করোনাভাইরাসের প্রকৃত রহস্য
[করোনাভাইরাস : কোত্থেকে ছড়ালো? সত্যিই কি ছোঁয়াচে? সত্যিই কি কোনো ‘ভাইরাস’? মহামারী প্রতিরোধে করণীয়]
এবার দেখা যাক ষড়যন্ত্র তত্ত্ব মূলক একটি প্রতিবেদন:
'কে ছড়ালো করোনাভাইরাস? যা বলছেন বিজ্ঞানীরা' শিরোনামে দৈনিক কালের কণ্ঠে ২৬ মার্চ, ২০২০ তারিখে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, 'কে ছড়ালো করোনাভাইরাস- যুক্তরাষ্ট্র, চীন না ব্রিটেন? আসলেই কি এটি জীবজন্তুর দেহ থেকে মানুষের শরীরে ঢুকেছে নাকি জীবাণু অস্ত্রের ল্যাবরেটরি থেকে উদ্দেশ্যমূলক-ভাবে এটি ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে?
সংক্রমণ যত ছড়িয়ে পড়ছে, তার সাথে পাল্লা দিয়ে ছড়িয়ে পড়ছে নানা ষড়যন্ত্র তত্ত্ব।
শুধু যে সোশ্যাল মিডিয়াই এসব ষড়যন্ত্র তত্ত্বে ছয়লাব তাই-ই নয়, কিছু দেশের মূলধারার কিছু কিছু মিডিয়াও এসব তত্ত্ব প্রচার করছে।
ষড়যন্ত্র এসব তত্ত্বগুলো আসছে প্রধানত যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীন এবং ইরান থেকে। এসব দেশের সরকারগুলো সরাসরি এসবের পেছনে না থাকলেও, সরকারের সাথে সম্পর্কিত কিছু ব্যক্তির কথায় এবং মিডিয়ায় এগুলো স্থান পাচ্ছে।
কে কাকে সন্দেহ করছে?
চীন এবং ইরানের ভেতর থেকে সন্দেহের তীর যুক্তরাষ্ট্রের দিকে।
চীনের ভেতর সোশ্যাল মিডিয়ায় মানুষজন হরদমসে লিখছে এবং শেয়ার করছে যে চীনকে শায়েস্তা করতে যুক্তরাষ্ট্র জীবাণু অস্ত্র হিসাবে চীনে এই ভাইরাস ছড়িয়ে দিয়ে গেছে।
শুধু সোশ্যাল মিডিয়া নয়, একজন চীনা কূটনীতিক তার টুইটার অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে সরাসরি ইঙ্গিত করেছেন, উহানে গত বছর অক্টোবর মাসে একটি ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে আসা মার্কিন সেনাবাহিনীর একটি দল এই ভাইরাস ছড়িয়ে গেছে।
চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্রও ঝাও লিজিয়ান টুইটারে মার্চের ১১ তারিখে মার্কিন একটি কংগ্রেস কমিটির সামনে সেদেশের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোলের (সিডিসি) প্রধান রবার্ট রেডফিল্ডের একটি শুনানির ভিডিও ক্লিপ পোষ্ট করেছেন। ঐ ফুটেজে রেডফিল্ড যুক্তরাষ্ট্রে কিছু ইনফ্লয়েঞ্জা-জনিত মৃত্যুর ঘটনা সম্পর্কে বলছেন, পরীক্ষায় দেখা গেছে কোভিড-নাইন্টিনের কারণেই ঐ মৃত্যু।
যদিও রেডফিল্ড বলেননি কখন ঐসব মৃত্যু হয়েছে, কিন্তু চীনা ঐ কূটনীতিক টুইটারে ঐ ভিডিও ক্লিপ পোস্ট করে সাথে লিখেছেন, "সিডিসি ধরা পড়ে গেছে। কখন প্রথম রোগীটি যুক্তরাষ্ট্রে মারা গিয়েছিল? কত মানুষ সংক্রমিত হয়েছিল? কোন কোন হাসপাতালে? হতে পারে যেসব মার্কিন সেনা উহানে ঐ ভাইরাস এনেছিল তারাই... স্বচ্ছ হোন। মানুষকে সত্য জানান। যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ব্যাখ্যা চাই।"
ঝাওয়ের ঐ টুইট চীনা রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত টিভি সিসিটিভিতে প্রচার হয়। গ্লোবাল টাইমসেও তা ছাপা হয়।
এছাড়াও, চীনের ভেতর থেকে একাধিক বিজ্ঞানী বলেই চলেছেন করোনাভাইরাসের মহামারি চীনে শুরু হলেও, এই ভাইরাসের উৎপত্তি চীনে হয়নি।
ইরানের অঙ্গুলি আমেরিকার দিকে
চীনের পাশাপাশি ইরানের ভেতরেও ব্যাপক মানুষের বিশ্বাস এই জীবাণু যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি।
এমনকি ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ডের কমান্ডার মেজর জেনারেল হুসেইন সালামি সরাসারি বলেছেন, করোনাভাইরাস যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি একটি জীবাণু অস্ত্র।
গত পাঁচই মার্চ জে. সালামি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র প্রথমে চীনে এবং পরে ইরানের বিরুদ্ধে "জীবাণু-অস্ত্রের সন্ত্রাসী হামলা" চালিয়েছে।
পরদিনই ইরানের জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির একজন প্রভাবশালী সদস্য হেশমাতোল্লাহ ফাতালহাতপিশে মন্তব্য করেন, "ট্রাম্প এবং পম্পেও করোনা নিয়ে মিথ্যা কথা বলছেন...এটা কোনো সাধারণ রোগ নয়, এটা ইরান এবং চীনের বিরুদ্ধে জীবাণু অস্ত্রের হামলা।"
রাশিয়ার ভূমিকা
রাশিয়ার ভেতর থেকে সোশ্যাল মিডিয়া ছাড়াও রাশিয়ার সরকারের সাথে সম্পর্কিত বিভিন্ন মিডিয়ায় চীন এবং ইরানের এসব অভিযোগ-তত্ত্ব জোরেসোরে প্রচার করা হচ্ছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের ফাঁস হয়ে যাওয়া একটি গোপন রিপোর্টে বলা হয়েছে, ইইউ'এর একটি মনিটরিং দল মার্চের ১৬ তারিখ পর্যন্ত দুমাসের এক অনুসন্ধানে ৮০টি প্রমাণ পেয়েছে যে ক্রেমলিনের সাথে ঘনিষ্ঠ মিডিয়ায় করোনাভাইরাস নিয়ে নানা ধরণের অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।
রুশ বিভিন্ন মিডিয়ায় এই ভাইরাস ছড়ানোর জন্য ব্রিটেনকেও দায়ী করা হচ্ছে।
সরকার সমর্থিত স্পুটনিক রেডিওতে একটি অনুষ্ঠান প্রচার করা হয়েছে যেখানে বলা হয়েছে, ব্রেক্সিটের পর বাজার খুলে দেওয়ার জন্য চীনকে বাধ্য করতে ব্রিটেন এই কান্ড ঘটিয়ে থাকতে পারে।
রুশ একটি জনপ্রিয় টিভি টকশোতে (দি বিগ গেম) ইগর নিকুলিন নামে রুশ একজন মাইক্রোবায়োলজিস্ট বলেন, ব্রিটেন এই করোনা 'অস্ত্র' তৈরি করেছে।
তিনি বলেন, "(ব্রিটেনের) পোর্টান ডাউনে একটি গবেষণাগারে বহুদিন ধরেই নানা জীবাণু এবং রাসায়নিক অস্ত্র তৈরির কাজ চলছে।"
তবে রুশ সরকার দাবি করেছে, এসব বক্তব্যের সাথে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই।
আমেরিকার তীর চীনের দিকে
আমেরিকার ভেতরেও করোনাভাইরাস নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র তত্ত্ব ছড়িয়েছে।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প স্বয়ং ঘুরে ফিরে বলেই চলেছেন, করোনা ভাইরাস চীনের কাজ, তারাই দায়ী।
মি ট্রাম্পের সমর্থক হিসাবে পরিচিত অনেক ব্যক্তিই খোলাখুলি বলছেন, করোনাভাইরাস চীনের তৈরি একটি জীবাণু অস্ত্র।
ক্যালিফোর্নিয়া থেকে কংগ্রেসে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন এমন এক রিপাবলিকান রাজনীতিক জোয়ান রাইট টুইট করেছেন, "উহান ল্যাবরেটরিতে এই করোনাভাইরাস তৈরি করা হয়েছে, এবং ঐ গবেষণায় চীনাদের সহায়তা করেছেন বিল গেটস।"
সমালোচনার মুখে পরে তিনি ঐ টুইট ডিলিট করে দেন।
তবে আমেরিকার কট্টর ডানপন্থী বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া সাইটে করোনাভাইরাস নিয়ে ষড়যন্ত্র তত্ত্বের কোনো শেষ নেই।
যা বলছেন বিজ্ঞানীরা
পরিস্থিতি দেখে উদ্বিগ্ন একদল বিজ্ঞানী মেডিকেল জার্নাল ল্যানসেটে একটি বিবৃতি দিয়েছেন, যেখানে তারা বলেছেন, "জীবজন্তুর শরীর থেকেই এই করোনাভাইরাস ছড়িয়েছে। ষড়যন্ত্র তত্ত্ব শুধুই ভয়, গুজব এবং ঘৃণা ছড়াবে যাতে এই সংকট মোকাবেলায় আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ব্যাহত হবে।"
এছাড়া ইতোমধ্যেই পৃথিবীর অনেক বৈজ্ঞানিক গবেষণাগারে পরীক্ষা-নিরিক্ষার পর বিজ্ঞানী ও গবেষকরা অনেক গবেষণাপত্রে প্রমাণ দিয়েছেন যে এই ভাইরাস মানুষের তৈরি কোনো জীবাণু বা জৈব অস্ত্র না।
বিজ্ঞানীরা এরমধ্যেই এই SARS-CoV-2 বা করোনা ভাইরাসের দুই প্রকার জেনেটিক বৈশিষ্ট্য- আলফা ও বিটাকরোনাভাইরাসের জিনেটিক তথ্যের তুলনামূলক কাঠামোগত বিশ্লেষণ এবং জৈব-রাসায়নিক পরীক্ষার মাধ্যমে দেখাইছেন, এই ভাইরাস মানুষের তৈরি করা কোনো কৃত্রিম জীবাণু না।
১৭ই মার্চ নেচারমেডিসিনে প্রকাশিত 'দা প্রক্সিমাল অরিজিন অভ SARS-CoV-2 নামক আর্টিকেলে গবেষকরা দেখান, এই ভাইরাসের জিনের প্রোটিনে যে ছয় ধরণের অ্যামইনো অ্যাসিড সম্বলিত 'রিসেপটর বাইন্ডিং ডোমেইন' বা জইউ পাওয়া যায়, তা এই ভাইরাসের বাহক- এইক্ষেত্রে মানুষের ACE2 রিসেপ্টরের সাথে যুক্ত হইলে মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হইতে পারেন। এই ACE2 রিসেপ্টরের সাথে SARS-CoV-2-র স্পাইক প্রোটিনের যুক্ত হওয়ার প্রবণতা 'প্রাকৃতিক নির্বাচন'এর কারণে হয় বলে গবেষকরা ধারণা করেন।
এছাড়াও ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের মতই এই করোনা ভাইরাসের প্রোটিন স্পাইকের সাবইউনিটে পাওয়া পলিবেসিক ফিউরিন ক্লিভেজ সাইট প্রাকৃতিকভাবে ভাইরাসরে তার বাহক খুঁজতে সাহায্য করে। গবেষকরা ধারণা করেন, এই ভাইরাস প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে মানুষকে আক্রমণ করার আগে অন্য প্রাণীকে প্রাথমিক আধার হিসাবে ব্যবহার করে এবং পরবর্তীতে ঐ প্রাণীর মাধ্যমে এই 'জুনোসিস' বা প্রাণিবাহিত রোগ মানুষের মধ্যে ছড়ায়। মানুষের চাইতে যেসব প্রাণীর জনসংখ্যার ঘনত্ব বেশি এবং যেসব প্রাণীর মানুষের মত ACE2 রিসেপ্টর আছে, সেসব প্রাণীকেই এই ভাইরাস প্রাথমিক আধার হিসাবে ব্যবহার করে।
দ্বিতীয় সম্ভাবনা হলো, এই ভাইরাসের পূর্বসূরী ভাইরাস কোনো প্রকার লক্ষণ প্রকাশ না করে অনেক আগে থেকেই মানুষের শরীরে বাস করছিলো, পরবর্তীতে প্রাণীবাহিত নতুন ভাইরাসের সংস্পর্শে আসার ফলে প্রাথমিক ভাইরাস সক্রিয় হয়ে ওঠে। করোনা গোত্রীয় আরেকটা ভাইরাস MERS-CoV এই পদ্ধতিতে মরু অঞ্চলের এক প্রকার উট থেকে মানুষের মধ্যে সংক্রামিত হয়েছিলো।
অনেকের মতে আবার, বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে প্রায় কয়েক লক্ষ বছর আগে বরফ-যুগে মাটির নিচে চাপা পড়া 'পারমাফ্রস্ট' হয়ে থাকা ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাসেরা পৃথিবীতে ফেরৎ আসা শুরু করেছে।
২০১৬ সালে প্রায় ৭০ বছর আগের এই ধরণের পারমাফ্রস্টেড এ্যানথ্রাক্স জীবাণু তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে বরফ গলে বাইরে বের হয়ে আসে। এবং তাতে আক্রান্ত হয়ে সাইবেরিয়ান তুন্দ্রা অঞ্চলে বেশ কিছু রেইনডিয়ার এবং মানুষ মারা যান। শুধু এ্যানথ্রাক্স না, বিশ্বের তাপমাত্রা বাড়ার সাথে সাথে বরফের নিচে চাপা পড়ে থাকা ১৯১৮ সালের ভয়ানক স্প্যানিশ ফ্লু ভাইরাস, স্মল পক্স এবং মধ্যযুগের বিউবনিক প্লেগের ভাইরাসেরও পৃথিবীতে আবার ফেরৎ আসার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে বলে দাবি করেন অনেক বিজ্ঞানী।'
সুত্রঃ বিবিসি বাংলা, দ্য গার্ডিয়ান [https://www.kalerkantho.com/online/miscellaneous/2020/03/26/890948]
এখন দেখা যাক এই প্রতিবেদন অনুসারে কে কাকে দোষারোপ করছে?
চীন এবং ইরানের ভেতর থেকে সন্দেহের তীর যুক্তরাষ্ট্রের দিকে।
রুশ সরকার নয়, বরং রুশ বিভিন্ন মিডিয়ায় এই ভাইরাস ছড়ানোর জন্য ব্রিটেনকেও দায়ী করা হচ্ছে।
আমেরিকা বলছে, করোনা ভাইরাস চীনের কাজ, তারাই দায়ী।
এদিকে বিজ্ঞানীরা নানা রকম বিশ্লেষণ করে বলছেন, এই ভাইরাস মানুষের তৈরি করা কোনো কৃত্রিম জীবাণু নয়। অনেক বিজ্ঞানীর মতে, বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে প্রায় কয়েক লক্ষ বছর আগে বরফ-যুগে মাটির নিচে চাপা পড়া 'পারমাফ্রস্ট' হয়ে থাকা ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাসেরা পৃথিবীতে ফেরৎ আসা শুরু করেছে।
প্রথমে আসা যাক বিজ্ঞানীদের কথায়। তারা বলছে, এটা মানুষের তৈরি নয়। আরো বলেছে, 'এই ভাইরাস প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে মানুষকে আক্রমণ করার আগে অন্য প্রাণীকে প্রাথমিক আধার হিসাবে ব্যবহার করে এবং পরবর্তীতে ঐ প্রাণীর মাধ্যমে এই 'জুনোসিস' বা প্রাণিবাহিত রোগ মানুষের মধ্যে ছড়ায়।' কিন্তু কোন প্রাণী থেকে ছড়িয়েছে এই ভাইরাস, তা উল্লেখ করেনি। এই নিবন্ধে করোনাভাইরাসের কারণ নিয়ে সর্বপ্রথম যে আলোচনা করা হয়েছে, যতগুলো প্রাণীকে এই ভাইরাসের বাহক মনে করা হচ্ছে, সেখানে আলোচনা করে বলা হয়েছে এসব কোনো প্রাণীই করোনাভাইারসের বাহক নয়। আর লক্ষ বছর আগের ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাসেরা মানুষকে আবার আক্রমণ করতে শুরু করেছে, এমন গল্পগুলো হয়তো বাজারে আর চলবে না।
চীন ও ইরান সন্দেহ করছে যুক্তরাষ্ট্রকে; রুশ মিডিয়া দায়ী করছে ব্রিটেনকে; যুক্তরাষ্ট্র বলছে চীন দায়ী। আপনি কার কথা সঠিক বলবেন আর কার কথা ভুল বলবেন! কারো কথাকে সঠিক বলতে গেলে অন্যরা আপনার বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলবে। আমরা এসব ‘সন্দেহের তীর নিক্ষেপকারী’দের কথায় কান না দিয়ে একটু বিকল্প পথ খুঁজি।
করোনাভাইরাসের উপদ্রব শুরু হয় চীনে, এটাতো সত্য, মিথ্যা বা ষড়যন্ত্রমূলক তথ্য নয়! চীন শুরু থেকেই করোনাভাইরাস নিয়ে অনেক লুকোচুরি খেলেছে। চীনের পর বিশ্বের অনেক দেশে এই ভাইরাসে মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। কিন্তু কোনো দেশের বিরুদ্ধে এরকম লুকোচুরি বা তথ্য গোপনের অভিযোগ নেই। চীনের করোনাভাইরাস নিয়ে লুকোচুরির একটা উল্লেখযোগ্য দিক এটাও যে, চীনে করোনাভাইরাসে সত্যিই কতজন আক্রান্ত হয়েছে এবং মৃত্যুবরণ করেছে, তা কেউ নিশ্চিত হতে পারছে না। কেন? শুধুই লুকোচুরির কারণে। উদাহরণ দেখা যাক:
'চীনে করোনাভাইরাসে মৃত্যু ২৫ হাজার: তাইওয়ান মিডিয়ার দাবি' শিরোনামে দৈনিক যুগান্তরে ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, 'করোনাভাইরাসে আতঙ্কে কাঁপছে বিশ্ব। করোনাভাইরাসের কারণে অচল হয়ে পড়েছে চীন। চীনের সঙ্গে বিশ্বের অন্যান্য দেশ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিচ্ছে।

দেশটির সরকারি তথ্যমতে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ৫৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছে চীনে। এবং আক্রান্তের সংখ্যা ২৮ হাজার ১৮ জন।
তবে শুরু থেকেই চীনের গণমাধ্যমগুলো থেকে করোনাভাইরাসের মৃত্যুর সংখ্যা লুকানো হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
মৃতের সঠিক সংখ্যা জানালে চীনজুড়ে আতঙ্ক বেশি ছড়িয়ে পড়বে এমন যুক্তিতেই সঠিক তথ্য জানাচ্ছে না চীনের সরকার।
এমন অভিযোগের মধ্যে নতুন এক তথ্য দিল চীনা প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান টেনসেন্ট।
প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবপেজে বলা হয়েছে, ৫৬৮ নয় করোনাভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে ২৪ হাজার ৫৮৯ জনের। আর আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৫৪ হাজার ২৩ জন। তাইওয়ান নিউজের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া।
খবরে বলা হয়, গত শনিবার টেনসেন্টের ওয়েবপেজে ‘মহামারি পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ’ শিরোনামে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়। প্রকাশিত তথ্যে বলা হয়, করোনাভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যা ২৪ হাজার ৫৮৯ জন। অথচ সরকারি তথ্যে হাজারের কাছাকাছিও নয়। এছাড়া ওই ওয়েবপেজে আক্রান্তের সংখ্যা বলা হয়েছে ১ লাখ ৫৪ হাজার ২৩ জন। যা সরকারি তথ্য আক্রান্তের সংখ্যার চেয়ে দশগুণ বেশি। তবে এমন তথ্য দেয়ার কিছুক্ষণ পরই তথ্য সংশোধন করে নেয় ওয়েবপেজ কর্তৃপক্ষ। এরপরই সরকারি হিসাবটি লিখে দেয়া হয় সেখানে।
কিন্তু এরইমধ্যে ওয়েবপেজের আগের পরিসংখ্যানটির স্ক্রিনশট করে নিয়ে নেয় অনেকে। বিষয়টি নিয়ে রীতিমতো ঝড় বইছে বিশ্বজুড়ে। উহান থেকে ছড়িয়ে যাওয়া নভেল করোনাভাইরাস বিষয়ে ওয়েবপেজের এই পরিসংখ্যান নিয়ে ইতোমধ্যে প্রশ্ন তুলেছেন বিশেষজ্ঞরা। বিষয়টি ভুল নাকি টেনসেন্টের তথ্য ফাঁস, এমন প্রশ্নই এখন চলছে নানা মহলে।' [https://www.jugantor.com/international/275480]
একই রকম আরেকটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় বাংলাদেশের জনপ্রিয় টিভি চ্যানেল একুশে টেলিভিশনের ওয়েবসাইটে ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে 'তথ্য ফাঁস: করোনা ভাইরাসে চীনে ২৫ হাজারের মৃত্যু!' শিরোনামে। সেখানে বলা হয়, 'করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত ২৪ হাজার ৫ শত ৮৯ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে চীন সরকারের গোপন তথ্য ফাঁস করেছে চীনা প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান টেনসেন্ট।

দেশটির সরকারি তথ্যমতে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ৫৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছে চীনে। এবং আক্রান্তের সংখ্যা ২৮ হাজার ১৮ জন।
তবে শুরু থেকেই চীনের গণমাধ্যমগুলো থেকে করোনাভাইরাসের মৃত্যুর সংখ্যা লুকানো হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
মৃতের সঠিক সংখ্যা জানালে চীনজুড়ে আতঙ্ক বেশি ছড়িয়ে পড়বে এমন যুক্তিতেই সঠিক তথ্য জানাচ্ছে না চীনের সরকার।
এমন অভিযোগের মধ্যে নতুন এক তথ্য দিল চীনা প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান টেনসেন্ট।
প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবপেজে বলা হয়েছে, ৫৬৮ নয় করোনাভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে ২৪ হাজার ৫৮৯ জনের। আর আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৫৪ হাজার ২৩ জন। তাইওয়ান নিউজের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া।
খবরে বলা হয়, গত শনিবার টেনসেন্টের ওয়েবপেজে ‘মহামারি পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ’ শিরোনামে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়। প্রকাশিত তথ্যে বলা হয়, করোনাভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যা ২৪ হাজার ৫৮৯ জন। অথচ সরকারি তথ্যে হাজারের কাছাকাছিও নয়। এছাড়া ওই ওয়েবপেজে আক্রান্তের সংখ্যা বলা হয়েছে ১ লাখ ৫৪ হাজার ২৩ জন। যা সরকারি তথ্য আক্রান্তের সংখ্যার চেয়ে দশগুণ বেশি। তবে এমন তথ্য দেয়ার কিছুক্ষণ পরই তথ্য সংশোধন করে নেয় ওয়েবপেজ কর্তৃপক্ষ। এরপরই সরকারি হিসাবটি লিখে দেয়া হয় সেখানে।
কিন্তু এরইমধ্যে ওয়েবপেজের আগের পরিসংখ্যানটির স্ক্রিনশট করে নিয়ে নেয় অনেকে। বিষয়টি নিয়ে রীতিমতো ঝড় বইছে বিশ্বজুড়ে। উহান থেকে ছড়িয়ে যাওয়া নভেল করোনাভাইরাস বিষয়ে ওয়েবপেজের এই পরিসংখ্যান নিয়ে ইতোমধ্যে প্রশ্ন তুলেছেন বিশেষজ্ঞরা। বিষয়টি ভুল নাকি টেনসেন্টের তথ্য ফাঁস, এমন প্রশ্নই এখন চলছে নানা মহলে।' [https://www.jugantor.com/international/275480]
একই রকম আরেকটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় বাংলাদেশের জনপ্রিয় টিভি চ্যানেল একুশে টেলিভিশনের ওয়েবসাইটে ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে 'তথ্য ফাঁস: করোনা ভাইরাসে চীনে ২৫ হাজারের মৃত্যু!' শিরোনামে। সেখানে বলা হয়, 'করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত ২৪ হাজার ৫ শত ৮৯ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে চীন সরকারের গোপন তথ্য ফাঁস করেছে চীনা প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান টেনসেন্ট।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী হুবেই প্রদেশের উহানে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাসে চীনে মৃত্যু হয়েছে ৫৬৩ জনের। আর হংকং এবং ফিলিপাইনে মৃত্যু হয়েছে আরও দুইজনের। সবমিলিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা ৫৬৫। এ রোগে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ২৮ হাজারের বেশি। খবর ডেইলি মেইল অনলাইন'র। ...
উহান থেকে ছড়িয়ে যাওয়া নভেল করোনা ভাইরাস বিষয়ে চীনা সরকারের পরিসংখ্যান নিয়ে ইতোমধ্যে প্রশ্ন তুলেছেন বিশেষজ্ঞরা। এরমধ্যে টেনসেন্টের এই পরিসংখ্যান চীনা কর্তৃপক্ষকে বেশ বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলেছে। উহানে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত অনেকেই চিকিৎসা পাচ্ছেন না, তাদের মৃত্যু হচ্ছে হাসপাতালের বাইরে বলেও অভিযোগ রয়েছে।' [https://www.ekushey-tv.com/91410]
'চীনে করোনা আক্রান্তদের মর্মস্পর্শী চিত্র তুলে ধরা সাংবাদিক নিখোঁজ' শিরোনামে বাংলাদেশ প্রতিদিনে ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, 'চীনে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির প্রকৃত চিত্র তুলে ধরা এক সাংবাদিক নিখোঁজ রয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তার কোনো সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না চেন কুইউশি নামের ওই সাংবাদিকের । তিনি করোনাভাইরাসের উৎপত্তিস্থল উহান শহরের করুণ দৃশ্য বিশ্বের দরবারে তুলে ধরেছিলেন বলে জানা গেছে। খবর ডেইলি মেইল এর।
চীনে ভাইরাসে 'জাতীয় নায়ক'খ্যাত চিকিৎসক লি ওয়েনলিয়াং (৩৪) এর মৃত্যুর পরই এই সাংবাদিক নিখোঁজের খবরটি সামনে এসেছে। এ ঘটনায় চীনের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ করেছেন অনেকেই। ডেইলি মেইল বলছে, স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে তার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। ফোনে একাধিকবার রিং দেয়া হলেও তিনি রিসিভ করেনি বলে ঐ সাংবাদিকের পরিববার অভিযোগ করেছেন।
সাংবাদিক কুইউশি তার প্রতিবেদনে উহান শহরে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস পরবর্তী শহরের প্রকৃত চিত্র তুলে ধরেছিলেন। হাসপাতালে রোগী ও স্বজনদের আত্ম-চিৎকার, রোগীতে ঠাসাঠাসি হাসপাতালের পরিবেশ ও রাস্তায় পড়ে থাকা মরদেহ নিয়ে তৈরি তার প্রতিবেদনগুলো ছিল অত্যন্ত মানবিক আবেদনে ভরা ও মর্মস্পর্শী। তার একটি প্রতিবেদনে দেখা যায়, হুইল চেয়ারে মরে পড়ে থাকা স্বজনের পাশে বসে ফোনে আত্মীয়দের সঙ্গে বিলাপের সুরে কথা বলছেন।
এদিকে, চীনে ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮১৩ জনে। এখন পর্যন্ত প্রতিষেধকবিহীন এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৩৪ হাজার ৮০০ জন। এর মধ্যে চীনের হুবেই প্রদেশে ২৭ হাজার আক্রান্ত হয়েছে। আক্রান্ত ও নিহতের এই চিত্রটা চীনের সরকারি তথ্য হলেও মূলত ভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে ২৪ হাজার ৫৮৯ জনের এবং আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৫৪ হাজার ২৩ জন। এমনই তথ্য ফাঁস করেছে চীনা প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান টেনসেন্ট।' [https://www.bd-pratidin.com/coronavirus/2020/02/09/500231]
এই প্রতিবেদনটি ডেইলী মেইলের সূত্রে তৈরি করা হয়। ডেইলী মেইলে 'Three Beijing activists 'disappear after saving backup copies of censored coronavirus-related reports' শিরোনামে এএফপি'র সূত্রে তৈরিকৃত ২৭ এপ্রিল ২০২০ তারিখে প্রকাশিত একটি দীর্ঘ প্রতিবেদনে বলা হয়, 'Three Beijing-based internet activists have disappeared and are believed to be detained by police for saving backup copies of censored coronavirus news stories online, according to a relative.
এই প্রতিবেদনের শেষ দিকে লি জেহুয়া নামক একজন সাংবাদিকের নিখোঁজ হওয়া সম্পর্কে বর্ণনা করতে গিয়ে বলা হয়েছে, উহান ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজি পরিদর্শন করার পরে লি সম্ভবত গোপন পুলিশের টার্গেটে পড়েছিল।
কিন্তু করোনাভাইরাসের উপদ্রব চলাকালে উহান ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজি পরিদর্শন করতে বিধিনিষেধ ছিল কেন? এই প্রশ্নের উত্তরে কী বলবে চীন?
এই নিবন্ধ এই পর্যন্ত যারা পড়েছে, এই প্রশ্নের উত্তর তারা সহজেই বুঝে নিতে পারবে।
এই প্রতিবেদনটি ডেইলী মেইলের সূত্রে তৈরি করা হয়। ডেইলী মেইলে 'Three Beijing activists 'disappear after saving backup copies of censored coronavirus-related reports' শিরোনামে এএফপি'র সূত্রে তৈরিকৃত ২৭ এপ্রিল ২০২০ তারিখে প্রকাশিত একটি দীর্ঘ প্রতিবেদনে বলা হয়, 'Three Beijing-based internet activists have disappeared and are believed to be detained by police for saving backup copies of censored coronavirus news stories online, according to a relative.
China has faced criticism over its handling of the outbreak, including punishing whistleblowers who tried to warn about the new virus.
Multiple activists and journalists have allegedly vanished after criticising Beijing 's handling of the epidemic.
Chen Mei, Cai Wei and Cai's girlfriend surnamed Tang -- who contributed to a crowd-sourced project on the software development platform GitHub -- went missing on April 19, according to Chen's brother Chen Kun.
The volunteer-driven project, named Terminus2049, preserved articles that were blocked or removed from mainland news outlets and social media by China 's aggressive online censorship.
Two of the volunteers, Cai and Tang, were charged with 'picking quarrels and provoking trouble' and are currently under 'residential surveillance at a designated location', according to a notice from Beijing's Chaoyang District police received by their families, and seen by AFP.
Chen Kun said that he is still waiting on official confirmation from Chaoyang police that his younger brother, aged 26, has been detained.
'I understand that Cai and Tang disappeared around the same time as Chen Mei,' Chen told AFP.
'Given that both Chen and Cai were contributors to the Terminus2049 project, we suspect their disappearance was related and relevant to the project.'
News of Chen and Cai's apparent disappearance was first reported by a Twitter account, known as 'southern_idiot', on April 25.
The account also released a picture of a notice issued by police to Cai's family.
The online project included many sensitive coronavirus stories published in recent months, such as personal narratives by Wuhan citizens and an infamous interview with Wuhan Central Hospital doctor Ai Fen, one of the earliest virus whistleblowers.
The article, published by 'People' magazine in March, was widely circulated by Chinese netizens in a number of languages and formats -- including Morse code -- to evade censorship after it was abruptly pulled from the internet.
As China tries to control the domestic narrative surrounding the chaotic initial months of the outbreak, similar crowd-sourced initiatives have flourished on GitHub, which is used by an increasing number of tech-savvy Chinese as a last frontier against ever-tightening internet censorship.
Owned by Microsoft, the US-based website remains accessible in China although the Terminus2049 page is blocked.
News of the Terminus2049 trio's disappearance made a stir online in Chinese activist circles.
'What quarrels were they picking, and what troubles were they provoking? Show me legal proof,' said the outspoken Tsinghua University sociology professor Guo Yuhua on Twitter Sunday, referring to Cai and Tang's charges.
'Picking quarrels and provoking trouble' is a vaguely defined charge often used by Chinese authorities to target activists and dissidents, which carries a prison sentence of up to five years.
The administrators of 2019nCoVMemory -- another GitHub coronavirus archive -- made the 'protective' move to restrict access to its site to members only, according to an email sent to subscribers that was circulated on Weibo.
Chaoyang public security bureau and the administrators of 2019nCoVMemory have not responded to requests for comment.
'Residential surveillance in a designated location', which Cai and Tang are reportedly under, is often arbitrarily used by the Chinese authorities to silence people who are critical of government leaders, especially of President Xi Jinping, according to Patrick Poon, a former researcher at Amnesty International.
Mr Poon previously told MailOnline: 'The provision's justification is that allowing lawyers' visit might interfere with the police's investigation.
'As nobody except for the police would know where the person is detained. It's de facto incommunicado detention, and thus secret detention, which violates international human rights law.
'Without access to a lawyer of the person's choice or their family, the person can be subject to torture and other ill-treatment.'
Emerging in the Chinese city of Wuhan in December, the coronavirus pandemic has killed more than 207,000 people and infected around three million.
Three Chinese citizen journalists have gone missing while reporting about the outbreak from Wuhan independently.
Two of them, Chen Qiushi and Fang Bin, disappeared in February after uploading videos of corpses being loaded and hospital overrun by patients to YouTube and Twitter, both banned in mainland China .
The third journalist, Li Zehua, re-appeared last week after vanishing from public sight fore more than two months. He claimed he was detained and forcibly quarantined by police.
Chen, Fang and Li were among several Chinese citizens who were believed to be punished for speaking out about the pandemic.
Ren Zhiqiang, a tycoon and prominent Communist party member, went missing after calling President Xi a 'clown' over his handling of the crisis.
The 69-year-old is being investigated on suspicion of a 'severe violation of discipline and law', a Chinese authority said last week.
An outspoken activist who openly called Chinese President Xi 'not clever enough' and demanded the leader step down over 'the coronavirus catastrophe' could be facing months of torture in secret detention, human rights groups have warned.
Xu Zhiyong, a former law lecturer, has allegedly been charged with 'inciting state subversion' after being detained on February 15.
The 47-year-old is being kept in a classified location and at 'serious risk' of torture and ill-treatment, according to experts.
Ai Fen, a Wuhan doctor who was among the first to alert other medics about the spread of coronavirus was also thought to be detained, reports suggest.
The ER doctor said she was safe and working in a short video uploaded to her social media account on April 13.
Coronavirus whistle-blowers remain missing two months after exposing the true scale of the outbreak from Wuhan
Two whistle-blowers who tried to inform the world about the true scale of the coronavirus outbreak in Wuhan are still missing two months after vanishing from the public sight.
The whereabouts of Chen Qiushi and Fang Bing have been a mystery since February, and Chinese officials have not publicly commented on them.
The citizen journalists had sought to expose the true scale of the outbreak from the then epicentre by uploading videos to YouTube and Twitter, both banned in mainland China .
All of their dispatches revealed a grim side of Wuhan unseen on state-run Chinese media outlets.
Chen, 34, has not been heard from since 7pm local time on February 6.
He arrived in Wuhan just before the city went into lockdown in hopes of providing the world with the truth of the epidemic, as he said himself.
His reports detailed horrific scenes including a woman frantically calling family on her phone as she sits next to a relative lying dead in a wheelchair and the helpless situation of patients in the overstretched hospitals.
He had been planning to visit a 'fang cang' makeshift hospital before evaporating.
His disappearance was revealed by a post on his Twitter account, which has been managed by a friend authorised to speak on his behalf.
His mother has posted a video calling for his safe return.
One of his latest posts on his Twitter read: 'Who can tell us where and how Chen Qiushi is right now? When will anyone get to speak with him again?
'Chen Qiushi has been out of contact for 79 days after covering coronavirus in Wuhan . Please save him!!!'
Fang Bin, a Wuhan resident, went missing on February 9 after releasing a series of videos, including one showing piles of bodies being loaded into a bus.
He had been arrested arrested briefly before disappearing, it is alleged.
His last video showed hazmat-donning officers knocking on his door to measure his body temperature.
Fang is seen in the video trying to fend off the officers by telling them his temperature is normal, according to Radio Free Asia (RFA).
Another journalist Li Zehua, 25, also disappeared for about two months.
A former employee of state broadcaster CCTV, Li was reporting from Wuhan independently. He was said to be last heard on February 26 before going missing.
Before that, he had visited a series of sensitive venues in Wuhan , such as the community that held a huge banquet despite the epidemic and the crematorium which was hiring extra staff to help carry corpses, RFA added.
The news outlet said Li was likely targeted by secret police after visiting the Wuhan Institute of Virology.
The £34million institute has been at the centre of conspiracy theories, which suggest that the killer virus originated there.
On April 22, Li reappeared in a public sight through a video on Twitter.
He claimed he was detained by plainclothes police on February 26 and was interrogated for 24 hours at a police station for 'visiting sensitive places' in Wuhan .
He said he was then taken into quarantine, first in a hotel then in his hometown.
He stressed that officers had treated him politely. He said he was given three meals a day and allowed to watch the state news programmes.' [https://www.dailymail.co.uk/news/article-8261025/Three-Beijing-activists-missing-preserving-virus-articles-online.html]
এই প্রতিবেদনের শেষ দিকে লি জেহুয়া নামক একজন সাংবাদিকের নিখোঁজ হওয়া সম্পর্কে বর্ণনা করতে গিয়ে বলা হয়েছে, উহান ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজি পরিদর্শন করার পরে লি সম্ভবত গোপন পুলিশের টার্গেটে পড়েছিল।
কিন্তু করোনাভাইরাসের উপদ্রব চলাকালে উহান ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজি পরিদর্শন করতে বিধিনিষেধ ছিল কেন? এই প্রশ্নের উত্তরে কী বলবে চীন?
এই নিবন্ধ এই পর্যন্ত যারা পড়েছে, এই প্রশ্নের উত্তর তারা সহজেই বুঝে নিতে পারবে।
এবার আরেকটি প্রশ্ন। 'কথায় কথায় করোনাভাইরাস' শিরোনামে প্রথম আলোয় ১৪ মার্চ ২০২০ তারিখে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, 'চীনের উহান শহরের সেন্ট্রাল হসপিটালে চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ হিসেবে কর্মরত ছিলেন লি ওয়েনলিয়াং। তিনিই মারাত্মক করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব সম্পর্কে তাঁর সহকর্মীদের প্রথম সতর্কবার্তা দিয়েছিলেন। এ জন্য তাঁকে চীনের জননিরাপত্তা ব্যুরোর হেনস্তারও শিকার হতে হয়। পরে তো সবাই জানতে পারে ভাইরাস সম্পর্কে লির কথাই সত্যি। তত দিনে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হন তিনি। চিকিৎসাধীন অবস্থায় লি চীনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ওয়েইবুতে তাঁর গল্প শেয়ার করেছিলেন। পোস্টে চিকিৎসাধীন অবস্থার একটি ছবিও দিয়েছিলেন। চীনের স্থানীয় সময় ৬ ফেব্রুয়ারি চিকিৎসাধীন অবস্থায় লি মারা যান।' [https://www.prothomalo.com/pachmisheli/article/1644766]
'করোনাভাইরাস: চীনের বিরুদ্ধে আমেরিকার মামলা, যা জেনে রাখতে পারেন' শিরোনামে বিবিসি বাংলায় ২২ এপ্রিল ২০২০ তারিখে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, 'যুক্তরাষ্ট্রের মিসৌরি অঙ্গরাজ্যের পক্ষ থেকে এই মামলাটি করা হয়েছে। রাজ্যের অ্যাটোর্নি জেনারেল এরিক শ্মিট বলেছেন, "চীনা সরকার বিশ্বের কাছে মিথ্যা বলেছে। এই ভাইরাসের বিপদ ও সংক্রমণ সম্পর্কে সঠিক তথ্য দেয়নি। যারা সতর্ক করার ছিল তাদের মুখে কুলুপ এটে দিয়েছে। এই রোগটি থামাতে তারা সাহায্য করেনি।" [https://www.bbc.com/bengali/52377778]
প্রশ্ন হচ্ছে, মারাত্মক করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব সম্পর্কে সতর্কবার্তা দেয়ার জন্য তাঁকে কেন চীনের জননিরাপত্তা ব্যুরো হেনস্তা করেছিল? এটা কেন তাঁর অপরাধ হলো? এটা তো বরং চীনের জন্য ভালো হবার কথা!
এই রকম প্রশ্নগুলোর উত্তর খোঁজার পর সম্ভাব্য উত্তর এবং চীন ও করোনাভাইরাসের আনুষাঙ্গিক সব বিষয় একত্রে সামনে আনলে সম্ভাবনাটা সত্যের একেবারে কাছাকাছি চলে আসে। শুধু চীন তা স্বীকার করলেই নিশ্চিত হয়ে যায়। কিন্তু চীন কি কখনো স্বীকার করবে? যেই চীন শুরু থেকেই শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করেছে, শুরু থেকেই করোনাভাইরাসের উপদ্রবের ঘটনা প্রকাশকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে, করোনাভাইরাস যখন চীনের সীমানা ছাড়িয়ে সারাবিশ্বে ভয়াবহ মহামারীর পর্যায়ে পৌঁছে গেছে, দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছে, তখন সেই চীন কোন বিবেচনায় আর প্রকৃত ঘটনা স্বীকার করবে!
'করোনাভাইরাস: চীনের বিরুদ্ধে আমেরিকার মামলা, যা জেনে রাখতে পারেন' শিরোনামে বিবিসি বাংলায় ২২ এপ্রিল ২০২০ তারিখে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, 'যুক্তরাষ্ট্রের মিসৌরি অঙ্গরাজ্যের পক্ষ থেকে এই মামলাটি করা হয়েছে। রাজ্যের অ্যাটোর্নি জেনারেল এরিক শ্মিট বলেছেন, "চীনা সরকার বিশ্বের কাছে মিথ্যা বলেছে। এই ভাইরাসের বিপদ ও সংক্রমণ সম্পর্কে সঠিক তথ্য দেয়নি। যারা সতর্ক করার ছিল তাদের মুখে কুলুপ এটে দিয়েছে। এই রোগটি থামাতে তারা সাহায্য করেনি।" [https://www.bbc.com/bengali/52377778]
প্রশ্ন হচ্ছে, মারাত্মক করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব সম্পর্কে সতর্কবার্তা দেয়ার জন্য তাঁকে কেন চীনের জননিরাপত্তা ব্যুরো হেনস্তা করেছিল? এটা কেন তাঁর অপরাধ হলো? এটা তো বরং চীনের জন্য ভালো হবার কথা!
এই রকম প্রশ্নগুলোর উত্তর খোঁজার পর সম্ভাব্য উত্তর এবং চীন ও করোনাভাইরাসের আনুষাঙ্গিক সব বিষয় একত্রে সামনে আনলে সম্ভাবনাটা সত্যের একেবারে কাছাকাছি চলে আসে। শুধু চীন তা স্বীকার করলেই নিশ্চিত হয়ে যায়। কিন্তু চীন কি কখনো স্বীকার করবে? যেই চীন শুরু থেকেই শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করেছে, শুরু থেকেই করোনাভাইরাসের উপদ্রবের ঘটনা প্রকাশকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে, করোনাভাইরাস যখন চীনের সীমানা ছাড়িয়ে সারাবিশ্বে ভয়াবহ মহামারীর পর্যায়ে পৌঁছে গেছে, দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছে, তখন সেই চীন কোন বিবেচনায় আর প্রকৃত ঘটনা স্বীকার করবে!