করোনাভাইরাসের প্রকৃত রহস্য
[করোনাভাইরাস : কোত্থেকে ছড়ালো? সত্যিই কি ছোঁয়াচে? সত্যিই কি কোনো ‘ভাইরাস’? মহামারী প্রতিরোধে করণীয়]
দ্বিতীয় অধ্যায়
করোনাভাইরাসের (2019-nCoV/Covid-19) ইতিহাস
দৈনিক যুগান্তরে ২১ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে 'এশিয়ায় ছড়াচ্ছে নয়া ভাইরাস' শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে করোনাভাইরাস সম্পর্কে বলা হয়, 'মাসখানেক আগে গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরে প্রথম এই ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটে। দেশটির স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা এটাকে করোনাভাইরাস বলে শনাক্ত করেছিলেন। তারা জানান, ভাইরাসটি নিউমোনিয়ার মহামারী ঘটাতে পারে। তবে ভাইরাসটি সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানাননি।'
২৩ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে দৈনিক যুগান্তরে ‘যুক্তরাষ্ট্রে ছড়াল চীনের ভাইরাস’ শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, 'গত বছর ডিসেম্বর চীনের উহান শহরে প্রথম এ ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটে। দেশটির স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা এটাকে করোনা ভাইরাস বলে শনাক্ত করেন। তারা জানান, ভাইরাসটি নিউমোনিয়ার মহামারী ঘটাতে পারে। তবে ভাইরাসটি সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।'
২৪ জানুয়ারি ২০২০ তারিখের প্রথম আলোয় প্রকাশিত 'ঝুঁকি আছে, প্রস্তুতিও আছে' শিরোনামে একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, 'বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার চীনা দপ্তর গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর জানতে পারে, হুবেই প্রদেশের উহান শহরে মানুষ অজ্ঞাত কারণে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে। ৭ জানুয়ারি চীনা কর্তৃপক্ষ নতুন এই ভাইরাস শনাক্ত করে।'
করোনাভাইরাসের লক্ষণ ও উপসর্গ
'করোনাভাইরাস: লক্ষণ ও চিকিৎসা কী, কতটা মারাত্মক, কোথা থেকে এলো, কোন প্রাণী থেকে ছড়ালো, চীনে কেন?' শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় বিবিসি বাংলায়, ২৭ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে। সেখানে বলা হয়, 'জ্বর দিয়ে ভাইরাসের সংক্রমণ শুরু, এরপরে শুকনো কাশি দেখা দিতে পারে। প্রায় এক সপ্তাহ পরে শ্বাসকষ্ট শুরু হয়ে যায়। অনেক রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দিতে হয়। প্রতি চারজনের মধ্যে অন্তত একজনের অবস্থা মারাত্মক পর্যায়ে যায় বলে মনে করা হয়। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে হালকা ঠান্ডা লাগা থেকে শুরু করে মৃত্যুর সব উপসর্গ দেখা দিতে পারে।'
প্রতিবেদনটিতে আরো বলা হয়, 'একটি ভাইরাস- যা পূর্বে বিজ্ঞানীদের অজানা ছিল- এর মধ্যেই চীনের অনেক মানুষের ফুসফুসের মারাত্মক রোগ সৃষ্টি করেছে এবং অন্যান্য দেশেও এটি ধরা পড়েছে। ... রোগীদের শরীরে নিউমোনিয়া তৈরি করছে, এমন একটি ভাইরাস সবসময়ই উদ্বেগজনক।'
'ঝুঁকি আছে, প্রস্তুতিও আছে' শিরোনামে প্রথম আলোয় প্রকাশিত প্রতিবেদনটিতে আরো বলা হয়, 'এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে জ্বর হয়, শ্বাসকষ্ট হয়, শ্বাসকষ্টের সঙ্গে কাশি থাকে। নিউমোনিয়া দেখা দেয়। কিডনীর প্রদাহ হতে পারে।'
'করোনাভাইরাস ঠেকাতে প্রস্তুত সরকার' শিরোনামে ২৯ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে দৈনিক যুগান্তরে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, 'রোগের লক্ষণ, উপসর্গ, জটিলতা ও চিকিৎসা নিয়ে বক্ষব্যাধি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. শামীম আহমেদ জানান, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। এই রোগের লক্ষণের মধ্যে রয়েছে জ্বর, সর্দি, হাঁচি-কাশি, শরীর ব্যথা, দুর্বলতা, ডায়রিয়া ইত্যাদি। এসব লক্ষণ দেখা দিলে সবাইকে অধিক সতর্ক হতে হবে এবং যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। এ রোগে নিউমোনিয়া হলে ফুসফুস অকেজো হয়ে যায় এবং পরবর্তী সময়ে কিডনী, হার্ট ও লিভার অকেজো হয়ে যায়। এতে রোগীর মৃত্যুও হতে পারে।'
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ওয়েবসাইটে Coronavirus শিরোনামে প্রকাশিত একটি নিবন্ধে বলা হয়,