন্যান্য:
৯.১ 'New coronavirus cases of unknown origin found on West Coast' শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়, Health officials in California, Oregon and Washington state worried about the novel coronavirus spreading through West Coast communities after confirming three patients were infected by unknown means.
The patients — an older Northern California woman with chronic health conditions, a high school student in Everett, Washington and an employee at a Portland, Oregon-area school — hadn’t recently traveled overseas or had any known close contact with a traveler or an infected person, authorities said. (৩২নং)
৯.২ 'করোনাভাইরাস: গত ২৪ ঘন্টায় বিশ্ব-মহামারী ঠেকানোর সুযোগ কি আরও কমে গেছে?' শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়, এই প্রত্যেকটি দেশেই আমরা দেখছি করোনাভাইরাস এমনভাবে ছড়াচ্ছে যার সঙ্গে চীনের কোন সম্পর্ক নেই। ইরানের পরিস্থিতি বিশেষভাবে উদ্বেগজনক, কারণ সেখানে স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ বলছেন একই সঙ্গে কয়েকটি শহরে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে গেছে। লেবাননে যে প্রথম করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে, সেটিও ইরান থেকে ফেরা এক মানুষের মাধ্যমে ঘটেছে বলে মনে হচ্ছে। (৩৩নং)
৯.৩ 'করোনাভাইরাস: প্রাদুর্ভাব ঠেকানোর সুযোগ সীমিত হয়ে আসছে বলে হুঁশিয়াারি দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা' শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান কী বলেছেন?
ডা. টেডরস বলেন, চীনের বাইরে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা "তুলনামূলকভাবে কম" কিন্তু সংক্রমণের ধরণ উদ্বেগজনক।
"যে সব সংক্রমণের ক্ষেত্রে প্রাদুর্ভাবের সাথে কোন যোগসূত্র পাওয়া যাচ্ছে না অর্থাৎ প্রাদুর্ভাবের শিকার এলাকায় ভ্রমণ করার কোন উল্লেখ নেই অথবা আগে কোন আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসারও কোন উল্লেখ পাওয়া যাচ্ছে না সেসব সংক্রমণ নিয়ে আমাদের উদ্বেগ রয়েছে," তিনি বলেন।
ইরানে নতুন করে আক্রান্ত হওয়া এবং মৃত্যুর ঘটনা "খুবই উদ্বেগজনক", তিনি বলেন। (৩৪নং)
৯.৪ 'China coronavirus outbreak: All the latest updates' শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়, WHO chief Ghebreyesus in Geneva said he was concerned about cases outside China with 'no epidemiological link'.
"Although the total number of COVID-19 cases outside of China remains relatively small, we are concerned about the number of cases with no clear epidemiological link, such as travel history to China or contact with a confirmed case," he told reporters during a media briefing.
The WHO chief said he was concerned about the potential for COVID-19 to spread in countries with "weaker health systems". (৩৫নং)
৯.৫ What is coronavirus and what are the symptoms? শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়, The WHO has said it is concerned about the number of cases with no clear link to China or other confirmed cases. It has said the window of opportunity to contain the virus was "narrowing". (৩৬নং)
৯.৬ 'করোনাভাইরাস ছড়ানোর ধরন উদ্বেগজনক: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ' শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়, কোনো আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে না আসা বা চীন সফর না করেও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে ইরানে নতুন করে সংক্রমণ ঘটা ও মৃত্যু ঘটনা খুবই উদ্বেগজনক।
তিনি মনে করেন, যেসব দেশ স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় দুর্বল, সেখানে এ রোগের বিস্তার নিয়ে তাঁরা উদ্বেগে রয়েছেন। (৩৭নং)
৯.৭ 'What is coronavirus and what should I do if I have symptoms?' শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়, The spread of the virus outside China is worrying but not an unexpected development. ...
The key issues are how transmissible this new coronavirus is between people, and what proportion become severely ill and end up in hospital. Often viruses that spread easily tend to have a milder impact. Generally, the coronavirus appears to be hitting older people hardest, with few cases in children. (৩৮নং)

এবার আমরা এই প্রতিবেদনগুলোর সারাংশে আসি:
# ফিলিপাইন : ফিলিপাইনে প্রথমে যিনি করোনাভাইরাসে মৃত্যুবরন করেছেন, তিনি 'উহান ফেরত'।
# তাইওয়ান : (১) তাইওয়ানে প্রথম যিনি করোনাভাইরাসে মারা গেছেন বলে মনে করা হয়, তিনি ডায়াবেটিস ও হেপাটাইটিস বি-তে ভুগছিলেন। (২) তিনি সম্প্রতি বাইরের কোনো দেশে যাননি। (৩) এটা তাইওয়ানের প্রথম স্থানীয় সংক্রমণ। (৪) তাইওয়ানে এর আগে করোনাভাইরাস শনাক্তকৃত ১৯ জনের সাথে ওই ব্যক্তির কোনো সম্পর্ক ছিল না।
# ফ্রান্স : (১) ফ্রান্সে যিনি প্রথম মারা গেছেন, তিনি ছিলেন চীনা পর্যটক। (২) ৮০ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি ১৬ জানুয়ারি চীন থেকে ফ্রান্সে আসেন। (৩) ফ্রান্সে পরবর্তীতে যারা আক্রান্ত হয়েছেন, তাদের মধ্যে কয়েক ব্যক্তি সম্প্রতি চীনে ভ্রমণ করেছেন।
# হংকং : (১) হংকংয়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম ব্যক্তি চীনে গিয়ে আক্রান্ত হয়ে হংকংয়ে এসে মৃত্যুবরণ করেন। (২) দ্বিতীয় ব্যক্তি একদিনের সফরে চীনের মূল ভূখন্ডে গিয়েছিলেন। (৩) দ্বিতীয় ব্যক্তির অন্তর্নিহিত অসুস্থতাও ছিল।
# ইরান : (১) করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত প্রথম দু'ব্যক্তি বয়স্ক ছিলেন। (২) বার্ধক্যজনিত কারণে এবং ফুসফুসের সংক্রমণে তারা উভয়ে আইসিইউতে থাকা অবস্থায় মারা যান। (৩) মজার বিষয় হচ্ছে, এদের নাম, পরিচয়, বয়স এমনকি লিঙ্গ সম্পর্কেও জানা যায়নি। (৪) মৃত দু’জন ইরানের বাইরে কোথাও গিয়েছিলেন কিনা, তা-ও জানা যায়নি। (৫) ইরানের কোম শহরে পরবর্তীতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৫০ জনের মতো মানুষ মৃত্যুবরন করেন। ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের 'ধারণা', চীনে সফরকারী কোমের অধিবাসী একজন ইরানী ব্যবসায়ীর মাধ্যমে ভাইরাসটি ইরানে ছড়িয়েছে।
# জাপান : (১) করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরনকারী প্রথম নারীর বয়স ছিল ৮০ বছরের মতো। (২) কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত নয় যে, এই নারী ভাইরাস দ্বারা মারা গিয়েছিল। (৩) ডায়মন্ড প্রিন্সেস জাহাজে যে দু'জন জাপানি যাত্রী নিহত হলেন, তাদের একজন পুরুষ ও অন্যজন নারী, দু'জনেরই বয়স আশির কোঠায়। (৪) তাদের উভয়ের অন্তর্নিহিত সমস্যাও ছিল।
# দক্ষিণ কোরিয়া : (১) দক্ষিণ কোরিয়ায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম ব্যক্তি সম্পর্কে বলা হয়, দক্ষিণ কোরিয়ায় করোনাভাইরাসে সংক্রামিত হয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া প্রথম ব্যক্তিটি সম্প্রতি চীন থেকে ফিরে আসা এক বন্ধুর সাথে দেখা করার পরে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন বলে 'মনে করা হয়'। (২) অবশ্য ২০ বছরের বেশি সময় ধরে লোকটি শয্যাশায়ীও ছিলেন। (৩) তিনি নিউমোনিয়ায় মারা যান। (৪) আবার বলা হচ্ছে, অন্য কোনো কারণেও মারা গিয়ে থাকতে পারেন ওই ব্যক্তি। (৫) মৃত্যুর সঠিক কারণ অনুসন্ধান করা হচ্ছে। (৬) দক্ষিণ কোরিয়ায় করোনাভাইরাসে নতুন করে আক্রান্ত ব্যক্তিদের চীনের কোনো নাগরিকের সঙ্গে বা করোনাভাইরাসে সংক্রমিত ব্যক্তির সঙ্গে কোনো সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি। তাই ভাইরাসটি নিয়ে নতুন উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। (৭) দক্ষিণ কোরিয়ার একটি গীর্জায় ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ার জন্য "রোগী ৩১" নামক যে নারীকে দায়ী করা হয়, দ্য গার্ডিয়ানের মতে, ঐ মহিলা সম্প্রতি বিদেশ ভ্রমণ করেননি বলে করোনাভাইরাসটি পরীক্ষা করার জন্য দু'বার অস্বীকার করেছিলেন।
# ইতালি : (১) ইতালিতে করোনাভাইরাসে প্রথম যে ব্যক্তির মৃত্যুবরনের ঘটনা ইতালিতে স্থানীয়ভাবে সংক্রমণ ঘটা করোনাভাইরাসের প্রথম ঘটনা। তাছাড়া যে পাঁচজন চিকিৎসক আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁরা কেউ চীন সফর করেননি। (২) ইতালির তিনটি শহরে যে ছয়জন লোকের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে, তাদের কেউ চীন ভ্রমণ করেছে বলে বিশ্বাস করা হয়নি। (৩) বলা হয়, এখনো পরিষ্কার নয় ইতালীতে কিভাবে করোনাভাইরাস প্রবেশ করেছে। (৪) আবার বলা হয়েছে এটি কিভাবে ছড়িয়েছে সে বিষয়ে এখনো কিছু জানা যায়নি।
# যুক্তরাষ্ট্র, ইরান এবং তৎসংশ্লিষ্ট : (১) যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিম উপকূলের তিনটি রাজ্য ক্যালিফোর্নিয়া, ওরেগন এবং ওয়াশিংটনে যে তিনজন রোগীর করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে, তিনজনই অজানা উপায়ে সংক্রামিত হয়েছে, বিষয়টা নিশ্চত। রোগীরা সম্প্রতি বিদেশ ভ্রমণ করেননি বা কোনও ভ্রমণকারী বা কোনও পরিচিত ব্যক্তির সাথে তাঁর ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল না। (২) ইরানের অবস্থাও অনেকটা এরকম। এজন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা রোগটিকে মহামারী ঘোষনা করতে দ্বিধান্বিত।

এই সারাংশ থেকে আমরা করোনাভাইরাস চীনের বাইরে সংক্রমিত হবার ঘটনাগুলোকে ৩ ভাগে ভাগ করতে পারি।
এক. উহান থেকে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মানুষের অন্য দেশে গিয়ে মৃত্যু।
দুই. করোনাভাইরাসের উপদ্রবের সময় বা পর থেকে চীনের উহানে ছিল না বা যায়নি, পৃথিবীর অন্যান্য দেশের এমন অনেক লোকও এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া।
তিন. চীনের উহান থেকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আসা কারো সংস্পর্শ ছাড়াই অন্যান্য দেশের মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া।
দ্বিতীয় এবং তৃতীয় প্রকারের লোকদের আক্রান্ত হওয়াকে স্থানীয় সংক্রমণ হিসেবে অভিহিত করা হয়।

করোনাভাইরাসের উপদ্রবের সময় চীনের উহানে ছিল, সেখান থেকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে অন্য দেশে গিয়ে মারা যাবার ঘটনাগুলোই প্রথম প্রথম বেশি ঘটেছে। এ ধরনের ঘটনা দেখেই ব্যাপকভাবে প্রচারিত হতে শুরু করেছে এবং এই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে, ভাইরাসটি নাকি চীন থেকে অন্য দেশে ছড়াতে শুরু করেছে। বিষয়টা হাস্যকর। চীন থেকে ভাইরাসটি তখন ছড়ায়নি। চীন থেকে অন্য দেশে ছড়িয়েছে ভাইরাসাক্রান্ত মানুষ। কিন্তু তবু মানুষ আতঙ্কিত হতে শুরু করেছে কেন? কারণ (এক) এই ভাইরাসে আক্রান্ত মানুষ সাধারণত নিউমোনিয়ায় ভোগে মারাত্মকভাবে। আর নিউমোনিয়া সম্পর্কে এই শক্ত ধারণা 'সেট' করা আছে আমাদের সবার মাথায়, এই রোগটি ছোঁয়াচে। বিজ্ঞান আমাদেরকে এটা শিখিয়েছে। ব্যস, করোনাভাইরাসের 'রোগী' থেকে 'ভাইরাস' ছড়াতে শুরু করলো ঐ সমস্ত লোকের শরীরে, যারা ঐ রোগীর সংস্পর্শে আসার পর নিউমোনিয়া, ইনফ্লুয়েঞ্জা ইত্যাদি রোগে ভুগতে শুরু করেছে। 'সব শেষ', 'সব শেষ' বলে চারদিকে চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু হলো। আমাদেরকে খেতে শুরু করলো মনের বাঘে। কিন্তু আমাদের মাথায় কোনোভাবে এটা ঢুকলো না, নিউমোনিয়া, ইনফ্লুয়েঞ্জা এসব রোগ আমাদের সবারই হয় মাঝে মাঝে। যারা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কোনো লোকের সংস্পর্শে আসেনি, তারাও রোগটির আক্রমণের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হচ্ছে। (দুই) আরেকটা কারণ হতে পারে, যেহেতু উহানের মাছের বাজার থেকে রোগটির উৎপত্তি হয়েছে বলে প্রচার করা হলেও এই কথার কোনো ভিত্তি নেই বলে একটু আগেই আলোচনা করা হয়েছে, তাই 'সত্যিকারার্থে যে কারণে' উহানে করোনাভাইরাস ছড়িয়েছে, সে কারণেই এসব দেশেও ছড়িয়ে থাকতে পারে।

যদি এসব দেশ থেকে কোনো করোনা রোগী গিয়ে উহানে রোগটি না ছড়ায়, তাহলে উহান থেকে রোগী গিয়ে এসব দেশে রোগটি ছড়াতে হবে, এমন কোনো কথা নেই। কিন্তু (১) 'নিউমোনিয়া একটি ছোঁয়াচে রোগ', এই ধারণায় বুঁদ হয়ে থাকার কারণে সেদিকে লক্ষ্য করার প্রয়োজন আমরা মনে করি না। (২) পাশাপাশি সকল রকম সংবাদ মাধ্যমে করোনাভাইরাসকেও সংক্রামক বলে সতর্ক করা শুরু হয়। প্রচার করা হতে থাকে এই ভাইরাস হাঁচি-কাশি, শ্লেষ্মা-থুথু ইত্যাদির মাধ্যমে একজন থেকে আরেকজনে সংক্রমিত হয়। এ সম্পর্কে কিছু প্রতিবেদন ইতিপূর্বে উল্লেখ করা হয়েছে। (৩) উহানে কী কারণে ছড়িয়েছে, তা ভালোভাবে না খুঁজে রোগটিকে ছোঁয়াচে বলে প্রচার করাটাই অন্য দেশে রোগটি ছড়িয়ে পড়ার পরোক্ষ কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিভাবে, তা পরবর্তী আলোচনায় চলে আসবে।

সবচেয়ে বড় কথা, (১) আমরা নিউমোনিয়া, ইনফ্লুয়েঞ্জা ইত্যাদি রোগকে আগ থেকে যেভাবে ছোঁয়াচে বলেই জানি এবং দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, যদি এ সম্পর্কে আমাদের বিশ্বাসটা সেরকম না হয়ে বরং এরকম হতো, 'নিউমোনিয়া, ইনফ্লুয়েঞ্জা ইত্যাদি রোগ কোনোভাবে একজনের শরীর থেকে আরেকজনের শরীরে ছড়াতে পারে না', তাহলে আমার বিশ্বাস, 'উহান ফেরত' করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কারো শরীর থেকে কোনো 'ভাইরাস' অন্য কারো শরীরে সংক্রমিত হতো না। যে লোক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হতো, সে-ই শুধু ক্ষতিগ্রস্থ হতো; এমনকি আমরা তাকে সমাজ থেকে আলাদা না করে, স্বাভাবিক চলাফেরা থেকে তাকে বঞ্চিত না করে বরং তার সেবায় সবাই আত্মনিয়োগ করতাম। এমনকি তার সংস্পর্শে আসার পরও যদি আমরা নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হতাম, কোনোভাবেই আমাদের মনে হতো না, আমাদের নিউমোনিয়া তার কাছ থেকে উড়ে এসে আমাদেরকে আক্রমণ করেছে! বরং স্বাভাবিকভাবেই আমাদের মনে হতো, আমাদের আগে আমাদের কাছের কারো হওয়া ছাড়া অন্য সময়ও তো আমাদের নিউমোনিয়া হয়, এখনও সেভাবেই হয়েছে। আর আমাদের নিউমোনিয়ার চিকিৎসাও সাধারণ নিউমোনিয়ার চিকিৎসার মতোই করা হতো। ২. নিউমোনিয়া, ইনফ্লুয়েঞ্জা ইত্যাদি রোগের প্রকৃত কারণ সম্পর্কে আমরা সচেতন নই বলেই মনে করি বা প্রচার করা হয়, রোগগুলোতে কোনো একজন আক্রান্ত হলে তার সংস্পর্শে যাওয়া অন্যরাও আক্রান্ত হয়।
উহান থেকে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে অন্য দেশে যাবার পর সংক্রমিত লোক থেকে সে দেশের কারো সংক্রমিত হবার ঘটনা প্রথম অবস্থায় একেবার কম ছিল। কিন্তু তবু কেন অন্য অনেক দেশে করোনাভাইরাস ছড়িয়েছে, এমনকি বেশ কয়েকটি দেশে করোনাভাইরাস চীনের চেয়েও ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে?

নিউমোনিয়া এবং ইনফ্লুয়েঞ্জা ইত্যাদি সর্দি-জ্বর জাতীয় সমস্যাগুলোর কারণ সম্পর্কে প্রথম পরিচ্ছেদেই আলোচনা করা হয়েছে। এখানে শুধু বাড়তি একটি কথাই বলা দরকার, এই রোগগুলোর প্রতিষেধক কখনো আবিষ্কার করা যাবে না। ঋতু পরিবর্তন, অতিরিক্ত ঠান্ডা লাগা এবং ঠান্ডা-গরমের আকস্মিক মিশ্রণের সাথেই মূলত রোগগুলো সম্পর্কিত। মানুষের শরীরের শারীরিক বৈশিষ্ট্য আমূল পরিবর্তন করা গেলেই শুধু এই রোগগুলো থেকে মানুষকে বাঁচানো সম্ভব হবে, নয়তো নয়। আমরা এই বিষয়গুলো নিয়ে ভালোভাবে ভাবি না বা এ সম্পর্কে সঠিক ধারণার পরিবর্তে মারাত্মক সব গুজব বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে থাকার কারণে সমাজের একজন লোক এই রোগগুলোর কোনোটিতে কোনো কারণে আক্রান্ত হলে আমরা ভয়ে তটস্থ হয়ে যাই, ভাবতে শুরু করি, আমি আবার কখন ওই লোক থেকে রোগটিতে আক্রান্ত হয়ে পড়ি! আমাদের মনে এই অমূলক ভীতিগুলো ছড়ানোর জন্য বিজ্ঞান দায়ী। কারণ বিজ্ঞানই আমাদের মনে এই রোগগুলো একজন থেকে আরেকজনে ছড়ায় বলে ভীতি ছড়াচ্ছে যুগের পর যুগ ধরে। এই ভীতিগুলোর জন্যই, এরকম নানা গুজবে বিশ্বাস করার জন্যই আমাদেরকে অনেক সময় 'বনের বাঘে নয়, মনের বাঘে খায়'।

নবম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন

Post a Comment

0Comments
Post a Comment (0)
To Top