করোনাভাইরাসের প্রকৃত রহস্য
[করোনাভাইরাস : কোত্থেকে ছড়ালো? সত্যিই কি ছোঁয়াচে? সত্যিই কি কোনো ‘ভাইরাস’? মহামারী প্রতিরোধে করণীয়]
'করোনাভাইরাস: উহানেই জীবাণু অস্ত্র কর্মসূচির ২ পরীক্ষাগার' শিরোনামে দৈনিক যুগান্তরে ২৮ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে ওয়াশিংটন পোস্টের এই প্রতিবেদন অনুসারে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। [https://www.jugantor.com/international/272415]
'ড. ফ্রান্সিস বয়েলের দাবি : 'করোনা' ভাইরাস নয়, শক্তিশালী জৈব রাসায়নিক মারণাস্ত্র!' শিরোনামে দৈনিক কালের কণ্ঠে ১৭ মার্চ, ২০২০ তারিখে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, 'জিনের গঠন বদলে আরও ভয়ঙ্কর হয়েছে নোভেল করোনাভাইরাস। এরই মধ্যে ৩৮০ বার জিন বদলে বিজ্ঞানীদের ঘুম হারাম করে দিয়েছে নোভেল করোনাভাইরাস। সাধারণ করোনার থেকে এর বিষ অনেক বেশি। 'জেনেটিক্যালি মডিফায়েড' এই করোনাভাইরাসের জন্মদাতা চীনের উহানের বায়োসেফটি ল্যাবোরেটরি লেভেল ফোর। আর এই কথা আগে থেকেই জানত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। আন্তর্জাতিক একটি সাংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমনই বিস্ফোরক দাবি করলেন মার্কিন আইনজীবী, রাসায়নিক মারণাস্ত্র বিরোধী সংগঠনের অন্যতম সদস্য ড. ফ্রান্সিস বয়েল।
ইউনিভার্সিটি অব ইলিনয়েস কলেজের আইনের অধ্যাপক ড. ফ্রান্সিস বয়েল। রাসায়নিক অস্ত্র নিরস্ত্রীকরণ সংগঠনেরও অন্যতম মাথা তিনি। তাঁর উদ্যোগেই ১৯৮৯ সালে 'বায়োলজিক্যাল ওয়েপনস অ্যান্টি-টেররিজম অ্যাক্ট' বিল পাশ হয়। নোভেল করোনাভাইরাস যে নিছকই কোনও ভাইরাসের সংক্রমণ নয়, সে বিষয়ে আগেও মুখ খুলেছিলেন ড. ফ্রান্সিস। ইজরায়েলি গোয়েন্দা ও মাইক্রোবায়োলজিস্টদের দাবির সমর্থন জানিয়েই ড. ফ্রান্সিস বয়েল বলেন, উহানের ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজির বায়োসেফটি লেভেল ফোর ল্যাবোরেটরিতে অতি গোপনে রাসায়নিক মারণাস্ত্র বানানোর প্রক্রিয়া চলছে। সেখান থেকেই ছড়িয়েছে এই ভাইরাসের সংক্রমণ। সি-ফুড মার্কেটের ব্যাপারটা নেহাতই চোখে ধুলো দেওয়ার চেষ্টা। আর এই কথা বিলক্ষণ জানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। সব জেনেও গোটা বিষয়টাকে ধামাচাপা দেওয়ার কৌশলী চেষ্টা চলছে।
ড. ফ্রান্সিস বয়েল বলেছেন, উহানের এই বায়োসেফটি লেভেল ফোর ল্যাবোরেটরিকে সুপার ল্যাবোরেটরির তকমা দিয়েছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। বলা হয়েছিল, এই ল্যাবে ভাইরাস নিয়ে কাজ হলেও তা অনেক বেশি সুরক্ষিত ও নিরাপদ। ল্যাবোরেটরির জন্যই রয়েছে আলাদা উইং যার বাইরের পরিবেশের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ নেই।
ড. ফ্রান্সিস বলেন, সার্স ও ইবোলা প্রাণঘাতী হয়ে ওঠার পরে অভিযোগের আঙুল ওঠে এই গবেষণাগারের দিকেই। রোগ প্রতিরোধ নয়, বরং প্রাণঘাতী জৈব অস্ত্র বানাতেই মত্ত গবেষকরা। যারই পরিণতি হাজার হাজার মৃত্যু। নোভেল করোনাভাইরাসের জিনগত বদল ঘটানো হয়েছে এবং উহানের এই ল্যাবোরেটরি থেকেই যে ভাইরাস ছড়িয়েছে সেটাও জানেন ডব্লিউএইচও'র অনেক গবেষকই।
নোভেল করোনাভাইরাস যে রাসায়নিক মারণাস্ত্র, নিশ্চিত করেছেন মার্কিন সিনেটর টম কটনও। তাঁর দাবি, চীন জীবাণুযুদ্ধের জন্য বানাচ্ছিল ওই ভাইরাস। চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং কথাটা লুকোতে চাইছেন কারণ আন্তর্জাতিক আইনে জীবাণুযুদ্ধ নিষিদ্ধ। তাঁরা ওই নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করছিলেন জানাজানি হলে শাস্তির মুখে পড়তে হবে।
২০১৫ সালে রেডিও ফ্রি এশিয়া তাদের রিপোর্টে দাবি করেছিল, উহান ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজিতে ভয়ঙ্কর, প্রাণঘাতী সব ভাইরাস নিয়ে কাজ করছেন গবেষকরা। এর অর্থ জৈব রাসায়নিক মারণাস্ত্রের দিকে ক্রমশ ঝুঁকছে বেইজিং।'
সূত্র- গ্রেটজেমি ইন্ডিয়া। [https://www.kalerkantho.com/online/world/2020/03/17/887101]
সর্বশেষ এই প্রতিবেদন সরাসরি ঐ মতের পক্ষে কথা বলেছে, যে মত সবার সামনে পরিষ্কার করার জন্য এই লেখার জন্ম। মানে করোনাভাইরাস কোনো ভাইরাস নয়, এটা ল্যাবরেটরী থেকে ছড়ানো রাসায়নিক মারণাস্ত্র। এখানে আরো বলা হয়, সি-ফুড মার্কেটের ব্যাপারটা নেহাতই চোখে ধুলো দেওয়ার চেষ্টা। এককথায় এটা স্পষ্ট, উহানের ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজি থেকে ছড়ানো বিষাক্ত কোনো কেমিক্যাল উহানের বাতাসে মিশে যাবার ফলেই উহানের মানুষ ব্যাপকাকারে ফুসফুসের রোগ নিউমোনিয়ায় তীব্রভাবে ভুগতে শুরু করে এবং মরতে শুরু করে; এন্টিবায়োটিকেও কোনো কাজ হয় না। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে চিকিৎসাকর্মীরাও, মাস্ক এবং পিপিই পরিহিতরাও রোগটি থেকে রক্ষা পায়নি, শুধু উহানের বিষাক্ত বাতাস ফুসফুসে গ্রহণ করার কারণে।